ডিবি হারুনের জমি-ভবন-ফ্ল্যাটসহ ১০ ব্যাংক হিসাব জব্দ
Published: 19th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাবেক প্রধান মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদের ৩৩ একর জমি, পাঁচটি ভবন ও দুটি ফ্ল্যাট জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া হারুনের নামে বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে। এসব হিসাবে এক কোটি ২৬ লাখ ৯০ হাজার ৪৬৮ টাকা জমা রয়েছে।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ মো.
দুদকের আবেদনে বলা হয়, হারুন-অর-রশিদের নামে রাজধানীর উত্তরায় ৭ দশমিক ৪৫ কাঠা জমিতে তিন কোটি টাকার মূল্যের একটি ভবন রয়েছে। এছাড়া গুলশানে ১০ দশমিক ৩৬ শতক জমিতে তিন কোটি ৯৭ লাখ টাকার আরেকটি ভবন রয়েছে।
এছাড়া কুড়িলে সেমিপাকা একটি টিনশেড বাড়ি, খিলক্ষেতে একতলা একটি দালান ও সেমিপাকা আরেকটি টিনের বাড়ি রয়েছে হারুনের নামে। এসব ভবন জব্দ করার আবেদন করা হয়েছে।
এদিকে হারুনের নামে উত্তরায় ১০ নম্বর সেক্টরে সাততলা ভবনে দ্বিতীয় তালায় একটি ফ্ল্যাট ও জোয়ার সাহারায় ছয়তলা ভবনের ছয়তলায় আরেকটি ফ্ল্যাট রয়েছে। এই দুই ফ্ল্যাটসহ আশিয়ান সিটিতে হারুনের নামে পাঁচ কাঠার একটি প্লট জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
অন্যদিকে ডিবি হারুনের নামে কিশোরগঞ্জ, কক্সবাজার ও নারায়ণগঞ্জে ৯৯ দশমিক ১৮ বিঘা জমি জব্দ করা হয়েছে। এর ভেতর শুধু কিশোরগঞ্জেই হারুনের নামে ৯১ দশমিক ৩২ বিঘা জমি রয়েছে।
বিএইচ
উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: দশম ক
এছাড়াও পড়ুন:
মোগল আমলের নিদাড়িয়া মসজিদে এখনো নামাজ পড়েন মুসল্লিরা, দেখতে আসেন দূরদূরান্তের মানুষ
লালমনিরহাট জেলার প্রাচীন স্থাপত্যের একটি উজ্জ্বল নির্দশন হিসেবে কয়েক শ বছর ধরে গৌরবের সঙ্গে টিকে আছে নিদাড়িয়া মসজিদ। মোঘল আমলে নির্মিত মসজিদটিতে এখনো নিয়মিত নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। আশপাশের এলাকার পাশাপাশি দূরদূরান্ত থেকেও সাধারণ মানুষ দেখতে আসেন মসজিদটি।
রংপুর-কুড়িগ্রাম সড়কের প্রায় দুই কিলোমিটার দক্ষিণে লালমনিরহাট সদরের পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের কিসামত নগরবন্দ মৌজায় নিদাড়িয়া মসজিদের অবস্থান। মসজিদের নির্মাতা সম্পর্কে খোদাই করা তথ্য বোধগম্য না হলেও শিলালিপিতে নির্মাণকাল ১১৭৬ হিজরি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ইট ও চুন-সুরকি দিয়ে নির্মিত তিন গম্বুজ ও তিন দরজাবিশিষ্ট মসজিদটির দৈর্ঘ্য ৪২ ফুট এবং প্রস্থ ১৬ ফুট ৮ ইঞ্চি। মসজিদের পশ্চিম দেয়াল থেকে বর্ধিত কোনো মিহরাব নেই। দেয়ালের ভেতরের দিকের সামান্য ফাঁকা অংশ মিহরাব হিসেবে ব্যবহৃত হয়। দরজার কাছের দেয়ালের পুরুত্ব ৩ ফুট।
মসজিদটির দেয়াল বরাবর ওপরে চারদিকে ছোট–বড় মিনার রয়েছে ১২টি। সামনে প্রাচীরের প্রবেশপথের দক্ষিণ দিকে ১৫ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১২ ফুট প্রস্থের একটি হুজরাখানা রয়েছে।
১৯৯৭ সালে নিদাড়িয়া মসজিদটি বাংলাদেশের একটি প্রত্নতাত্ত্বিক পুরাকীর্তি হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। মসজিদ–সংলগ্ন স্থানে বাংলা ও ইংরেজিতে জাদুঘর ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের স্থাপন করা সাইনবোর্ডে উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি এই পুরাকীর্তির কোনো রকম ধ্বংস বা অনিষ্ট সাধন করলে বা এর কোনো বিকৃতি বা অঙ্গচ্ছেদ ঘটালে বা এর কোনো অংশের ওপর কিছু লিখলে বা খোদাই করলে বা কোনো চিহ্ন বা দাগ কাটলে ১৯৬৮ সালের পুরাকীর্তি সংরক্ষণ আইনে সর্বাধিক এক বছর পর্যন্ত জেল, জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
দূরদূরান্ত থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ও সাধারণ মানুষ নিদাড়িয়া মসজিদটি দেখতে আসেন