বয়লারের টিউব ফেটে যাওয়ায় পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন কার্যক্রম। এক সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ফেরা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ঠরা। হঠাৎ করে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উত্তরাঞ্চলে বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। 

কেন্দ্রের প্রকৌশলীরা জানান, বড়পুকুরিয়া খনির কয়লা দিয়ে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ৩টি ইউনিট পরিচালিত হয়ে আসছিল। এগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা ৫২৫ মেগাওয়াট।  যান্ত্রীক ক্রটির কারনে ২০২০ সাল  থেকে  ২ নম্বর ইউনিটটি বন্ধ ছিল। দুইটি ইউনিট চলমান থাকলেও গত ১৫ ফেব্রুয়ারী  ৩ নম্বর ইউনিটটির বিয়ারিং ভেঙ্গে যাওয়ায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এক মাত্র চলমান ১নম্বর ইউনিটটির বয়লার টিউব ফেটে যাওয়ায় বুধবার সন্ধায় তা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। 

বিদ্যুৎ উৎপাদনের সময় এক হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকে বয়লারে। এটি ঠান্ডা না হওয়া পর্যন্ত মেরামতের কাজ শুরু করা সম্ভব হবে না বলে জানা গেছে। 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বড়প ক র য় ইউন ট

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে ব্যাংক কর্মকর্তার মৃত্যু, স্ত্রী কারাগারে

চট্টগ্রামে এক ব্যাংক কর্মকর্তার মৃত্যুর ঘটনায় তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শনিবার রাতে নগরের চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। নিহত জাফর আলী চৌধুরী (৪৩) ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুর থানার উত্তর ইদিলপুর গ্রামের জানে আলম চৌধুরীর ছেলে। তিনি আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের কদমতলী শাখার সিনিয়র এক্সিকিউটিভ। গ্রেপ্তার আসামি হলেন- রোমানা ইসলাম। তিনি নগরের কোতোয়ালী থানার জেলরোড এলাকার মো. ফয়জুল ইসলামের মেয়ে। স্বামীর সঙ্গে নগরের চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার বি-ব্লকের ৯ নম্বর সড়কের একটি ভবনের ফ্ল্যাটে থাকতেন। স্ত্রীর অভিযোগ, তার স্বামী আত্মহত্যা করেছেন। তবে জাফর আলীর স্বজনদের অভিযোগ, পারিবারিক কলহের জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তার মাথার পেছনে ফোলা জখম, কানে জমাটবাঁধা রক্ত ও হাতে নখের আঁচড় ছিল। এ ঘটনায় গতকাল রোববার নিহতের ছোট ভাই আবুল হাসনাত বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী জাফর আলী চৌধুরীকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন স্ত্রী রোমানা ইসলাম। তার শ্বশুরও তাকে বিভিন্ন সময়ে চাকরিচ্যুত ও নিশ্চিহ্ন করার হুমকি দেয়। শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গেলে তাকে বেঁধে রেখে নির্যাতন করা হয়েছিল বলেও ছোট ভাইকে জানিয়েছিলেন। জাফরের দুই শ্যালক শরীফুল ইসলাম এবং আরিফুল ইসলাম বিভিন্নসময় তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন।

এজাহারে বলা হয়, রোববার সন্ধ্যায় রোমানা ইসলাম তার ননদ রোকেয়াকে ফোন করে জানান, জাফর অসুস্থ এবং তার কান দিয়ে রক্ত পড়ছে। এরপর তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসতে বলেন। বড় বোন রোকেয়া ও তার ছেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে তার নিথর মরদেহ দেখতে পান। এরমধ্যে লাশ রেখে শ্বশুর বাড়ির লোকজন পালিয়ে যান। বাদী আবুল হাসনাতের অভিযোগ, ‘পারিবারিক কলহের জেরে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিট থেকে ৬টা ৫৫ মিনিট সময়ের মধ্যে জাফরকে তার স্ত্রী রোমানা ইসলাম নিজ হাতে কিংবা অন্য কারও সাহায্যে হত্যা করেছেন।’

চান্দগাঁও থানার ওসি আফতাব উদ্দিন বলেন, ‘নিহতের মাথায় ফোলা রয়েছে ও কানে রক্ত জমাট বাঁধা আছে। খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি। স্ত্রীর দাবি তিনি আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু তিনি সেটি পুলিশকে না জানিয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। শরীরেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাই নিহতের ভাইয়ের দায়ের করা মামলায় স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’ 

এক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, স্ত্রী মুখ খুলছে না। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে কিভাবে মারা গেছে তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ