বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ
Published: 19th, February 2025 GMT
বয়লারের টিউব ফেটে যাওয়ায় পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন কার্যক্রম। এক সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ফেরা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ঠরা। হঠাৎ করে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উত্তরাঞ্চলে বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
কেন্দ্রের প্রকৌশলীরা জানান, বড়পুকুরিয়া খনির কয়লা দিয়ে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ৩টি ইউনিট পরিচালিত হয়ে আসছিল। এগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা ৫২৫ মেগাওয়াট। যান্ত্রীক ক্রটির কারনে ২০২০ সাল থেকে ২ নম্বর ইউনিটটি বন্ধ ছিল। দুইটি ইউনিট চলমান থাকলেও গত ১৫ ফেব্রুয়ারী ৩ নম্বর ইউনিটটির বিয়ারিং ভেঙ্গে যাওয়ায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এক মাত্র চলমান ১নম্বর ইউনিটটির বয়লার টিউব ফেটে যাওয়ায় বুধবার সন্ধায় তা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।
বিদ্যুৎ উৎপাদনের সময় এক হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকে বয়লারে। এটি ঠান্ডা না হওয়া পর্যন্ত মেরামতের কাজ শুরু করা সম্ভব হবে না বলে জানা গেছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
এডিপির ব্যয় আগের চেয়ে ২৫ হাজার কোটি টাকা কম
দেশে অবকাঠামো উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের গতি আরও স্থবির হয়ে পড়েছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত গত ৯ মাসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের হার ৩৭ শতাংশেরও কম।
গত অর্থবছরের একই সময়ে এ হার ছিল ৪২ শতাংশেরও বেশি। অন্যদিকে একক মাস হিসেবে মার্চে এডিপি বাস্তবায়নের হার ৭ শতাংশেরও কম, যা গত অর্থবছরের একই মাসে ছিল ৯ শতাংশ। সব মিলিয়ে ৯ মাসের ব্যয় গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা কম।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) এ বিষয়ে হালনাগাদ প্রতিবেদন আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশ করেছে।
এতে দেখা যায়, গত ৯ মাসে বিভিন্ন প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ৮২ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৭ হাজার ৬১২ কোটি টাকা। আগের একই সময়ের চেয়ে ব্যয় কমেছে ২৪ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা। একক মাস মার্চে ব্যয় হয়েছে ১৫ হাজার ৩৩৮ কোটি টাকা। এ ব্যয় গত বছরের মার্চে ছিল ২২ হাজার ১০ কোটি টাকা। অর্থাৎ মাসের হিসাবে মার্চে উন্নয়ন ব্যয় গত বছরের মার্চের চেয়ে ৬ হাজার ৬৭২ কোটি টাকা কম।
চলতি অর্থবছরে ১ হাজার ৩২৭টি প্রকল্প, ১৭টি উপপ্রকল্প ও উন্নয়ন সহায়তা থোক হিসেবে ৯টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এসব প্রকল্পের বিপরীতে মূল এডিপিতে বরাদ্দের পরিমাণ ২ লাখ ৭৮ হাজার ২৮৯ কোটি টাকা। তবে বাস্তবায়নে স্থবিরতার কারণে এডিপি সংশোধন করে সংশোধিত এডিপির (আরএডিপি) আকার রেকর্ড পরিমাণ ছোট করা হয়েছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল এডিপি থেকে ব্যয় কমানো হয়েছে ১৮ শতাংশ বা ৪৯ হাজার কোটি টাকা। এতে আরএডিপির আকার দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকা।