কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিবি করিমুন্নেছাকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের অধীনে বদলি করা হয়েছে।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় মাঠ প্রশাসন-২ শাখা উপ-সচিব আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন থেকে এতথ্য জানা গেছে। 

আদেশে বলা হয়েছে, ‍“বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের কিছু কর্মকর্তাকে তাদের নামের পাশে উল্লিখিত বিভাগে ইউএনও হিসেবে পদায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কমিশনারের অধীনে ন্যস্ত করা হলো।’

আরো পড়ুন:

ইউএনও, আ.

লীগ ও বিএনপি নেতা একই অনুষ্ঠানে, মিশ্র প্রতিক্রিয়া

রাজশাহীতে গুলি ছুড়ে, ককটেল ফাটিয়ে টেন্ডার বাক্স লুট

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, “উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে ন্যস্ত করা কর্মকর্তাদেরকে পদায়নের পর তাদের নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালনের ক্ষমতা অর্পণ করা হলো।”

মিরপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নির্দেশে উপজেলা পরিষদের তিনটি প্রবেশদ্বারের মধ্যে দুটি গেট প্রায় পাঁচ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। এ দুটি প্রবেশদ্বারে একটিতে উপজেলা পরিষদের জামে মসজিদও রয়েছে। এছাড়াও উপজেলা পরিষদের গেটের বাইরে আশপাশে প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। গেট দুটি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার অভিযোগ তোলেন। তাছাড়া মসজিদের সঙ্গে লাগোয়া গেটটি বন্ধ থাকায় নামাজ আদায় করতে আসা মুসল্লিরা ভোগান্তিতে পড়েন বলে অভিযোগ ওঠে। ব্যবসায়ীরা বন্ধ গেট দুটির অন্তত একটি খুলে দেওয়ার অনুরোধ জানালেও ইউএনও এতে কোনো কর্ণপাত করেননি। এ নিয়ে সম্প্রতি গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হলে আজ ইউএনও বিবি করিমুন্নেছাকে বদলি করা হয়।

ঢাকা/কাঞ্চন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইউএনও উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ বলে তোপের মুখে বীর মুক্তিযোদ্ধা

পিরোজপুরের নেছারাবাদে (স্বরূপকাঠী) ২৫ মার্চের গণহত্যা দিবসের আলোচনা সভায় ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ বলে তোপের মুখে পড়েছেন কাজী সাখাওয়াত হেসেন নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধা। আজ বুধবার সকালে উপজেলার সরকারি স্বরূপকাঠি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের আলোচনা সভায় এ ঘটনা ঘটে। অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), সহকারী কমিশনারসহ (ভূমি) উপস্থিত উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তার সামনে এ নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। 

বীর মুক্তিযোদ্ধা সাখাওয়াত হোসেন নেছারাবাদ উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।

জানা গেছে, ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কাজী সাখাওয়াত হোসেন তার বক্তব্য শেষে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ বলেন। মুহূর্তে সেখানে উপস্থিত কয়েকজন এর বিরোধিতা করলে তখনই ক্ষমা চান সাখাওয়াত হোসেন। আজ বুধবার উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাখাওয়াত হোসেনসহ কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধা উপজেলার নবাগত ইউএনও মো. জাহিদুল ইসলামকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এ সময় বিএনপি সমর্থিত স্থানীয় সাংবাদিক গোলাম মোস্তফা ২৫ মার্চের আলোচনা সভায় বলা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান নিয়ে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। পরে ইউএনও মো. জাহিদুল ইসলাম বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পুরস্কার দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ করেন।

এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা কাজী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসের আলোচনা সভায় ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ বলেছিলাম। এটা আমার ভুল হয়েছিল।’ ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান বলা কি আপনি অপরাধ মনে করেছেন, এমন প্রশ্ন করে আবারও জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সব পরিবেশে ‘জয় বাংলা’ বলা ঠিক না। পরিবেশ বুঝে সবকিছু বলতে হয়। আমি ওই দিন ‘জয় বাংলা’ বলার কারণে বুধবার স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্থানীয় সাংবাদিক গোলাম মোস্তফা আমার ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছিল।’

নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘২৬ মার্চের অনুষ্ঠানে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়া হয়নি। ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে উপজেলা অডিটোরিয়ামে একটি আলোচনা সভার অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী সাখাওয়াত হোসেন ‘জয় বাংলা’ বলেছিলেন। তখন অনেকে তার বিরোধিতা করেন। তখনই ভুল বুঝতে পেরে তিনি ক্ষমা চেয়েছিলেন। আসলে বিষয়টি নিয়ে আমিও বিব্রত হয়েছি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মাটি ও বালু খেকো সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স : ইউএনও
  • জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে ঈদগাহে প্যান্ডেল নির্মাণে বাধার অভিযোগ
  • ঈশ্বরদীর ইউএনওর মোবাইল নম্বর ক্লোন করে চাঁদাবাজি
  • ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ বলে তোপের মুখে বীর মুক্তিযোদ্ধা