বিটিভির ‘ভাষার গান’এ গাইলেন তারা
Published: 19th, February 2025 GMT
আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এই দিবসেই বিটিভিতে প্রচারের জন্য নির্মিত হয়েছে বিশেষ গানের অনুষ্ঠান ‘ভাষার গান’। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টার ইংরেচি সংবাদের পর প্রচার হবে অনুষ্ঠানটি।
এই অনুষ্ঠানেই গান গেয়েছেন রিজিয়া পারভীন ও দিঠি আনোয়ার। রিজিয়া পারভীন গেয়েছেন ‘আমার একুশ সূর্য ঝরা দিন’। গানটি লিখেছেন খোশনূর আলমগীর, সুর সঙ্গীত করেছেন মোহাম্মদ ইসহাক। দিঠির গান ‘বর্ণমালা আমার বর্ণমালা’ লিখেছেন মুনসী ওয়াদুদ, সুর সঙ্গীত করেছেন মোহাম্মদ ইসহাক। ‘ভাষার গান’ অনুষ্ঠানটির গ্রন্থনা ও গবেষনা করেছেন পিয়াল হাসান। পিয়াল হাসান নিজেও একটি গান গেয়েছেন। বিটিভির নিজস্ব প্রযোজনায় নির্মিত এই ‘ভাষার গান’ অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করে ভীষণ উচ্ছ্বসিত রিজিয়া পারভীন।
রিজিয়া পারভীন বলেন,‘অনেকদিন পর বিটিভিতে একুশে ফেব্রুয়ারির কোনো অনুষ্ঠানে গান গাইলাম। তাও আবার মৌলিক গান। আরো ভালোলাগার বিষয় হলো দীর্ঘদিন পর শ্রদ্ধেয় খোশনূর আপার লেখা কোনো গান গাইলাম। গানের কথা ভীষণ ভীষণ ভালোলেগেছে আমার। ইসহাক ভাই সুরটাও চমৎকার করেছেন। বিটিভির প্রত্যেকের আন্তরিকতা ভালোলেগেছে। যেন নতুন উদ্যমে কাজ করছেন তারা সবাই। আশা করছি গানটি সবারই ভালোলাগবে।’
অনুষ্ঠানে ‘বর্ণমালা আমার বর্ণমালা’ গানটি গাওয়া প্রসঙ্গে দিঠি আনোয়ার বলেন,‘ ভাষার গান আয়োজনটি অনেকটাই ব্যতিক্রম। কোনো উপস্থাপক নেই। শিল্পীর গান পরিবেশনের পূর্বে গীতিকার গানটি প্রসঙ্গে কিছু কথা বলবেন। আমার গানটির কথা ও সুর আমার কাছে ভীষণ ভালোলেগেছে। আশা করছি শ্রোতাদেরও ভালোলাগবে।’
এদিকে দিঠি জানান, এই মাসজুড়েই তার ভীষণ ব্যস্ততা। আগামীকাল মাইটিভিতে ভাষার মাসের স্পেশাল লাইভ শো’তে ভাষার গান ও তাঁর বাবা গাজী মাজহারুল আনোয়ারের লেখা গান পরিবেশন করবেন। আবার ২১ ফেব্রুয়ারি গ্লোবাল টিভিতে রাত ১০ টা ৩০ মিনিটে তার বাবাকে ট্রিবিউট করেই আয়োজিত অনুষ্ঠানে গান গাইবেন, সঙ্গে থাকবেন পলাশ ও ইমন সাহা।
২২ ফেব্রুয়ারি তার বাবারই জন্মদিনে সকালে চ্যানেল আইতে ‘গান দিয়ে শুরু’ অনুষ্ঠানে গান গাইবেন দিঠি ও মোমিন বিশ্বাস। একইদিনে রাত নয়টায় এনিগমা টিভিতে তার বাবাকে স্মরণ করে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গান গাইবেন। এছাড়া ২৮ ফেব্রুুয়ারিতেও তার বাবাকে নিয়ে আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠান ‘ছুটির রাতে লাইভ’ (যমুনা টিভিতে) অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করবেন দিঠি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দীঘির সঙ্গে সিয়াম কেনো এমন কাণ্ড করলেন?
প্রেমিকা বিট্রে করেছে, বেঈমানী করেছে; তার বিয়েবাড়ির সামনে এসে তার ছবিতে এভাবে প্রেমিকের প্রস্রাব করে যাওয়া- এমন পাগলামী বাংলাদেশী সিনেমায় দেখা যায়নি আগে। পুরোপুরি এমন ‘ম্যাডনেস’ দেখা গেল নায়ক সিয়ামের বেলায়। এর আগে ‘দহন’ সিনেমার ‘মাতাল হয়ে হিসু করব দেয়ালে’ গানেও এমন কাণ্ড করেছিলেন সিয়াম। এবার সেই পাগলাটে দৃশ্য দেখা গেল জংলি সিনেমার প্রি-টিজে।
গতকাল হুট করেই জংলি টিম প্রকাশ করে একটি ট্রিজার। সিনমাটির টিম দাবি করছে এটা প্রি-টিজ। মানে টিজারের পূর্ববর্তী ভার্ষন। সিনেমাটির কো প্রডিউসার মুক্তার ইবনে রফিক দাবি করেন, বাংলাদেশে ঈদের সিনেমায় যেখানে এখন টিজার আর ট্রেলারই দেয় না সিনেমাগুলো, দুটো মিলিয়ে দেয় ফোরটেস্ট টাইপের কিছু। সেখানে জংলি টিম প্রি-টিজও ছাড়ছে! নিঃসন্দেহে এটা আমাদের ইন্ডাস্ট্রির জন্য দারুণ সংযোজন।
প্রি-টিজে দারুণ এক সিয়ামকে দেখা গেছে। যে সিয়াম জংলি, প্রেমিকাকে না পেয়ে মানুষ কতটা জংলি হয়ে উঠে তারই আভাস পাওয়া গিয়েছে এতে।
সিনেমাটিতে নায়িকা মূলথ দুইজন। একজন শবনম বুবলী অন্যজন দীঘি। জংলি টিম এখন পর্যন্ত প্রচার-প্রচালণায় কেবল দীঘিকেই টানছেন । বুবলীকে কৌশলগত কারণে আড়ালে রেখেছেন বলেই জানালেন তারা।
গতকাল প্রকাশিত প্রি টিজ নিয়ে পরিচালক এম রাহিম বললেন, জংলি সিনেমায় ভারপুর অ্যাকশন, ও রোমান্স থাকবে সেটা আগেই বলেছিলাম। আমরা এমন প্রি টিজ প্রকাশ করে সেসবেরই জানান দিচ্ছি। আমি আহ্বান করব, ঈদে সিনেমা হলে আসুন। জংলি দেখুন। আশা করি কেউ নিরাশ হবেন না। এই সিনেমার সব কিছুর উপরে গিয়ে দারুণ একটা গল্প পাবেন সবাই।’
এর আগে সিয়ামকে নিয়ে ‘শান’ নামে একটি ছবি বানিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন এম রাহিম। সিয়ামের সঙ্গে বুবলী এবং দীঘি ছাড়াও আরও আছেন দিলারা জামান, শহীদুজ্জামান সেলিম, রাশেদ মামুন অপু, সোহেল খান, এরফান মৃধা শিবলু।
ছবির সংগীত পরিচালনা করছেন প্রিন্স মাহমুদ। একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তাহসান খান। সংশ্লিষ্টরা জানান, গানে থাকছে আরও চমক।
সিয়াম আগেই জানিয়েছেন, অভিনেতাদের জীবনে মাঝে মাঝে এমন চরিত্র আসে, যার কারণে সে নিজের সর্বস্ব দিয়ে দিতে রাজি হয়ে যায়। “জংলি” তার জীবনে তেমনই এক চরিত্র হয়ে এসেছে।
বলেন, চুল-দাড়িতে এক্সটেনশন লাগালেই হতো, তবু প্রায় সাত মাস চুল-দাড়ি কাটিনি। এক বছর চরিত্রটাকে আগলে রেখেছি। চরিত্রটাকে যাপন করতে চেয়েছি, দর্শকদের নতুন কিছু উপহার দিতে চেয়েছি। আমি সর্বোচ্চভাবে চেষ্টা করেছি।
ছবির গল্প লিখেছেন আজাদ খান, চিত্রনাট্য করেছেন যৌথভাবে মেহেদী হাসান ও কলকাতার সুকৃতি সাহা।