সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ ঢুকে গেছে: আমীর খসরু
Published: 19th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে মানুষের মনে সন্দেহ ঢুকে গেছে, তারা সংস্কারের গল্প বলে সময় ক্ষেপনের চেষ্টা করছে। তারা কখনো বলে আনুপাতিক হারে নির্বাচন, কখনো স্থানীয় সরকার নির্বাচন, এরপরে জাতীয় নির্বাচন। তারপর তারা সংস্কার করে যাবে, শেখ হাসিনার বিচার শেষ করে যাবে। এ সমস্ত কথা বলার সুযোগ নেই। তাদেরকে সেই জায়গায়, সেই দায়িত্ব কেউ দেয় নাই।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
সমাবেশে আমীর খসরু বলেন, বিএনপি জনগণের আকাঙ্খা পূরণ করতে বদ্ধ পরিকর। বিএনপির রাজনীতি এদেশের মানুষের ওপর নির্ভরশীল। তাদের একমাত্র দায়িত্ব আগামী দিনে দেশে জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।
সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাদের যদি সংস্কারের খুব বেশি ইচ্ছা থাকে, তাহলে তারা যে কমিশনের রিপোর্টগুলো তৈরি করেছে সেগুলো আমরা আগামী নির্বাচিত সংসদে পেশ করতে রাজি আছি। সংসদে আলোচনা করে সবাই মিলে যেখানে সংস্কার প্রয়োজন সেটা করবে। সব চেয়ে বড় কথা হলো বিএনপি ৩১ দফা বাস্তবায়ন করবে। আমরা জাতির কাছে প্রতিজ্ঞা বদ্ধ। সংস্কারের ব্যাপারে কারো কোনো মাথা ব্যাথার প্রয়োজন নেই।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলোর সভাপতিত্বে সদস্য সচিব হারুনুর রশিদ আজাদের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্যাহ বুলু। এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদিন ফারুক, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীমসহ অনেকে।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, আইন শৃঙ্খলার উন্নয়ন ও দ্রুত সময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে নোয়াখালী জেলা বিএনপি এ সমাবেশের আয়োজন করে।
এম জি
.উৎস: SunBD 24
এছাড়াও পড়ুন:
জটিলতায় আটকা ১১ কোটির সেতু
গাইবান্ধা-গোবিন্দগঞ্জ-নাকাইহাট সড়কে ফুটানী বাজারসংলগ্ন এলাকায় রয়েছে শাকদহ বেইলি সেতু। জেলা শহরে মানুষের যোগাযোগের জন্য যাতায়াতের পথে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জায়গাটিতে কংক্রিটের সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর। এদিকে অধিগ্রহণের টাকা না পেয়ে জমি ছাড়ছেন না মালিকরা। এতে আটকে গেছে সেতুর নির্মাণকাজ।
জানা গেছে, বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ‘প্রোগ্রাম ফর সাপোর্টিং রুরাল ব্রিজেস (এসইউপিআরবি)’ প্রকল্পের আওতায় জেলায় ছয়টি প্যাকেজে ৬২ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। এর মধ্যে গাইবান্ধা-গোবিন্দগঞ্জ-নাকাইহাট সড়কে ফুটানী বাজারসংলগ্ন এলাকায় প্রায় ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৪ মিটার দীর্ঘ শাকদহ সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে।
২০২২ সালের ৬ ডিসেম্বর কার্যাদেশ দেওয়া হয়। ২০২৩ সালের ২২ মে সেতু নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছিল। জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় সে কাজ শেষ হয়নি। মাসুদ হাইটেক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি বাস্তবায়ন করছে। নির্মাণ শেষ না হওয়ায় চলাচলে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন মানুষ।
স্থানীয় কুন্দেরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ফজলুর রহমান বলেন, সেতুর নির্মাণকাজ ঠিকমতোই হচ্ছিল। আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় এমনটি হয়েছে। সাধারণ মানুষ এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে সব জটিলতা কাটিয়ে দ্রুত এ কাজের বাস্তবায়ন চায়।
বেইলি সেতু দিয়ে নিয়মিত চলাচল করেন ধর্মপুর এলাকার বাসিন্দা মো. নুরুল ইসলাম। তিনি বলছিলেন, অধিগ্রহণ জটিলতায় পাকা সেতুটির কাজ আটকে আছে। বেইলি সেতুও ঝুঁকিপূর্ণ। কিছুদিন আগেও পাটাতন ভেঙে পড়েছিল।
সরেজমিনে দেখা যায়, নির্মাণাধীন সেতু ও বেইলি সেতুটি পাশাপাশি। বেইলি সেতুর বিভিন্ন স্থান ভাঙা। ঝুঁকি নিয়ে এর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। নির্মাণাধীন সেতুর এক-তৃতীয়াংশ কাজ শেষ হওয়ার পর প্রায় দু’মাস ধরে বন্ধ আছে। এ তথ্য জানিয়ে নির্মাণশ্রমিক মোখলেছুর রহমান বলেন, মানুষ জমি না ছাড়ায় কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক মো. মাসুদ বলেন, সেতুটির বেশির ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। অল্প কিছু জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন। সে প্রক্রিয়া শেষ করে সড়ক বিভাগ জমি বুঝিয়ে দিতে পারছে না। জমি পেলে বাকি কাজ কিছু দিনের মধ্যে শেষ হবে।
সেতু এলাকায় জমির মালিক পুন্ডল বাবু ও আ. রাজ্জাক। তাদের ভাষ্য, সেতুর ৭০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে, কিন্তু তারা টাকা পাননি। জমি অধিগ্রহণে চার ধারা নোটিশ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। টাকা পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত কাজ করতে দেবেন না।
দুই-তৃতীয়াংশের বেশি কাজ শেষ হয়েছে জানিয়ে গাইবান্ধা সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আজমল হোসেন বলেন, অধিগ্রহণের কাজ শেষ না হওয়ায় বাকি কাজ আটকে আছে। এ প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করা হচ্ছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জহির ইমাম বলেন, অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শেষ করতে তারা কাজ করছেন।