দেশব্যাপী নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ডাকা হরতাল কর্মসূচির প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জে ফতুল্লা থানা মৎসজীবি দলের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল করেছে নেতাকর্মীরা। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ফতুল্লার পঞ্চবটি এলাকায় হরতাল বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল বের করে।

এদিকে ফতুল্লা থানা মৎসজীবি দলের সভাপতি সলিমুল্লাহ হ্রদয়, সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ হাসান শুভ'র নেতৃত্বে হরতাল বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল বের করে। তারা পঞ্চবটি মেথরখোলা থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের করে ঢাকা-মুন্সিগঞ্জ সড়কের পঞ্চবটি মোড় হয়ে বিভিন্ন সড়ক পদক্ষিণ করেন।

আওয়ামী লীগ ও ছাত্র লীগের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের স্লোগান সহ নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারী দেন মৎসজীবি দলের নেতারা। 

মৎসজীবি দলের নেতারা বলেন, ছাত্র আন্দোলনের মুখে সৈরাচার হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগের এমপি মন্ত্রী সহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পালিয়ে যায় এবং অনেক নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে চলে যায়। হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়।

সেখানে বসে দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করতে থাকে। ইদানিং দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে আওয়ামী লীগের ফেইসবুকে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করতে থাকে। আওয়ামী লীগ সহ নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ হরতাল ডাক দিয়ে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি অপচেষ্টা করছে।

এসব সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করতে জাকির খানের কর্মীরাই যথেষ্ট। বিশেষ করে ফতুল্লায় যারা হরতালের নামে রাস্তায় নামার চেষ্টা করবে মৎসজীবি দল কঠোর ভাবে দমন করার ঘোষণা দেয়। 

বিক্ষোভ মিছিলে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা মৎসজীবি দলের দপ্তর সম্পাদক আদনান ইব্রাহিম, ফতুল্লা থানা মৎসজীবি দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল বেপারী, এনায়েতনগর ইউনিয়ন মৎসজীবি দলের সভাপতি তারেক হাসান শুভ, বক্তাবলী ইউনিয়ন মৎসজীবি দলের সভাপতি মোশারফ হোসেন প্রমুখ।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ কর ম র দল র স হরত ল আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

শেখ হাসিনার মতো এখনও নির্বাচন নিয়ে তালবাহানা শুরু হয়েছে: আব্দুস সালাম

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম বলেছেন, শেখ হাসিনার মতো দেশে এখনও নির্বাচন নিয়ে তালবাহানা শুরু হয়েছে। নির্বাচন পেছানো মানে ফ্যসিস্টকে আবার ফিরে আসার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া। তিনি বলেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে নির্বাচন না দিলে গণতন্ত্র ফিরবে না।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় বগুড়া শহরের মফিজ পাগলার মোড়ে স্থানীয় একটি মোটেলে রাজশাহী বিভাগের সব জেলা-মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম বলেন, গণতন্ত্র উদ্ধারে বিএনপি ১৬ বছর রাজপথে ছিল। নির্বাচন নিয়ে কোনো তালবাহানা করলে বিএনপি তা মানবে না। তাই, নির্বাচন পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। প্রতিটি রাজনৈতিক দলসহ দেশের জনগণ চায় অতিদ্রুত নির্বাচন। কিন্তু কেউ কেউ আবার চান নির্বাচন যেন দেরিতে অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে কালক্ষেপণ করলে দেশে আবারও ফ্যাসিস্টরা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হবে। 

তিনি বলেন, এই দেশ জনগণের। তাই জনগণের নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। বিএনপি বর্তমান সরকারকে সহযোগিতা করছে। তার মানে এই না জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার ভোট না দিয়ে ক্ষমতার গদি আঁকড়ে ধরবেন। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে গা ঢাকা দিয়েছেন। তিনি সেখানে বসে বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন। ফ্যাসিস্টদের কোনো ষড়যন্ত্র এই দেশে বাস্তবায়ন হতে দিবে না বিএনপি। বাংলাদেশের গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতাকে রক্ষা করার জন্যই বিএনপি জন্মলাভ করেছে। যেখানে আওয়ামী লীগ ব্যর্থ হয়েছে, সেখানে বিএনপি সফল হয়েছে। যেখানে শেখ মুজিব ব্যর্থ হয়েছে, সেখানে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সফল হয়েছেন। যেখানে শেখ হাসিনা ব্যর্থ হয়েছেন সেখানে আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে লড়াই করে সফল হয়েছেন। জনগণই তাকে রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছেন বার বার।

চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম বলেন, পতিত শেখ হাসিনাকে বলা হয়েছিল, বিনা ভোটে না গিয়ে নির্বাচনের পথে হাঁটুন। কিন্তু তিনি ক্ষমতার দম্ভে নির্বাচনের পথে যাননি। আজকে নির্বাচনের মাধ্যমে পরাজয় হলে পেছনের দরজা দিয়ে তাকে ভারতে পালাতে হতো না। ভারতে আশ্রয় নিতে হতো না। তাই ক্ষমতা দেখানোর কিছু নেই। ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়। ক্ষমতা পেয়ে পতিত আওয়ামী লীগ সরকার যা খুশি তা শুরু করেছিল। তাই ক্ষমতার দম্ভ কমাতে হবে। জনগণ কী চায় সেটা জানতে হবে। জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আগামী দিনে ক্ষমতায় যেতে হবে। এমন কোনো কাজ করা যাবে না, যাতে জনগণ বিএনপিকে খারাপভাবে, দোষারোপ করেন।

বিএনপি রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত খালেকের সভাপতিত্বে ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, রাজশাহী বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চন্দন, কৃষক দল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি জাহির রায়হান আহমেদ, বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল বাসার প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শেখ হাসিনার মতো এখনও নির্বাচন নিয়ে তালবাহানা শুরু হয়েছে: আব্দুস সালাম
  • ওয়াক্‌ফ আইন মুসলমানদের ছন্নছাড়া করার ষড়যন্ত্র
  • ‘জামায়াত-শিবিরকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করলে ৫ মিনিটে পরিণতি ভয়াবহ হবে’
  • বিরল জাতের বিড়ালজাতীয় প্রাণী অনলাইনে বিক্রির সন্দেহে স্পেনে দম্পতি গ্রেপ্তার