রাশমিকা মান্দানা ও ভিকি কৌশল অভিনীত আলোচিত সিনেমা ‘ছাবা’। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারতের ৪ হাজার পর্দায় মুক্তি পায় এটি। রাশমিকা মান্দানা অভিনীত চলতি বছরে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম সিনেমা এটি।

লক্ষ্মণ উতেকার পরিচালিত এ সিনেমা নির্মাণে খুব বড় অঙ্কের অর্থ ব্যয় হয়নি। তবে মুক্তির প্রথম দিনই বক্স অফিসে সাড়া ফেলে এটি। সেই ধারাবাহিকতা এখনো বজায় রয়েছে। এরই মধ্যে আড়াই শ’ কোটি রুপি আয়ের পথে ছুটে চলেছেন ভিকি-রাশমিকা। কিন্তু এ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য কে কত টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন?

কইমইয়ের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ছত্রপতি সম্ভাজি মহারাজের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ভিকি কৌশল। এজন্য তাকে ১০ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৩ কোটি ৯৮ লাখ টাকার বেশি) পারিশ্রমিক দিতে হয়েছে; যা সিনেমার মোট বাজেটের সাত শতাংশ। ‘ব্যাড নিউজ’ সিনেমার জন্যও একই পরিমাণ পারিশ্রমিক নেন ভিকি। যদিও ‘উরি: দ্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ সিনেমার জন্য ১২ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন ভিকি।

আরো পড়ুন:

ভিকি-রাশমিকার জয়রথ চলছেই

৪ দিনে রাশমিকা-ভিকির সিনেমার আয় ২৭৩ কোটি টাকা

সম্ভাজি মহারাজের স্ত্রী অর্থাৎ ভিকির স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয়ের জন্য রাশমিকা মান্দানা নিয়েছেন ৪ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকার বেশি)। সিনেমাটিতে মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেবের চরিত্র রূপায়ন করেছেন অক্ষয় খান্না। গুণী এই অভিনেতা নিয়েছেন আড়াই কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩ কোটি ১৫ লাখ টাকার বেশি)। এর আগে ‘দৃশ্যম টু’ সিনেমায় অভিনয় করেন অক্ষয় খান্না। ২০২২ সালে মুক্তি পায় এটি। সিনেমাটির জন্য ২ কোটি রুপি নিয়েছিলেন। সে হিসাব অনুযায়ী, পারিশ্রমিক বৃদ্ধি করেছেন তিনি।

তা ছাড়া অভিনেতা আশুতোষ রানা, দিব্যা দত্ত যথাক্রমে পারিশ্রমিক নিয়েছেন— ৮০ ও ৪৫ লাখ রুপি।

দীনেশ বিজন প্রযোজিত এ সিনেমা নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৪০ কোটি রুপি। পাঁচদিনে বিশ্বব্যাপী সিনেমাটির মোট আয় দাঁড়িয়েছে ২২৮.

৮৫ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩২০ কোটি ৪৮ লাখ টাকার বেশি)।

ঢাকা/শান্ত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

আমি কারও নিয়ন্ত্রণে থাকার জন্য আসিনি: বাঁধন

ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পাশাপাশি রাজপথেও সরব ছিলেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। এরপর কয়েক মাস নিজেকে আড়াল করে নিয়েছিলেন। তবে আবারও সামাজিক মাধ্যমে সরব হয়েছেন তিনি। অভিনেতা ইরেশ যাকেরের বিরুদ্ধে হওয়া হত্যা মামলার ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী।

মঙ্গলবার সকালে এক ফেসবুক পোস্টে বাঁধন জানান, কারও প্রশংসা কিংবা স্বীকৃতির প্রয়োজন নেই তার। যে যা-ই বলুক, নিজের অবস্থানে অটল থাকেন তিনি।

আজমেরী হক বাঁধন লিখেছেন, ‘আমি এখানে কারও নিয়ন্ত্রণে থাকার জন্য আসিনি। আমার জীবন, আমার নিয়ম-আমি কী করব, কীভাবে বাঁচব, আর কী হব, তা একমাত্র আমিই ঠিক করি। আমার পথ আমি নিজেই বেছে নিই, আমার সিদ্ধান্ত আমার নিজের।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘কারও অনুমতি, প্রশংসা কিংবা স্বীকৃতির প্রয়োজন নেই আমার। আমি শুনি যখন চাই, করি যখন মন চায়, আর যে যা-ই বলুক, নিজের অবস্থানে অটল থাকি। আমাকে নিয়ন্ত্রণ করবে? কখনও না, কোনোদিন না।’

এর আগে সোমবার ইরেশ যাকেরের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদ জানিয়ে বাঁধন লেখেন, ‘ইরেশ যাকের সবসময় সত্যের পক্ষে ছিলেন। সংগ্রামের প্রতিটি মুহূর্তে তিনি আমাদের পাশে ছিলেন, ছাত্রদের পাশে ছিলেন। ৪ আগস্ট কারফিউ ঘোষণার সময় আমরা একসঙ্গে শাহবাগে ছিলাম। সেই রাতে গণভবন যাওয়ার চাপ ছিল তীব্র। কিন্তু ইরেশ যাকের প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি চাপের মুখে না গিয়ে সত্যের সঙ্গে দাঁড়ানোর কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আজ তাকে হেনস্তা হতে দেখা হৃদয়বিদারক।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ