গোপালগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যান্সার সচেতনতাবিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত
Published: 19th, February 2025 GMT
গোগালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গোবিপ্রবি) ‘বাংলাদেশে ক্যান্সার শিক্ষা ও সচেতনতা’ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় একাডেমিক ভবনের ১১৩ নম্বর কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এ সেমিনার আয়োজন করে।
দেশে নারীদের ক্যান্সার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সামাজিক কুসংস্কার ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ইউনেস্কোর অর্থায়নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি বিভাগ এ সেমিনার পরিচালনা করে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড.
এছাড়া প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. সাবিনা ইয়াসমিন, সহযোগী অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুবুর রশিদ ও প্রভাষক মিসেস কানিজ ফাতেমা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর বলেন, “এ সেমিনারে শিক্ষা ও সচেতনতা দুটো বিষয় আছে। এর মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা জানতে পারবে ক্যান্সার কেন হয় এবং কীভাবে তা প্রতিরোধ করা যায়। কারণ ক্যান্সারের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। যা একটি পরিবারকে নিঃস করে দেয়। আবার অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসাও সম্ভব হয় না।”
তিনি বলেন, “এখন আগেই জানা সম্ভব, কারো ক্যান্সার হবে কি না। সে অনুযায়ী পরামর্শ মেনে চললে ক্যান্সার এড়ানো যায়। কাজেই আমাদের মূল লক্ষ্য থাকবে, কীভাবে সুস্থ জীবন যাপন করা যায়। শিক্ষার্থীরা আলোকিত মানুষ হয়ে সমাজে আলো ছড়াবে। তাদের সেই পথে এ সেমিনার নতুন কিছু যোগ করবে বলে আমার প্রত্যাশা।”
ঢাকা/রিশাদ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পুলিশ কোনো দলের তল্পিবাহক হয়ে কাজ করবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, “পুলিশ কোনো দলের তল্পিবাহক হয়ে, কোনো দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন কিংবা তাদের অন্যায্য এবং অন্যায় নির্দেশনা পালন করতে গিয়ে অপেশাদার আচরণ ও বেআইনি কাজ করবে না।”
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে ৪০তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচের শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারদের (এএসপি) প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অভিবাদন গ্রহণ করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
কুচকাওয়াজে ৪০তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচের ৫৭ জন ছাড়াও ৩৮তম বিসিএস ব্যাচের তিনজন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন।
আরো পড়ুন:
বিয়েতে গান বাজানোয় প্রতিবেশীর মারধরে বরের চাচা নিহত
কুয়েট শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা: বিএনপি ও যুবদলের ৪ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
এর আগে, গত ২০ অক্টোবর প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজের জন্য দিন ঠিক করা হয়েছিল। কিন্তু আগের রাতে হঠাৎ করে অনুষ্ঠান স্থগিত করে দেওয়া হয়। এরপর ২৪ নভেম্বর সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের দিন ঠিক করা হয়। সেটিও পরে স্থগিত হয়। গত ১৫ ডিসেম্বর ৪০ ব্যাচের ২৫ জন প্রশিক্ষণার্থীর কাছে কৈফিয়ত তলবের চিঠি দেওয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে প্রশিক্ষণরত ছয়জন এএসপিকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়। এরপর রবিবার প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হলো।
উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “বাংলাদেশ পুলিশ প্রজাতন্ত্রের স্বাধীন কর্মচারী। যারা সুনির্দিষ্ট আইন মেনে চলেন। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ রাষ্ট্রের সব নাগরিকের সার্বিক নিরাপত্তা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করবে।”
উপদেষ্টা প্রশিক্ষণের বিভিন্ন বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে পুরস্কার প্রদান করেন। এবার বেস্ট প্রবিশনার, বেস্ট অ্যাকাডেমিক ও বেস্ট শুটার হয়েছেন এএসপি রুহুল আমিন লাবু। ফিল্ড অ্যাক্টিভিটিস ও ঘোড়সওয়ারে শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হয়েছেন এএসপি এম সায়েলিন।
অনুষ্ঠানে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম ও পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ অতিরিক্ত আইজিপি মাসুদুর রহমান ভূঞা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত আইজিপি আবু নাছের মোহাম্মদ খারেদ, বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ, ১১ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল এস এম আসাদুল হকসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা।
ঢাক/কেয়া/মাসুদ