বন্দরে যুবদল নেতা হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল
Published: 19th, February 2025 GMT
দেশব্যাপী আওয়ামী লীগের হরতাল ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বন্দর থানা যুবদল নেতা ও বন্দর সিএনজি স্ট্যান্ড এর সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টায় বন্দর স্কুল ঘাট থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয় বন্দরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিন করে বন্দর ঘাটে এসে প্রতিবাদ সভার মাধ্যমে শেষ হয়।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রতিবাদ সভায় যুবদল নেতা হুমায়ুন কবির বলেন, দেশব্যাপী আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের নৈরাজ্য ও ধ্বংসাত্মক মূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আমরা মাঠে নেমেছি৷ আল্লাহ তরফ থেকে শেখ হাসিনার উপর গজব পড়েছে যার কারণে তিনি এই দেশ থেকে বিতাড়িত হয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন। কিন্তু সেখানে গিয়েও এই ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করছে।
ক্ষমতার লোভ তিনি এখনো ছাড়তে পারেনি। হাসিনা আপনার মনে রাখা উচিত ফেরাউন আর নমরুদ এদেরও পতন হয়েছে। এখন থেকে বন্দরে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী যারা আছেন তারা যদি কোন ধরনের হরতাল মিছিল মিটিং বন্দরের মাটিতে করতে চান তাহলে আপনাদেরকে আমি হুঁশিয়ার করে দিতে চাই বাসায় থাকতে পারবেন না যেখানে পাবো সেখানেই আপনাদেরকে ধরে আইনের হাতে সোপর্দ করব।
এসময় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সজিব, যুবদল নেতা রাসেল, আরিফ,মডেল বাবু, কামাল, মেহেদী,রাজীব,সজীব, রহিম, সালামত, জজ, বিপ্লব, রিদয়, জুয়েল প্রধান সহ প্রমুখ নেতাকর্মীবৃন্দ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: য বদল ন র য়ণগঞ জ য বদল ন ত
এছাড়াও পড়ুন:
আজও গোবিন্দগঞ্জে যানবাহনের ধীরগতি
ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের গোবিন্দগঞ্জের চার রাস্তা মোড়ে শনিবার দিনভরই থেমে থেমে যানজট ও ধীরগতি দেখা গেছে। সওজের সাসেক প্রকল্পের নির্মাণ কাজের পাশাপাশি ঢাকা-উত্তরাঞ্চলগামী দূর ও স্বল্পপাল্লার বাস থেকে যাত্রী যত্রতত্র উঠা-নামায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। যদিও সেনাবাহিনী, ট্র্যাফিক ও হাইওয়ে পুলিশসহ আনসার সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করছেন। তবে পরিবহন চালকরা নিয়ম না মেনে যাত্রী উঠা-নামা করায় কৃত্রিম যানজট ও ধীরগতির সৃষ্টি হচ্ছে।
গোবিন্দগঞ্জ চার রাস্তা মোড়ে পুলিশ বক্সে দায়িত্বরত ইন্সপেক্টর ওসমান আলী জানান, সওজের কাজের কারণে রাস্তায় এমনিতেই সরু। তার ওপর যত্রতত্র যানবাহন থেকে যাত্রী উঠা-নামায় অল্প সময়ের জন্য যানবাহনের ধীরগতি হলেও শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছেন। দীর্ঘ সময়ের জন্য কোনো ধরনের যানজট ধীরগতি সৃষ্টি করতে দেওয়া হচ্ছে না।
টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে সিরাজগঞ্জ, বগুড়া হয়ে রংপুর পর্যন্ত ১৯০ কিলোমিটার মহাসড়কে গত সাড়ে আট বছর থেকে সওজের সাউথ এশিয়ান ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক-২) প্রকল্পের কাজ চলছে। ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় গাইবান্ধার পলাশবাড়ি ও গোবিন্দগঞ্জ মোড়ে এখনও কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। এতে ঈদের আগে এই দুই স্থানেই বেশি জটলা বাঁধছে।
সওজের সাউথ এশিয়ান ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক-২) প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) ড. ওয়ালিউর রহমান বলেন, সাড়ে আট বছর আগে কাজ শুরু হলেও মূলত জোরেশোরে শুরু হয় করোনা শেষে। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি। ভূমি অধিগ্রহণ কাজের জটিলতার জন্য গোবিন্দগঞ্জ ও পলাশবাড়ীতে কাজ শুরু করতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। আশা করছি, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই ইনশাল্লাহ পুরো কাজ হবে। আগামী বছর থেকে চার রাস্তা সম্প্রসারণ সুফল উত্তরাঞ্চলবাসীর পুরোপুরি ভোগ করতে পারবে।
গাইবান্ধা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিয়াস কুমার সেন বলেন, হাইওয়ের কাজ করছে সাসেক-২ প্রকল্প। তাদের কাজ এখনও চলমান। আমাদের কাছে সড়ক বুঝিয়ে দেওয়ার পর রাস্তার পাশের অবৈধ স্থাপনাসহ সড়কের সার্বিক দেখভাল করবে গাইবান্ধা সড়ক বিভাগ।
বগুড়া রিজিয়ন হাইওয়ে পুলিশের এসপি (অতিরিক্ত ডিআইজি পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মো. শহীদুল্লাহ বলেন, ঢাকা রংপুর মহাসড়কের সিরাজগঞ্জ-বগুড়া অংশে শনিবার দুপুর পর্যন্ত যানজট হয়নি। বরং ঢাকা-উত্তরাঞ্চলগামী যানবাহন দুই লেন দিয়েই স্বাভাবিকভাবে চলছে।