বদলে গেল রাজধানীর ১০ সড়ক ও স্থাপনার নাম
Published: 19th, February 2025 GMT
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বজনদের নামে থাকা পাঁচটি সড়ক, পার্ক ও সেতুসহ মোট ১০টি স্থাপনার নাম পরিবর্তন করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এর মধ্যে সংস্থার সাবেক দুই মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ও ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের নামে থাকা দুটি স্থাপনারও নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। বুধবার ডিএসসিসির চতুর্থ করপোরেশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিএসসিসির নবনিযুক্ত প্রশাসক মো.
সভায় মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফজলুল হক মণি সরণির নাম পরিরর্তন করে ইনার রিং সড়ক, মুক্তিযোদ্ধা শেখ জামাল সরণির নাম পরিবর্তন করে ঝাউচর প্রধান সড়ক, মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সরণির নাম পরিবর্তন করে কামরাঙ্গীরচর লোহারপুল–বুড়িগঙ্গা সড়ক, শহীদ শেখ রাসেল শিশু পার্ক, কলাবাগানের নাম পরিবর্তন করে কলাবাগান শিশুপার্ক, শহীদ শেখ রাসেল শিশুপার্ক, যাত্রাবাড়ির নাম পরিবর্তন করে যাত্রাবাড়ি শিশুপার্ক, মেয়র তাপস সেতুর নাম পরিবর্তন করে কামরাঙ্গীরচর ব্রিজ, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী শিশুপার্কের নাম পরিবর্তন করে শহীদ জিয়া শিশুপার্ক, মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্রের নাম পরিবর্তন করে গেন্ডারিয়া সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র, মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন পার্কের নাম পরিবর্তন করে সরাফতগঞ্জ পার্ক, মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্রের নাম পরিবর্তন করে কামরাঙ্গীরচর সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র নামকরণের সিদ্ধান্ত হয়।
পরিবর্তিত নামেই এসব স্থাপনা এক সময় পরিচিত ছিল। সাঈদ খোকন ও ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র থাকাকালীন এগুলোর নতুন নামকরণ করা হয়।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রশাসক শাহজাহান মিয়া বলেন, জুলাই–আগস্টে ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের পর নতুন করে জনপ্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। জুলাইয়ের চেতনাকে ধারণ করে সীমিত সম্পদ দিয়ে সর্বোচ্চ নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ম জ ক অন ষ ঠ ন ক ন দ র ড এসস স
এছাড়াও পড়ুন:
‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নাম বদলের যৌক্তিক কারণ জানানোর দাবি
মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নাম বদলে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ নামকরণ করার যৌক্তিক কারণ জানানোর দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) একদল শিক্ষার্থী। তারা নিজেদের চারুকলা অনুষদের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।
সোমবার ঢাবির চারুকলা অনুষদে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে চারুকলা অনুষদের প্রিন্ট মেকিং বিভাগের শিক্ষার্থী পরিচয় দিয়ে জাহারা নাজিফা নামে একজন বলেন, ‘মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন করে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা হবে। আমরা এ সিদ্ধান্ত সমর্থন করছি না। চারুকলার শিক্ষার্থীদের মতামত ছাড়া এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা বাদ দেওয়ার একটি যৌক্তিক কারণ আমাদের দেখান। ১৯৮৯ সাল থেকে এ শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারও মঙ্গল শোভাযাত্রাকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেছে। এখানে এভাবে রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করছি।’ ভবিষ্যতে এ ধরনের জটিলতা এড়াতে নীতিমালা করার দাবি জানান তিনি।
স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন কেন্দ্র করে ১৯৮৯ সালে এটি আনন্দ শোভাযাত্রা হিসেবে শুরু হয়েছিল। ১৯৯৬ সাল থেকে এটি ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামকরণ করা হয়েছিল। প্রায় ২৮ বছর পর এটি পুরনো নামে ফিরলো।
গত শুক্রবার মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন করে আনন্দ শোভাযাত্রা করা প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ‘আমরা নাম পরিবর্তন করছি না। আমরা পুরোনো নাম এবং ঐতিহ্যে ফেরত যাচ্ছি, যেটা দিয়ে চারুকলার এই কার্যক্রম শুরু হয়েছিল।’