চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা ২৬ জুন থেকে শুরু হবে। পরীক্ষা শেষ হবে ১০ আগস্ট। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১১ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে ২১ আগস্ট শেষ হবে।  

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করেছে।

সময়সূচিতে পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ নির্দেশাবলী দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে। প্রথমে বহুনির্বাচনী ও পরে সৃজনশীল-রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৩০ নম্বরের বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ৩০ মিনিট এবং ৭০ নম্বরের সৃজনশীল (সিকিউ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট।

আরো পড়ুন:

২০২৫ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা দুই মাস পেছাচ্ছে

এইচএসসি ফল
কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে ফেল করা শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ 

ব্যবহারিক বিষয়-সংবলিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে ২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনী পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২৫ মিনিট এবং ৫০ নম্বরের সৃজনশীল পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট। পরীক্ষা বিরতিহীনভাবে প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় পর্যন্ত চলবে। এমসিকিউ ও সিকিউ দুই অংশের পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না।

সকাল ১০টা থেকে অনুষ্ঠেয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে সকাল সাড়ে ৯টায় অলিখিত উত্তরপত্র ও বহুনির্বাচনী ওএমআর শিট বিতরণ সকাল ১০টায় বহুনির্বাচনী প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে।

সকাল সাড়ে ১০টায় বহুনির্বাচনী উত্তরপত্র সংগ্রহ ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে। (২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনী পরীক্ষার ক্ষেত্রে এ সময় ১০.

২৫ মিনিট)। আর দুপুর ২টা থেকে অনুষ্ঠেয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে দুপুর দেড়টায় অলিখিত উত্তরপত্র ও বহুনির্বাচনী ওএমআর শিট বিতরণ। দুপুর ২টা বহুনির্বাচনী প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে। দুপুর আড়াইটায় বহুনির্বাচনী উত্তরপত্র সংগ্রহ ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে। (২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনী পরীক্ষার ক্ষেত্রে এ সময় ২.২৫ মিনিট)

প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষার্থীরা তাদের প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছ থেকে সংগ্রহ করবে।

প্রত্যেক পরীক্ষার্থী সরবরাহকৃত উত্তরপত্রে তার পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি ওএমআর ফরমে যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করবে। কোনো অবস্থাতেই মার্জিনের মধ্যে লেখা কিংবা অন্য কোনো প্রয়োজনে উত্তরপত্র ভাজ করা যাবে না। পরীক্ষার্থীকে তত্ত্বীয়, বহুনির্বাচনী ও ব্যবহারিক অংশে (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) আলাদাভাবে পাস করতে হবে।

প্রত্যেক পরীক্ষার্থী কেবল রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশ পত্রে উল্লিখিত বিষয়-বিষয়গুলোর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। কোনো অবস্থাতেই অন্য বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।

কোনো পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নিজ কলেজ-প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে না, পরীক্ষার্থী স্থানান্তরের মাধ্যমে আসন বিন্যাস করতে হবে। পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে। প্রোগ্রামিং ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না।

ঢাকা/হাসান/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এইচএসস পর ক ষ র ক ষ ত র গ রহণ করত পর ক ষ র থ ব যবহ র ক র পর ক ষ স জনশ ল অন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় বর্ষের পরীক্ষার্থীদের জন্য ১৯টি বিশেষ সতর্কতা

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ২০২৩ সালের ৩য় বর্ষের (নিয়মিত, অনিয়মিত ও গ্রেড উন্নয়ন) পরীক্ষা শুরু ২৪ এপ্রিল। পরীক্ষা শুরু হবে প্রতিদিন বেলা একটা থেকে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ‘পরীক্ষার শৃঙ্খলা–সম্পর্কিত ১৯টি অপরাধ’—এর তালিকা প্রকাশ করেছে, যা প্রতিটি পরীক্ষার্থীর অবশ্যই মেনে চলতে হবে। কোন অপরাধের কী শাস্তি হবে, তা দেওয়া হলো।

আরও পড়ুনমাদ্রাসা ও কারিগরির শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারীরা পাবেন অনুদান, আবেদনের সময় আরও ১০ দিন১৪ এপ্রিল ২০২৫

পরীক্ষা শৃঙ্খলা–সম্পর্কিত ১৯ অপরাধ

ক. পরীক্ষাকক্ষে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করা ও কথাবার্তা বলা;
খ. পরীক্ষাকক্ষে ধূমপান করা;
গ. পরীক্ষার হলে মুঠোফেন বা কোনো ইলেকট্রনিকস সামগ্রী বহন;
ঘ. দূষণীয়/অননুমোদিত কাগজপত্র সঙ্গে রাখা;
ঙ. দূষণীয়/অননুমোদিত কাগজপত্র থেকে উত্তরপত্রে লেখা;
চ. প্রশ্নপত্রে উত্তর লেখা/প্রশ্নপত্রে লেখা উত্তর থেকে উত্তরপত্রে লেখা;
ছ. পরীক্ষার হলে মুঠোফোন বা কোনো ইলেকট্রনিকস সামগ্রী ব্যবহার করে উত্তরপত্রে লেখা;
জ. পরীক্ষাকক্ষের নির্দিষ্ট স্থানের পরিবর্তে অবৈধভাবে অন্য স্থানে আসন গ্রহণ করা;
ঝ. ডেস্ক, বেঞ্চ, কাপড়, শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, ব্ল্যাকবোর্ড, কক্ষের দেওয়াল বা অন্য কিছুতে লেখা এবং সেখান থেকে উত্তরপত্র লেখা;
ঞ. উত্তরপত্রে অস্বাভাবিক, আপত্তিকর কিছু লেখা, অযৌক্তিক কোনো মন্তব্য করা অথবা উত্তরপত্রের মধ্যে টাকা রাখা;
ট. রোল নম্বর পরিবর্তন/পরস্পর রোল নম্বর বিনিময় করা (উত্তরপত্র একে অপরের সঙ্গে পরিবর্তন);
ঠ. মিথ্যা অজুহাত দেখিয়ে বিশেষ সুবিধা গ্রহণ/সুবিধা গ্রহণের চেষ্টা করা;
ড. মিথ্যা পরিচয় প্রদান করে অবৈধভাবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা;
ঢ. পরীক্ষাকক্ষ থেকে উত্তরপত্র বাইরে পাচার করা বা বাইরে থেকে লেখা উত্তরপত্র সংযোজন করা;

আরও পড়ুনঅস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস স্কলারশিপে আবেদন শুরু, আইএলটিএসে ৬.৫ অথবা টোয়েফলে ৮৪ হলে আবেদন ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ণ. উত্তরপত্রের কভার পৃষ্ঠা পরিবর্তন করা;
ত. ইনভিজিলেটরের কাছে উত্তরপত্র দাখিল না করে পরীক্ষার হল ত্যাগ করা, ইনভিজিলেটর কর্তৃক চাহিবামাত্র দূষণীয় কাগজপত্র প্রদান না করে তা নাগালের বাইরে ফেলা/ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করা/গিলে ফেলা;
থ. উত্তরপত্র বিনষ্ট করা/ছিঁড়ে ফেলা, দূষণীয় কাগজপত্র/দ্রব্যাদি, উত্তরপত্র বা প্রবেশপত্র ইত্যাদি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করা বা জব্দ করার ক্ষেত্রে কোনোরূপ বাধা সৃষ্টি করা;
দ. পরীক্ষার কক্ষে পরীক্ষার কাজে নিয়োজিত ইনভিজিলেটর/কর্তব্যরত ব্যক্তি সম্পর্কে কটূক্তি, গালাগাল, তাঁর সঙ্গে অসদাচরণ বা তাঁকে কোনোরূপ ভীতি প্রদর্শন করা। পরীক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত কোনো ব্যক্তি/ব্যক্তিবর্গকে পরীক্ষার হলে বা হলের বাইরে লাঞ্ছিত করা বা লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করা। পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষাকক্ষে কেন্দ্র চত্বর বা বাইরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি, স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা অথবা পরীক্ষা পরিচালনার সঙ্গে জড়িত কোনো ব্যক্তির সঙ্গে অসদাচরণ করলে বা তাঁকে দৈহিক আক্রমণ করলে;
ধ. সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠানে কোনোরূপ বাধা সৃষ্টি, গোলযোগ সৃষ্টি, অন্যকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণে বাধা প্রদান, অন্য পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষার হল ত্যাগে বাধ্য না উসকানি প্রদান, পরীক্ষাকক্ষ ও আসবাব ভাঙচুর করা বা আগুন দেওয়া।

অপরাধের শাস্তিমূলকব্যবস্থা

ক. পরীক্ষাসংক্রান্ত ওপরের অপরাধের জন্য পরীক্ষা শৃঙ্খলা কমিটি নিচের শাস্তির সুপারিশ করতে পারবে।
১. ক থেকে ঘ পর্যন্ত বর্ণিত অপরাধের জন্য। শাস্তি: সংশ্লিষ্ট বছরের পরীক্ষা বাতিল।
২. ঙ থেকে ঞ পর্যন্ত বর্ণিত অপরাধের জন্য। শাস্তি: সংশ্লিষ্ট বছরের পরীক্ষা বাতিলসহ পরবর্তী এক বছর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
৩. ট থেকে ঠ পর্যন্ত বর্ণিত অপরাধের জন্য। শাস্তি: সংশ্লিষ্ট বছরের পরীক্ষা বাতিলসহ পরবর্তী (পরপর) দুই বছর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
৪. ড থেকে ণ পর্যন্ত বর্ণিত অপরাধের জন্য। শাস্তি: সংশ্লিষ্ট বছরের পরীক্ষা বাতিলসহ পরবর্তী (পরপর) তিন বছর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
৫. ত থেকে ধ পর্যন্ত বর্ণিত অপরাধের জন্য। শাস্তি: সংশ্লিষ্ট বছরের পরীক্ষা বাতিলসহ পরবর্তী (পরপর) চার বছর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
৬. ন-বর্ণিত অপরাধের জন্য। শাস্তি: শৃঙ্খলা কমিটি অপরাধের মাত্রা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত দেবে।
খ. পরীক্ষার্থীর কোনো অপরাধ ওপরের শাস্তির আওতায় না পড়লে পরীক্ষা শৃঙ্খলা কমিটি অপরাধের প্রকৃতি বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে যেকোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করবে।
ছবি: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়// Porasona-1 (12_04_2025) PA_04

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পরীক্ষার শুরুর ২০ মিনিটের মধ্যে ফেসবুকে ইংরেজি ১ম পত্রের প্রশ্ন
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় বর্ষের পরীক্ষার্থীদের জন্য ১৯টি বিশেষ সতর্কতা