কর্মজীবন শেষে ব্যতিক্রমী বিদায় সংবর্ধনা পেলেন লক্ষ্মীপুরের রওশন জাহান ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতাকর্মী পুষ্প রাণী দাস। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তাকে বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। এ সময় কর্মস্থল থেকে গাড়িতে করে তাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়। 

পুষ্প রাণী দাসকে বিদায় জানাতে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে প্রতিষ্ঠানে আসেন হামদর্দ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালনা ড.

হাকীম মোহাম্মদ ইউসূফ হারুন ভূঁইয়া এবং রওশন জাহান ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক কামরুন নাহার পলিন। আয়োজন করেন বিদায় সংবর্ধনার। সেখানে স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য শেষে পুষ্প রাণী দাসের হাতে নগদ অর্থ, ক্রেস্টসহ বিভিন্ন উপহার তুলে দেওয়া হয়।

শেষে গাড়িতে করে পুষ্প রাণী দাসকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা এবং অধ্যক্ষের পক্ষ থেকে এমন আয়োজন দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন পুষ্প রাণী দাস।

আরো পড়ুন:

কমপ্লিট শাটডাউনে শেবামেক, ক্যাম্পাসে নীরবতা

গাইবান্ধায় ডাল খেয়ে ২ শতাধিক মানুষ অসুস্থ

রওশন জাহান ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক কামরুন নাহার পলিন বলেন, কলেজ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে পুষ্প রাণী দাস নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি প্রতিষ্ঠানটিকে সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রেখেছেন। বিদায়ের কষ্ট কিছুটা কমানোর জন্য ব্যতিক্রমী এমন আয়োজন করা হয়েছে।

বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, হামদর্দ ফাউন্ডেশনের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মাহবুবে আনোয়ার, পরিচালক আমিনুল মোমেনিন মানিক, হামদর্দের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান প্রমুখ।

পুষ্প রাণী দাস ২০১০ সালে রওশন জাহান ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে কর্মজীবন শুরু করেন। তার বাড়ি সদর উপজেলার দত্তপাড়া গ্রামে।

ঢাকা/লিটন/বকুল 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া নিয়ে বিএনপির ২ পক্ষের হাতাহাতি, আহত ২

মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে দুইজন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলা পরিষদ চত্বরের শহীদ মিনারে ঘটনাটি ঘটে। বিজয়নগর থানার ওসি মো. রওশন আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আহতরা হলেন- উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের পেটুয়াজুরি এলাকার সাজু মিয়ার ছেলে মো. বেলাল (৩৮) ও ইছাপুরা ইউনিয়নের ইছাপুরা গ্রামের মহরম আলীর ছেলে জীবন আলী (১৭)। তারা বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি রয়েছেন।

আরো পড়ুন:

বাগেরহাটে বিএনপির দু’গ্রুপে সংঘর্ষে আহত নেতার মৃত্যু

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় কুয়েট প্রশাসনের মামলা 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির কয়েকজন নেতা জানান, উপজেলায় বিএনপির দুইটি পক্ষ রয়েছে। এক পক্ষে আছেন জমির দস্তগীর ও ইমাম হোসেন। অপর পক্ষে রয়েছেন মহসিন ভূইয়া ও শাহালম মিয়া। একুশের প্রথম প্রহরে উপজেলা পরিষদের ভেতরের শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাধনা ত্রিপুরা। এরপর বিএনপি শহীদ মিনারে ফুল দিতে যায়। আগে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে দলটির দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এসময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে দুইজন আহত হন।

জমির ও ইমাম হোসেন এবং মহসিন ভূইয়া ও শাহালম মিয়ার মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা কল রিসিভ করেননি।

ইছাপুরা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এনাম খাঁ বলেন, “শহীদ মিনারে ফুল দিতে গিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত যে ঘটনাটি ঘটেছে তার জন্য আমরা খুবই দুঃখিত এবং মর্মাহত। এই ঘটনার জন্য দায়ী তারা যারা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার জন্য বিএনপির মধ্যে অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছেন এবং তাদের দাওয়াত দিয়ে শহীদ মিনারে এনেছেন। এই আওয়ামী লীগের লোকগুলােই সুযোগ পেয়ে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটিয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ এবং মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও দেখে প্রত্যেক আওয়ামী লীগের সদস্যকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানাচ্ছি।”

এ বিষেয়ে জানতে বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাধনা ত্রিপুরার মোবাইলে কল করা হয়। তিনিও কল রিসিভ করেননি।

বিজয়নগর থানার ওসি মো. রওশন আলী বলেন, “শহীদ মিনারে ফুল আগে পরে দেওয়াকে কেন্দ্র করে ঘটনাটি ঘটে। দুইজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/মাইনুদ্দীন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শহীদ মিনারে বিএনপির দুই পক্ষে সংঘর্ষ, ক্ষুরে আহত ২
  • শহীদ মিনারে বিএনপির দুই পক্ষে সংঘর্ষ, খুরে আহত ২
  • শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া নিয়ে বিএনপির ২ পক্ষের হাতাহাতি, আহত ২