রিলেতে ৩২ বছরের রেকর্ড ভাঙলেন শিরিনরা
Published: 19th, February 2025 GMT
৪৮তম জাতীয় অ্যাথলেটিকসের শেষ দিনে আজ দুটি জাতীয় রেকর্ড হয়েছে। জাতীয় স্টেডিয়ামে ছেলেদের পোল ভল্টে সেনাবাহিনীর সৌরভ মিয়া ৪.৫০ মিটার উচ্চতা অতিক্রম করে ভেঙেছেন ২০০৬ সালে হুমায়ুন কবিরের করা রেকর্ড। একই দিন ৪ গুণিতক ৪০০ মিটার রিলেতে ৩২ বছরের পুরোনো রেকর্ড ভেঙেছেন শিরিন-নুসরাতরা।
১৯ বছর আগে জাতীয় অ্যাথলেটিকসের পোল ভল্ট ইভেন্টে ৪.
তবে আনন্দের দ্বিগুণ উপলক্ষের দিনে হতাশাও ঝরল নরসিংদীর এই তরুণের কণ্ঠে, ‘এই ইভেন্টটা আমার প্রাণের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। অনেক কষ্ট করেছি। যদিও আমাদের দেশে অ্যাথলেটদের জন্য তেমন সুযোগ-সুবিধা নেই। বিশেষ করে পোল ভল্টকে সেভাবে গুরুত্বও দেওয়া হয় না।’
একই দিন মেয়েদের ৪ গুণিতক ৪০০ মিটার রিলেতে ৩ মিনিট ৫১ দশমিক ৬২ সেকেন্ড সময় নিয়ে রেকর্ড গড়েছেন নৌবাহিনীর চার অ্যাথলেট শিরিন আক্তার, নুসরাত জাহান, নাথেরা খাতুন ও সাবিয়া আল সোহা। আগের রেকর্ডটি ছিল ১৯৯৩ সালে ৩ মিনিট ৫৫ দশমিক ৫৫ সেকেন্ডে করা নাছিমা, সুবনা, মনিয়া ও সুমিতার।
এদিকে দুই জাতীয় রেকর্ডের দিন ২০০ মিটার দৌড়ে দ্যুতি ছড়িয়েছেন নৌবাহিনীর শিরিন আক্তার ও রাকিবুল হাসান। ছেলেদের ২০০ মিটারে জহির রায়হানকে হারিয়ে সোনা জিতেছেন রাকিবুল। ২০০ মিটারে যেটা তাঁর তৃতীয় সোনা। এর আগে ২০২২ ও ২০২৩ সালে টানা দুবার রাকিবুল এই ইভেন্টে প্রথম হয়েছিলেন। গত বছর অবশ্য চোটের কারণে অংশ নিতে পারেননি।
আজ জহির রায়হানকে হারাতে ২১ দশমিক ৩৯ সেকেন্ড সময় নেন নৌবাহিনীর রাকিবুল। আর মেয়েদের ২০০ মিটারে সুমাইয়া দেওয়ানের সঙ্গে দৌড়ে প্রথম হন ১৬ বার দ্রততম মানবী হওয়া শিরিন। সোনা জিততে শিরিনের লেগেছে ২৪ দশমিক ৭৪ সেকেন্ড। ২০১৪ সালে স্প্রিন্টের ২০০ মিটারে প্রথম সোনা জেতা শিরিন এ নিয়ে ১২ বার এই ইভেন্টে প্রথম হলেন।
এবার জাতীয় অ্যাথলেটিকসে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জয়জয়কার। ২১ সোনা, ১৭ রৌপ্য, ১২ ব্রোঞ্জসহ মোট ৫০টি পদক জিতেছে তারা। পদক তালিকার দুইয়ে থাকা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাথলেটদের অর্জন ১৯ সোনা, ১৯ রৌপ্য, ১৯ ব্রোঞ্জসহ ৫৭ পদক।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ২০০ ম ট র র কর ড দশম ক প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রাম-কুনমিং রুটে ফ্লাইট চালুর ঘোষণা
বাংলাদেশের বন্দরনগরী চট্টগ্রাম থেকে চীনের উনান প্রদেশের রাজধানী কুনমিংয়ের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালু করার ঘোষণা দিয়েছে চীন। একইসঙ্গে বাংলাদেশিদের চিকিৎসার জন্য কুনমিংয়ের চারটি হাসপাতালকে ‘ডেডিকেটেড’ ঘোষণা করা হয়েছে।
শনিবার (২৯ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, কুনমিংয়ে বাংলাদেশিদের চিকিৎসার জন্য ডেডিকেট করা চারটি হাসপাতালে ফি কম। এসব হাসপাতালে স্থানীয়রা যে ফি পরিশোধ করেন, বাংলাদেশ থেকে যাওয়া রোগীরাও একই ফি পরিশোধ করে চিকিৎসাসেবা নিতে পারবেন।
কুনমিং রুটে ফ্লাইট ভাড়া বেশি হওয়ায় চট্টগ্রাম থেকে কম খরচে ফ্লাইট সার্ভিস চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ ঢাকা-কুনমিং রুটেও বিমান ভাড়া কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে।
চীনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেছে, তারা বাংলাদেশিদের জন্য আরো বেশি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান উন্মুক্ত করবে। কুনমিংয়ে চিকিৎসা ব্যবস্থা পরিদর্শনে এপ্রিলে বাংলাদেশ থেকে সাংবাদিকদের বড় একটি দলকে পাঠানো হবে। গত মাসে প্রায় অর্ধশত বাংলাদেশি চিকিৎসার জন্য প্রথমবারের মতো কুনমিং ভ্রমণ করেছেন। তারা সেখানকার হাসপাতালের মানের প্রশংসা করেছেন। তবে, যাতায়াত খরচ বেশি বলে অভিযোগ তুলেছেন অনেকেই।
বন্দরনগরী চট্টগ্রাম থেকে কুনমিং রুটে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা করছে চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্স। কুনমিং ও চট্টগ্রামের মধ্যে পরিকল্পিত ফ্লাইট ভ্রমণ ব্যয় এবং ভ্রমণের সময় কমিয়ে আনবে, যা চীনে আরো বেশি বাংলাদেশির জন্য স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার পথ প্রশস্ত করবে।
ঢাকা/রেজাউল/রফিক