জামায়াত নেতা আজহারের রিভিউ আবেদন বৃহস্পতিবারের কার্যতালিকায়
Published: 19th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন বৃহস্পতিবার (২০ ফ্রেব্রুয়ারি) শুনানির জন্য কার্যতালিকায় এসেছে।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত আপিল বিভাগের বৃহস্পতিবারের কার্যতালিকায় রিভিউ আবেদনটি শুনানির জন্য ৯ নম্বর ক্রমিকে রাখা হয়েছে। ওইদিন প্রধান বিচারপতি ড.
আদালতে জামায়াত নেতা আজহারের পক্ষে শুনানি করবেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক। তাকে সহযোগিতা করবেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন।
এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের শুনানি পিছিয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৪ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বেঞ্চে এক বিচারপতি না থাকায় আদালত শুনানির দিন পিছিয়ে দেন।
২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
তখনকার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ রায় দেন। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করেন জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলাম।
২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আজহারকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রংপুর অঞ্চলে ১২৫৬ ব্যক্তিকে গণহত্যা-হত্যা, ১৭ জনকে অপহরণ, একজনকে ধর্ষণ, ১৩ জনকে আটক, নির্যাতন ও গুরুতর জখম এবং শতশত বাড়ি-ঘরে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের মতো নয় ধরনের ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয় এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের মধ্যে ১ নম্বর বাদে বাকি পাঁচটি অভিযোগে তাকে ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদণ্ড দেন। যদিও এটি প্রহসনের রায় বলে আখ্যায়িত করে আসছে জামায়াতে ইসলামী।
২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি ১১৩ যুক্তিতে জামায়াত নেতা আজহারকে নির্দোষ দাবি করে খালাস চেয়ে আপিল করেন তার আইনজীবীরা। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় ৯০ পৃষ্ঠার মূল আপিলসহ ২৩৪০ পৃষ্ঠার আপিল দাখিল করা হয়।
এএ
উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: আজহ র ল ইসল ম ম নবত ব র ধ ব চ রপত অপর ধ র
এছাড়াও পড়ুন:
শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নতুন দুই বিচারপতি
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নবনিযুক্ত দুই বিচারপতি শপথ নিয়েছেন।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে দুই বিচারপতিকে শপথবাক্য পড়ান।
দুই বিচারপতি হলেন—বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুব। এই দুই বিচারপতির শপথ নেওয়ার মধ্য দিয়ে আপিল বিভাগে এখন বিচারপতির সংখ্যা দাঁড়াল সাত।
শপথ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা। এ সময় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা, সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির কর্মকর্তারা ও আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুবকে আপিল বিভাগের বিচারপতি পদে নিয়োগ দেন। গতকাল সোমবার এই নিয়োগসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়। এই নিয়োগ শপথগ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়। ফলে আজ শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে দুই বিচারপতির নিয়োগ কার্যকর হলো।
বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান১৯৬৯ সালের ১ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। ১৯৮৩ সালে তিনি জেলা আদালতের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ১৯৮৫ সালে হাইকোর্ট বিভাগের এবং ২০০১ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন তিনি। ২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান। ২০০৫ সালের ২৭ আগস্ট হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে স্থায়ী হন তিনি।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব১৯৬৬ সালের ২৭ মে জন্মগ্রহণ করেন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। ১৯৯২ সালে তিনি জেলা আদালতের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ১৯৯৪ সালে হাইকোর্ট বিভাগের এবং ২০০২ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন তিনি। ২০০৪ সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান বিচারপতি ফারাহ মাহবুব। এক বছর পর ২০০৫ সালের ২৭ আগস্ট হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে স্থায়ী হন তিনি। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব চতুর্থ নারী বিচারপতি, যিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেলেন।
অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল ও নিয়োগসুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগের লক্ষ্যে উপযুক্ত ব্যক্তি বাছাই করে প্রধান বিচারপতি কর্তৃক রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দিতে ‘সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ-২০২৫’ শিরোনামে একটি অধ্যাদেশ গত ২১ জানুয়ারি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়। এতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক পদে নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ প্রদান প্রক্রিয়ায় প্রধান বিচারপতিকে সহায়তা করার উদ্দেশ্যে অধ্যাদেশ অনুসারে উপযুক্ত ব্যক্তি বাছাই করে সুপারিশের জন্য সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল নামে একটি স্থায়ী কাউন্সিল থাকবে বলা হয়। আর কাউন্সিলের চেয়ারপারসন হিসেবে থাকবেন প্রধান বিচারপতি। অধ্যাদেশ অনুসারে নির্ধারিতসংখ্যক সদস্যের সমন্বয়ে কাউন্সিল গঠিত হয় ও কাউন্সিলের সভা হয়।
সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হালনাগাদ তথ্যে গতকাল জানানো হয়, সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিলের সুপারিশ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শক্রমে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের দুই বিচারপতিকে (বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুব) আপিল বিভাগের বিচারপতি পদে নিয়োগ দিয়েছেন।