খাগড়াছড়িতে দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত হতে যাচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তি-ভিত্তিক আয়োজন ‘হিলট্র্যাক্টস আইটি কার্নিভ্যাল ২০২৫’। স্থানীয় তরুণদের প্রযুক্তিজ্ঞান বিকাশ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রসারের লক্ষ্যে আয়োজিত এই কার্নিভ্যাল ২২ ফেব্রুয়ারি খাগড়াছড়ি টাউন হল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে।
এডুলাইফ আইটি ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে থাকছেন দেশবরেণ্য প্রযুক্তিবিদ, উদ্যোক্তা ও ডিজিটাল মার্কেটিং বিশেষজ্ঞরা। এতে অংশগ্রহণকারীরা প্রযুক্তির বিভিন্ন খাত, ফ্রিল্যান্সিং, উদ্যোক্তা উন্নয়ন এবং নেটওয়ার্কিং–সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা ও কর্মশালায় অংশ নিতে পারবেন।

প্রযুক্তির দক্ষতা ও সচেতনতা বাড়াতে এই উদ্যোগ

পার্বত্য এলাকাগুলোতে তথ্যপ্রযুক্তির প্রসার এখনো অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় সীমিত। তরুণদের আইটি খাতে দক্ষ করে গড়ে তুলতে এমন আয়োজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন আয়োজকেরা। এডুলাইফের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আমির হোসেন প্রথম আলোকে জানান, অনুষ্ঠানটিকে জাঁকজমকপূর্ণ করতে সবার অংশগ্রহণ এবং সহযোগিতা প্রয়োজন। এই অনুষ্ঠান খাগড়াছড়ি আইটি কমিউনিটির জন্য নতুন ও ভালো কিছু বয়ে আনবে। পার্বত্য অঞ্চলগুলোতেও যে আইটিবিষয়ক চর্চা হয়, এটা পুরো দেশবাসীর সামনে তুলে ধরায় এই আয়োজনের উদ্দেশ্য।

স্পিকার হিসেবে কারা থাকছেন কার্নিভ্যালে

হিলট্র্যাক্টস আইটি কার্নিভ্যালের অন্যতম আকর্ষণ প্রযুক্তি ও উদ্যোক্তা খাতের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতি। অতিথি হিসেবে থাকবেন শীর্ষস্থানীয় প্রোগ্রামার, সব ও অভিজ্ঞ উদ্যোক্তা, তথ্যপ্রযুক্তি–বিষয়ক লেখকসহ ডিজিটাল মার্কেটিং ও ফ্রিল্যান্সিং খাতের আরও অনেক অভিজ্ঞ ব্যক্তি।

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে তরুণদের আগ্রহ বাড়ছে

গত বছর প্রথমবারের মতো আয়োজিত হওয়া ‘হিলট্র্যাক্টস আইটি কার্নিভ্যাল’ ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। এবার আরও বৃহৎ পরিসরে আয়োজনের ফলে তরুণদের আগ্রহ আরও বেশি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। কার্নিভ্যালে অংশগ্রহণ করতে হলে প্রাক্‌-নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আসনসংখ্যা সীমিত থাকায় আগ্রহীদের দ্রুত নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে।

প্রযুক্তিনির্ভর পেশা গড়তে এবং সম্ভাবনাময় এই খাত সম্পর্কে জানার জন্য পার্বত্য অঞ্চলের তরুণদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন হতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা। অংশগ্রহণকারী সবার জন্য থাকবে তথ্যপ্রযুক্তিশিল্পের বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে নিজেদের ব্যবসা কিংবা পেশা গড়ার নানা দিকনিদের্শনা ও তাঁদের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানার সুযোগ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ আয় জ ত র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

প্রথম প্রান্তিকে চীনের প্রবৃদ্ধি ৫.৪%

বছরের প্রথম প্রান্তিকে চীনের প্রত্যাশাতীত প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এই সময় দেশটিতে মানুষের ভোগ যেমন বেড়েছে, তেমনি শিল্পোৎপাদনও বেড়েছে। যদিও দেশটির নীতিনির্ধারকেরা ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কের প্রতিক্রিয়া কী হবে, তা নিয়ে চিন্তিত। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই শুল্ক গত কয়েক বছরে চীনের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি।

ডোনাল্ড ট্রাম্প ২ এপ্রিল পাল্টা শুল্ক ঘোষণার পর ৯ এপ্রিল তা স্থগিত করেন। কিন্তু চীনের শুল্ক স্থগিত করেননি তিনি। শুধু তাই নয়, চীনের পণ্যে শুল্ক আরও বাড়িয়ে ১৪৫ শতাংশে উন্নীত করেছেন। চীনও মার্কিন পণ্যে প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপ করেছে ১২৫ শতাংশ।

চীনের সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, বছরের প্রথম অর্থাৎ জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে চীনের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ, যদিও রয়টার্সের জরিপে বিশ্লেষকদের প্রত্যাশার ছিল যে প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ১ শতাংশ। গত বছরের শেষ প্রান্তিকেও চীনের প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৫ দশমিক ৪ শতাংশ।

তবে চীনের প্রবৃদ্ধি এই গতি থাকবে না বলেই ধারণা করছেন বিশ্লেষকেরা। ওয়াশিংটনের উচ্চ শুল্কের কারণে চীনের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি অর্থাৎ রপ্তানি মার খাবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। ফলে চীনের নেতারা বড় ধরনের চাপে পড়বেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে। রপ্তানি মার খেলে কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে এবং অনেক মানুষের চাকরি যাবে, এই পরিস্থিতি সামলানো নেতাদের পক্ষে কঠিন হয়ে যাবে।

সরকারি পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের প্রকৃতি কিছুটা অসম। বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ বেড়েছে এবং কারখানার কার্যক্রমেও এসেছে গতি; কিন্তু বেকারত্বের উচ্চহার ও মূল্যহ্রাসের কারণে চাহিদা নিয়ে শঙ্কা আছে।

মার্চে চীনের রপ্তানি বৃদ্ধির পেছনে কিছু কাঠামোগত কারণ আছে। বিষয়টি হলো, ট্রাম্পের শুল্কের হাত থেকে বাঁচতে চীনের রপ্তানিকারকেরা মার্চে দ্রুততার সঙ্গে অনেক পণ্য জাহাজিকরণ করেছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, শুল্ক–ঝড়ের প্রভাব অনুভূত হওয়ার আগে চীনের জিডিপির পালে কিছুটা হাওয়া লেগেছে। মূলত অভ্যন্তরীণ চাহিদার বেড়ে যাওয়ায় এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

কয়েক বছর ধরেই চীনের প্রবৃদ্ধির গতি কম। অর্থনীতি চাঙা করতে চীনের সরকার বেশ কয়েকবার প্রণোদনা দিয়েছে। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, সেই প্রণোদনা অনেকটা কাজে আসছে। কিন্তু যেভাবে ট্রাম্প চীনের পণ্যে শুল্ক আরোপ করে যাচ্ছেন, তাতে আরও প্রণোদনা প্রয়োজন হতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকেরা।

আগের প্রান্তিকের ভিত্তিতে দেখা যাচ্ছে, আগের প্রান্তিকের তুলনায় বছরের প্রথম প্রান্তিকে চীনের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১ দশমিক ২ শতাংশ; অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে যা ছিল ১ দশমিক ৬ শতাংশ। মার্চে দেশটির খুচরা বিক্রয়ের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ; জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে যা ছিল ৪ শতাংশ।

এদিকে রয়টার্সের জরিপে দেখা গেছে, ২০২৫ সালে চীনের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০২৪ সালে যেখানে তাদের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ শতাংশ। চলতি বছর চীনের সরকারি পূর্বাভাস ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির। অর্থাৎ দেশটি সেই লক্ষ্যমাত্রা এবার অর্জন করতে পারবে না বলেই ধরে নেওয়া যায়।

এদিকে বহুজাতিক বিনিয়োগ ব্যাংক ইউবিএস ২০২৫ সালে চীনের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ, যদিও আগের তাদের পূর্বাভাস ছিল ৪ শতাংশ। মূলত শুল্ক–যুদ্ধের প্রভাব বিবেচনা করে তারা প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস হ্রাস করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (১৮ এপ্রিল ২০২৫)
  • জাতীয় পর্যায়ে আয়োজিত হতে যাচ্ছে ‘এআই অলিম্পিয়াড ২০২৫’
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের বিজ্ঞান ও মানবিক শাখার পরীক্ষার ফল প্রকাশ
  • বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজে মাস্টার্সের সুযোগ
  • চুয়াডাঙ্গাবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ৩৯
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (১৭ এপ্রিল ২০২৫)
  • যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে শিক্ষার্থীরা কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করছেন, কারণ কী
  • পুলিশ স্টাফ কলেজে ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ ম্যানেজমেন্টে মাস্টার্স
  • প্রথম প্রান্তিকে চীনের প্রবৃদ্ধি ৫.৪%
  • বরফঠান্ডা পানিতে একসঙ্গে ২৪৬১ মানুষের গোসল