বগুড়ার কাহালুতে দেবরের ছুরিকাঘাতে মোছা. রূপালী (৩৮) নামে এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো তিনজন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দেবর মোজাম্মেল হকসহ (৩২) চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) নিহত রুপালীর ভাই একই উপজেলার মুরইলের বাসিন্দা সুমন বাদী হয়ে কাহালু থানায় হত্যা মামলা করেছেন।

এর আগে, মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে কাহালু পৌর এলাকার পাল্লাপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। 

আরো পড়ুন:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যবসায়ী হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

পুলিশ সুপার তানভীর সালেহীন কারাগারে  

নিহত রুপালী একই গ্রামের মো.

পলাশের স্ত্রী। আহতরা হলেন- পলাশ, মোজাম্মেল ও আফরোজা। তাদের মধ্যে পলাশ ও মোজাম্মেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন- মোজাম্মেল হকের স্ত্রী আফরোজা (২৫), বাবা রাশেদ আলী (৬০) ও মা মরিয়ম (৫৫)। 

এলাকাবাসীর বরাত দি‌য়ে কাহালু থানার ওসি আব্দুল হান্নান বলেন, “টিউবওয়েলের পানি নেওয়া এবং বিদ্যুৎবিল দেওয়াকে কেন্দ্র করে মো. পলাশ এবং তার সৎ ভাই মোজাম্মেল হকের পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। এরই জেরে গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে দুই ভাইয়ের পরিবারের মধ্যে ঝগড়া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে মোজাম্মেল তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে ভাবি রুপালীর পেটে আঘাত করেন। গুরুতর অবস্থায় তাকে কাহালু উপজেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থা খারাপ হলে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয় হয়। সেখানে রাত ১টার দিকে তিনি মারা যান।”

তিনি আরো বলেন, “এ ঘটনায় আজ চারজনকে আসামি করে হত্যা মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে মোজাম্মেল পুলিশি হেফাজতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মারা যাওয়া রুপালীর মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।”

ঢাকা/এনাম/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রাম্পের পথে জার্মানিও, ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ করায় চারজনকে বিতাড়নের নির্দেশ

জার্মানির বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনপন্থীদের কণ্ঠরোধ করার অভিযোগ উঠেছে। দেশটি ফিলিস্তিনপন্থী চার বিদেশি নাগরিককে বিতাড়নের নির্দেশ দিয়েছে। ওই চারজনের কারও বিরুদ্ধেই অপরাধে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ নেই।

যাঁদের জার্মানি থেকে বিতাড়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁদের তিনজন ইউরোপীয় ও একজন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।

চারজনই এ বছর জানুয়ারিতে ডাকযোগে প্রথম এ বিষয়ে চিঠি পান। ওই চিঠিতে তাঁদের স্বাধীনভাবে চলাচলের অধিকার হারানোর কথা জানানো হয়।

দুই মাস পর ওই চারজনের আইনজীবীরা তাঁদের মক্কেলের পক্ষে বার্লিনের অভিবাসন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বিতাড়নের নির্দেশসংবলিত চিঠি পান। তাঁদের ২১ এপ্রিলের মধ্যে জার্মানি ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, নতুবা তাঁদের জোর করে বিতাড়ন করা হবে।

ওই চার ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারী হলেন মার্কিন নাগরিক ২৭ বছর বয়সী কুপার লংবটম। তিনি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন। বাকি তিনজন হলেন পোল্যান্ডের নাগরিক ৩৫ বছরের কাসা ব্লেচেক এবং দুই আইরিশ নাগরিক শেন ও’ব্রায়ান (২৯) ও রবার্টা মারে (৩১)।

এই চারজনই বার্লিনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন।

এই চারজনের বিরুদ্ধে আনা একটি পুলিশি অভিযোগ আল–জাজিরা দেখেছে। ওই অভিযোগে জার্মান কর্তৃপক্ষ বলেছে, ওই চার ব্যক্তি ইহুদিবিদ্বেষ ছড়িয়েছেন এবং উসকানি দিয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগও করা হয়েছে।

তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারে বাধা দেওয়া, সম্পদের ক্ষতি করা এবং শান্তি বিঘ্নিত করার মতো অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগও আনা হয়েছে।

ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার হয়েছেন ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী মাহমুদ খলিল। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন কার্ডধারী। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করা যেতে পারে বলে মত দিয়েছেন মার্কিন অভিবাসন আদালতের এক বিচারক।

আরও পড়ুনফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী খলিলকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়ন করা যেতে পারে বলে বিচারকের মত১২ এপ্রিল ২০২৫আরও পড়ুনফিলিস্তিনের জন্য বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করছে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়৩০ এপ্রিল ২০২৪

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভাস্কর মানবেন্দ্রর বাড়িতে অগ্নিকাণ্ড: অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা, আওয়ামী লীগের ৪ জন গ্রেপ্তার
  • বগুড়ায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের ৪ জন গ্রেপ্তার
  • ভাস্কর মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুন দেওয়া ন্যাক্কারজনক: সাদা দল
  • ট্রাম্পের পথে জার্মানিও, ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ করায় চারজনকে বিতাড়নের নির্দেশ