আওয়ামী লীগের ভেতর গণতন্ত্র না থাকায় তারা লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ হত্যা করে। তাদেরকে বাংলাদেশের মানুষ দেখতে চায় না। তাই এই দলের নির্বাচন করার অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মোহাম্মদ জহুরুল হক শাহাজাদা মিয়া।

আজ বুধবার দুপুরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনশীল রাখাসহ চার দফা দাবিতে জামালপুরে বিএনপির জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন ও সহযোগিতা করছে জানিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার অনুরোধ জানান শাহাজাদা মিয়া।

এছাড়াও ৫ আগস্টের পর বিএনপিতে যোগদান করা নব্য বিএনপিদের বিষয়ে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি। আর ভারতের প্রভুত্ব এদেশের মানুষ মেনে নিবে না বলেও জানান তিনি।

জনসভায় জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিতুল কবির তালুকদার শামীম, সাধারণ সম্পাদক ওয়ারেছ আলী মামুনসহ দলীয় নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও জনসভায় বিএনপির প্রতিটি ইউনিট ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ ব এনপ ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

চুরি করা টাকা দিয়ে তালাক দিচ্ছিলেন স্ত্রীকে, অতঃপর...

যার নুন আনতে পানতা ফুরায়, সেই তিনি মোহরানার আড়াই লাখ টাকা নগদে শোধ করে স্ত্রীকে তালাক দিচ্ছিলেন। তাঁর এত টাকার উৎস নিয়ে সন্দেহ হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। একপর্যায়ে তাঁকে মারধর করলে তিনি জানান, চুরি করা টাকা দিয়ে স্ত্রীকে তালাকের আয়োজন করছিলেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে দিনাজপুরের হাকিমপুরে মংলা বাজারে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মংলা বাজারের কাপড় ও মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক দু’সপ্তাহ আগে দোকান বন্ধ করে জুমার নামাজ পড়তে যান। এদিন তাঁর দোকানে চুরি হয়। চোরেরা ৭ লাখ টাকা চুরি করেন। এ ঘটনায় হাকিমপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তিনি।

ঘটনার কয়েকদিন পর একই এলাকার যুবক জহুরুল তাঁর চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে মারধর শুরু করেন। তাঁর সঙ্গে আর সংসার করবেন না বলে শ্বশুরবাড়ির লোকদের চাপ দেন। তিনি পেশায় দিনমজুর। মোহরানার আড়াই লাখ টাকা পরিশোধ করবেন বলেও জানান। গত শুক্রবার স্থানীয় বাসিন্দা ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন বসে তালাকের সিদ্ধান্ত নেন।

এ সময় বাবার বাড়ি থেকে দেওয়া কাপড় ও আসবাব গোছাতে শুরু করেন তাঁর স্ত্রী মিনারা বেগম। এক পর্যায়ে ঘরের এক কোনায় লুকিয়ে রাখা মোটা অঙ্কের টাকা দেখতে পান। বিষয়টি উপস্থিত লোকজনের মধ্যে জানাজানি হলে শুরু হয় নানা জল্পনা। এ সময় তাঁকে মারধর করলে চুরির বিষয়টি স্বীকার করেন।

প্রতিবেশী তাছির উদ্দিন বাপ্পির ভাষ্য, চুরির ঘটনার পর জহুরুলের মধ্যে কিছু পরিবর্তন দেখা যায়। তিনি দিনমজুর, নিজস্ব কোনো জমি নেই। কয়েকদিন আগে শোনেন, অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর মোহরানার টাকা পরিশোধ করে তালাক দিচ্ছেন। এটি শোনার পর তিনি সন্দেহ করেছিলেন যে কয়েকদিন আগে বাজারে চুরিতে তাঁর হাত থাকতে পারে।

দোকানের অদূরেই জহুরুলের বাড়ি বলে জানান উপজেলার মংলা বাজারের ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘তার বাড়িতে গিয়ে দেখি কয়েকজন তাকে বেঁধে রেখেছে। সে আমার দোকান থেকে টাকা চুরির কথা স্বীকার করেছে।’

ঘটনার পর ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন– মংলা বাজারের জহুরুল (২২), সাতকুড়ি গ্রামের শাহাজুল (৩২) এবং নওদাপাড়া বিলেরপাড়া গ্রামের ছেলে তাইজুল (৩৫)। 

হাকিমপুর থানার ওসি সুজন মিয়া বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা চুরির বিষয়টি স্বীকার করেছেন। জহুরুলের কাছ থেকে ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। তিনজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ