জীবন বাঁচাতে বাসা থেকে পালিয়ে যাই: পপি
Published: 19th, February 2025 GMT
ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা সাদিকা পারভীন পপি। একসময় চলচ্চিত্রে নিয়মিত অভিনয় করলেও হঠাৎ করে অন্তরালে চলে যান। এর মধ্যে বিয়ে করে সংসারী হয়েছেন। সম্প্রতি তার মা ও বোনের সঙ্গে বিরোধে জড়ান এই নায়িকা। তার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ করেছেন তারা। এরপরই পপির বিয়ের বিষয়টি স্বীকার করেন পপি। জানান, বিয়ের নেপথ্যের গল্প।
২০১৯ সালে পপির বাসায় ‘ভয়াবহ দুর্ঘটনা’ ঘটে। সেদিন অনেক বড় অঙ্কের টাকা চুরি হয়। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে থানায় জিডি করেন। পরে তাকে রমনা থানায় ডাকা হয়। সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে পপি বলেন, “সেদিন আদনানকেও ডাকি। থানায় গিয়ে দেখলাম, আমার ভাইবোনেরা। ঘটনাচক্রে জীবন নিয়ে আমি আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। মনে হলো, আমি কারো কাছে নিরাপদ নই। ফিল্মের কাজে সবার সঙ্গে মিশেছি ঠিকই, কিন্তু আপনজন কেউ ছিল না।”
দুঃসময়ে পপিকে আগলে রাখেন তার স্বামী। এ তথ্য উল্লেখ করে পপি বলেন, “বরাবরই আমি পরিবার অন্তঃপ্রাণ মানুষ। অথচ এই আমার কাছে পরিবারের সবাই অচেনা হয়ে গেল। সম্পত্তি ও টাকাপয়সা নিয়ে জটিলতা শুরু হয়। জটিলতার এই পুরো সময়ে আদনান আমাকে ছায়ার মতো আগলে রেখেছে। কোনো জটিলতাই আমাকে স্পর্শ করতে দেয়নি। আমার হাতটা শক্ত করে ধরে বলেছিল, ‘আমি আছি, নো টেনশন।”
আরো পড়ুন:
মুক্তির মিছিল থেকে সরে গেল ‘বান্ধব’
নাঈমের কাছে বাপ্পারাজের প্রশ্ন, হেনা কোথায়
২০২০ সালের দিকে আবার জটিলতা শুরু হয়, তারপর বাসা থেকে পালিয়ে যান পপি। এ তথ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমি ভাবলাম, আমাকে মা-বোনেরা বাঁচতে দেবে না। বাসা থেকে বের হয়ে পড়ি। যোগাযোগ করি আদনানের সঙ্গে। এরপর আমার জায়গাজমির দলিল, ব্যাংকের কাগজপত্র ও প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্ট পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার করি। বলতে পারেন, রীতিমতো জীবন বাঁচাতে বাসা থেকে পালিয়ে গেলাম।”
আদনানকে বিয়ে করার কারণ ব্যাখ্যা করে পপি বলেন, “তখন আমার সামনে দুটি পথ খোলা ছিল— এক.
১৯৯৭ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘আমার ঘর আমার বেহেশত’ সিনেমায় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে পা রাখেন পপি। কিন্তু তার প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ‘কুলি’। এই চলচ্চিত্রে তার বিপরীতে অভিনয় করেন ওমর সানী। সিনেমাটি সেই সময়ে ৭ কোটি টাকা ব্যবসা করে মাইলফলক অর্জন করে। এরপর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি পপিকে।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র চলচ চ ত র আদন ন
এছাড়াও পড়ুন:
অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন থেকে শিডিউল মেসেজ পাঠাবেন যেভাবে
অনেক সময় নির্দিষ্ট সময়ে বার্তা পাঠানো জরুরি হয়ে পড়ে। তবে ব্যস্ততার কারণে তা ভুলে গেলে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। প্রযুক্তির উন্নতির ফলে এখন আর নির্দিষ্ট সময়ে বার্তা পাঠানোর কথা মনে রাখার দরকার নেই। অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের গুগল মেসেজেস অ্যাপ ব্যবহার করে আগে থেকেই বার্তার সময় নির্ধারণ করে পাঠানো সম্ভব। এতে প্রয়োজনীয় তথ্য সঠিক সময়ে পৌঁছায় এবং ভুলে যাওয়ার ঝুঁকি কমে। অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন থেকে মেসেজ শিডিউল করে পাঠানোর কৌশল দেখে নেওয়া যাক।
শিডিউল মেসেজ পাঠানোর জন্য প্রথমে ফোনের গুগল মেসেজেস অ্যাপ চালু করতে হবে। এরপর নতুন বার্তা লেখার জন্য একটি চ্যাট খুলতে হবে অথবা আগে লেখা চ্যাট নির্বাচন করে প্রয়োজনীয় বার্তা টাইপ করতে হবে। এরপর বার্তা পাঠানোর জন্য সেন্ড বোতাম কিছুক্ষণ চাপ দিয়ে ধরে রাখতে হবে। এবার তিনটি নির্ধারিত সময়ের প্রস্তাব দেখা যাবে। তবে তিনটি নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে কোনো সময় নির্বাচন করতে চাইলে সিলেক্ট ডেট অ্যান্ড টাইম অপশনে যেতে হবে। এরপর পছন্দের তারিখ ও সময় নির্ধারণ করে সেন্ড বোতাম চাপতে হবে।