কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদী থেকে হাসান মুরাদ নামে এক যুবকের ভাসমান মৃতদেহ উদ্ধার করেছে বদরখালী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। মঙ্গলবার রাতে বিএমচর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করে বদরখালী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা।
হাসান মুরাদ (২৫) উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের নোয়াপাড়া গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয় ও নৌ-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মাতামুহুরী নদীর কইন্যারকুম পয়েন্টে স্থানীয়রা একটি মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে বদরখালী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির একটি দল স্থানীয়দের সহায়তায় রাত সোয়া 8টার দিকে ওই মরদেহ উদ্ধার করে।
ঘটনা নিশ্চিত করে বদরখালী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এস আই) সুফল চন্দ্র সিংহ জানান, উদ্ধার করা মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মরদেহের কয়েকটি স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রংপুরে শহীদ লাবলু মিয়ার পরিবারের খোঁজখবর আখতার হোসেন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী লাবলু মিয়ার পরিবারের খোঁজখবর নিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন। ঈদের পরদিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি রংপুরের কাউনিয়ার হারাগাছ পৌরসভাধীন মায়াবাজার এলাকায় শহীদ লাবলু মিয়ার পরিবারের খোঁজখবর নিতে যান। এ সময় লাবলু মিয়ার স্ত্রী নুর নাহার, মা লাইলী বেগম, মেয়ে লাইজু খাতুন, লিজা খাতুন ও ছেলে নুর হাবিব উপস্থিত ছিলেন।
গত ৫ আগস্ট ঢাকার উত্তরা আজিমপুর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যোগ দিয়ে মিছিল করে যাওয়ার সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন লাবলু মিয়া।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আখতার হোসেন লাবলু মিয়ার পরিবারের সঙ্গে কিছু সময় কাটান এবং বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজখবর নেন। ছেলে-মেয়েদের শিক্ষার বিষয়ে জানতে চান। এ সময় শহীদ লাবলুর স্ত্রী নুর নাহার সন্তানদের শিক্ষার ব্যবস্থা, একটি কর্ম ও সরকারিভাবে পাকা বাড়ি করে দেওয়ার দাবি জানান। আখতার হোসেন তাদের কাছে সবকিছু শুনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদানসহ পরিবারের সদস্যদের ঈদ উপহার সামগ্রী প্রদান করেন।
এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক রুবায়েত কবীর, এনসিপি জেলা সংগঠক রেজয়ান আহমেদ, এমআই সুমন আহমেদ, তৌফিক আহমেদ ও এনসিপি কাউনিয়া উপজেলা সংগঠক নাজমুল হক উপস্থিত ছিলেন। পরে আখতার হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেলযোগে হারাগাছ পৌরসভা, দেওয়ান বাজার, বকুল তলা, মেনাজ বাজার, মায়াবাজার, হকবাজার, সারাই বাজার, সুমন বাজার, বিজলের ঘুণ্টি, মীরবাগ বাজার এলাকায় গণসংযোগ করেন।