গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাড়ে ৯ কেজি গাঁজাসহ এক পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আনিসুর রহমান (৪০) পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হিসেবে পলাশবাড়ী থানায় কর্মরত। তিনি লালমনিরহাট সদর উপজেলার চরখাটা গ্রামের আলিমুদ্দিনের ছেলে।

মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরের চারমাথা মোড় থেকে আনিসুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার বিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোবিন্দগঞ্জ পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মানিক রানা ফোর্সসহ ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের গোবিন্দগঞ্জ চারমাথা মোড়ে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের সামনে অভিযান চালিয়ে পলাশবাড়ী থেকে বগুড়াগামী একটি টিভিএস অ্যাপাচি ১৬০ সিসি মোটরসাইকেল (ঢাকা মেট্রো ল-৪৯-৪৯১৮) তল্লাশি করে। এ সময় আনিসুর রহমানের সঙ্গে থাকা একটি কালো কাপড়ের ব্যাগ থেকে ৯ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজাসহ তাকে আটক করা হয়। সেই সাথে গাঁজা পরিবহনে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়।

বুধবার দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তারকৃত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে গতকাল রাতেই মাদক আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে (যার মামলা নং- জিআর ২৩/২৫)। দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপার নিশাত অ্যাঞ্জেলা বলেন, মাদকসহ গ্রেপ্তারকৃত পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ ব ন দগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

দোকানে চুরি, দেরিতে আসায় পুলিশের মাথা ফাটালেন মুদি দোকানি

গাজীপুরের শ্রীপুরে দোকানে চুরির ঘটনার পর ঘটনাস্থল পৌঁছাতে দেরি করায় ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের এক কর্মকর্তার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছেন এক মুদি দোকানি। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের শৈলাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

পরে পুলিশের আরেকটি দল ঘটনাস্থল পৌঁছে আহত ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ঘটনার পর সকালেই অভিযুক্ত মুদি দোকানিকে আটক করা হয়েছে।
 
আহত আবুল হোসেন (৩৫) পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই)। তিনি শ্রীপুর থানার মাওনা পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত। অভিযুক্ত মুদি দোকানির নাম মো. রাশেদ (২৭)। তিনি শ্রীপুর উপজেলার শৈলাট গ্রামের মো. নাসির উদ্দিনের ছেলে।

শৈলাট বাজারে তাঁর মুদি দোকান রয়েছে। এ ঘটনায় এএসআই আবুল হোসেন বাদী হয়ে আজ দুপুরে শ্রীপুর থানায় মামলা করেছেন।

মাওনা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক হাসমত উল্লাহ জানান, আজ সকাল পৌনে ৭টার দিকে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাকে একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে সমস্যা জেনে ব্যবস্থা নিতে বলেন। ফোন করলে রাতে দোকানে চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ব্যবসায়ী রাশেদ।

পরে ঘটনাস্থলে পুলিশের এএসআই আবুল হোসেনসহ পুলিশের দুই সদস্যকে পাঠানো হয়। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশের ওই দলটি সেখানে পৌঁছার পর দেরির কারণ জানতে চান রাশেদ। তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে ওই ব্যবসায়ী লোহার শিকল দিয়ে আবুল হোসেনের মাথায় আঘাত করেন। এতে আবুল হোসেনের মাথা ফেটে যায়।

খবর পেয়ে মাওনা ফাঁড়ি থেকে পুলিশের আরেকটি দল সেখানে পৌঁছে রক্তাক্ত অবস্থায় এএসআই আবুল হোসেনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, ‘ওই মুদি ব্যবসায়ী জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর-৯৯৯-এ ফোন করে দোকানে চুরির অভিযোগ করেছিলেন। তবে পুলিশ সেখানে গিয়ে তদন্ত করে চুরির কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানতে পারে। ওই সময় মুদি ব্যবসায়ী দেরি করে পুলিশকে ঘটনাস্থল পৌঁছার কারণ জানতে চান, এক পর্যায়ে হামলা চালান। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী রাশেদকে আসামি করে মামলা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দোকানে চুরি, দেরিতে আসায় পুলিশের মাথা ফাটালেন মুদি দোকানি