বড় হার দিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন নারী ক্রিকেট লিগে পা রেখেছে ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্রিকেট ক্লাব লিমিটেড। তাদের ৫৩ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছে শেলটেক ক্রিকেট একাডেমি। 

মিরপুর শের-ই-বাংলায় টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ৯ উইকেটে ২৪৯ রান করে শেলটেক। তাড়া করতে নেমে ১৯৬ রানে অলআউট হয় মোহামেডান। শারমিন সুপ্তা একাই লড়াই করেছিলেন। তার ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৭৩ রান। তবে পরাজয় ঠেকাতে পারেননি। 

এ ছাড়া ৩৬ রান করেন মুর্শিদা খাতুন। শূন্য রানে ফেরেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। শেলটেকের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন ফাহিমা খাতুন।

আরো পড়ুন:

ভারত-বাংলাদেশ: উত্তেজনা এক পাশে রেখে সবার মনোযোগ মাঠে

চ্যাম্পিয়নের ছবি হৃদয়ে আঁকছেন তারা

এর আগে সুমায়া আক্তার-ইশমা তানজীমের ফিফটিতে ভর করে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে মোহামেডান। সুমায়া সর্বোচ্চ ৮৩ রান করেন।  ইশমার ব্যাট থেকে আসে ৬৮ রান। মোহামেডানের হয়ে একাই ৪ উইকেট নেন সানজিদা মেঘলা। 

ইউল্যাব মাঠে খেলাঘর সমাজ কল্যান সমিতিকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে গুলশান ইয়ুথ ক্লাব। আগে ব্যাট করে মাত্র ৬৪ রান করে খেলাঘর। একাই ৬ উইকেট নেন সান্দিহা ইসলাম আশা। 

তাড়া করতে নেমে গুলশান ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্য পৌঁছে যায়। সর্বোচ্চ ১৭ রান করে আফিয়া আসিমা ও ৬ রান করে তাজ নাহার অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। খেলাঘরের হয়ে ২ উইকেট নেন সুলতানা খাতুন। 


বিকেএসপিতে বাংলাদেশ পুলিশ ক্লাবকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে আবাহনী। আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৯৮ রানে থামে পুলিশ। তাড়া করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ে দেখা পায় আবাহনী। 

এক প্রান্ত উইকেটের মিছিল হলেও আরেক প্রান্তে ফারজানা পিংকি আকড়ে ধরে থাকেন। তার ৫৫ রানে ভর করে জয় দিয়ে শুরু করে আবাহনী।

ঢাকা/রিয়াদ/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উইক ট ন ন র ন কর

এছাড়াও পড়ুন:

ভারত থেকে আমদানি হচ্ছে ৫০ হাজার টন চাল

আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানি করবে সরকার। 

প্রতি মেট্রিক টন চালের দাম ৪২৪.৭৭ মার্কিন ডলার হিসাবে এই চাল ক্রয়ে মোট ব্যয় হবে ২৫৯ কোটি ১০ লাখ ৯৭ টাকা। ভারতীয় প্রতিষ্ঠান মেসার্স বাগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেড চাল সরবরাহ করবে।

জানা গেছে, দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ সরকারি বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখার উদ্দেশ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয় অভ্যন্তরীণ সংগ্রহের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক উৎস থেকে চাল সংগ্রহ করে থাকে। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে ও জনস্বার্থে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে ৯ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির জন্য অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ৪ লাখ টন নন বাসমতি সিদ্ধ চাল এবং জি টু জি পদ্ধতিতে মিয়ানমার থেকে ১ লাখ মেট্রিক টন, পাকিস্তান থেকে ৫০ হাজার টন ও ভিয়েতনাম থেকে ১ লাখ টন আতপ চালসহ মোট সাড়ে ৬ লাখ মেট্রিক টন চাল ক্রয়ের চুক্তি হয়েছে।

এছাড়া, আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ৫০ হাজার টন চাল আমদানির লক্ষ্যে চুক্তির কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। চুক্তির বিপরীতে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ২ লাখ ৬০ হাজার ৫০৬ টন এবং জি টু জি ভিত্তিতে ১ লাখ ৮৭ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন চাল চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে। এরমধ্যে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ২ লাখ ১৪ হাজার ১২২  টন এবং জি টু জি ভিত্তিতে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৭৬৯ টন চাল সরকারি সংরক্ষণাগারে পাওয়া গেছে। আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে এবং জি টু জি পদ্ধতিতে আরো চাল আমদানির কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

চাল আমদানির নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে খাদ্য অধিদপ্তর চাল ক্রয়ের জন্য গত ৪ মার্চ আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করে। দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন পর্যন্ত মোট ৭টি দরপত্র জমা পড়ে এবং ৭টি দরপত্রই ভারত ভিত্তিক। গত ২০ মার্চ দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। দরপত্রে মেসার্স বাগাদিয়া ব্রাদার্স প্রতি মেট্রিক টন চালের দাম ৪২৪.৭৭ মার্কিন ডলার উল্লেখ করে সর্বনিম্ন দরদাতা হয়।

বিদেশ থেকে সরকারিভাবে খাদ্যশস্য আমদানির ক্ষেত্রে পণ্য আগমনের পর পণ্য খালাসের আগেই দরদাতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, খাদ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে পর্যায়ক্রমে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সংগৃহীত নমুনা খাদ্য অধিদপ্তরের স্থানীয় পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করা হয় এবং পরে সংগৃহীত নমুনা কম্পোজিট করে এক প্যাকেট পরীক্ষার জন্য খাদ্য অধিদপ্তরে পাঠানো হয়। খাদ্য অধিদপ্তরের পরীক্ষাগারে তা পরীক্ষা করে গুণগত মান নিশ্চিত করা হয়। দরপত্রে উল্লিখিত বিনির্দেশের কোনো প্যারামিটারের সঙ্গে পণ্যের প্রাপ্ত গুণগত মান নিম্নমানের হলে দরপত্রে উল্লিখিত সমুদয় চাল প্রত্যাখান করার বিধান রয়েছে।

ঢাকা/হাসনাত/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ