গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. আহাদ হোসেন হাসপাতালে মারা গেছেন। আজ বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মাশরিক হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

ড. মাশরিক হাসান জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ সেশনের (১৪তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী আহাদ হোসেন বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে বেলা একটার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মো.

আহাদ হোসেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র ছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায়। কী কারণে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন, সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।

গত সোমবার রাতে আহাদ রাজধানীর নারিন্দা এলাকায় নিজ মেসে গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালে নিয়ে যান মেসের বন্ধুরা। পরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় এবং সেখানে তাঁকে আইসিইউয়ে রাখা হয়। অবস্থার অবনতি হলে গতকাল মঙ্গলবার রাত পৌনে ১১টার দিকে সেখান থেকে তাঁকে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়।

আহাদের এমন মৃত্যুতে শোকাহত বিভাগের সহপাঠী ও শিক্ষার্থীরা। তাঁরা আত্মহত্যার সঠিক কারণ জানেন না। তবে তাঁরা বলেন, কয়েক দিন ধরে তিনি ঠিকমতো খাওয়াদাওয়া করেননি এবং বিগত তিন দিন রাতে ঘুমাতে পারেননি, যা সোমবার সকালে পরীক্ষা চলাকালে নিজ বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মাশরিক হাসানকে জানান তিনি।

আহাদের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে গেছে তাঁর পরিবার। সেখানে মরদেহ দাফন করা হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

এয়ার ইন্ডিয়ার ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন মন্ত্রী

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান জানিয়েছেন, তাঁর কাছে ভাঙা সিটের টিকিট বিক্রি করেছে এয়ার ইন্ডিয়া। 

গতকাল শনিবার এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে সামাজিক মাধ্যম এক্সে তিনি লেখেন, এয়ার ইন্ডিয়া ‘যাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণা’ করছে। 

তিনি জানান, ভাঙা সিটের ব্যাপারে বিমানের এক ক্রুকে জিজ্ঞেস করা হলে তাঁকে বলা হয়, সিটটিতে যে ত্রুটি রয়েছে, সেটি সংস্থাকে জানানো হয়েছিল। এর টিকিট বিক্রি না করতেও বলা হয়েছিল।

এক্সে শিবরাজ সিং লেখেন, ‘পুসার কিষাণ মেলা উদ্বোধন করতে আজ আমার ভোপাল থেকে দিল্লি আসতে হয়। সেখানে বিভিন্ন প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমার আলোচনা হয়। আমি এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট নাম্বার এআই৪৩৬ এ একটি টিকিট বুক করি। আমাকে ৮সি সিটটি দেওয়া হয়। বসতে গিয়ে দেখি সিটটি ভাঙা; নিচু হয়ে আছে। সেখানে বসতে অস্বস্তি হচ্ছিল।’ এনডিটিভি। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ