২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কুয়েটে একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত
Published: 19th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) একাডেমিক কার্যক্রম আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
একই সঙ্গে সিন্ডিকেটে কুয়েট শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নিষিদ্ধ, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িত শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার, বহিরাগতের বিরুদ্ধে মামলা, আহতদের চিকিৎসা খরচসহ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়াও প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করাসহ পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
৯৮তম সিন্ডিকেট সভায় সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য প্রয়েসর ড.
উপাচার্যের পদত্যাগসহ ছয় দফা দাবিতে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) প্রশাসনিক এবং একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। বর্তমানে ক্যাম্পাসে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এর আগে, কুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি ঘিরে মঙ্গলবার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও ছাত্রদলের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে আহত হয় অর্ধশত শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় উপাচার্য, উপউপাচার্য ও ছাত্র বিষয়ক পরিচালকের পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবিতে ক্লাস বর্জন করেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার সকাল থেকেই তারা কুয়েট মেডিকেল সেন্টারের সামনে অবস্থান নেয়। এরপর বিক্ষোভ মিছিলসহ প্রশাসনিক একাডেমিক ভবনে প্রবেশপথের ফটকে তালাবদ্ধ করে দেয় শিক্ষার্থীরা। এতে উপচার্যসহ অন্যরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।
বিএইচ
উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: এক ড ম ক
এছাড়াও পড়ুন:
হামাসের হাতে কত জিম্মি রয়ে গেছেন
যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় গতকাল শনিবার গাজা থেকে আরও ছয় ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।
ইসরায়েলের দক্ষিণ অঞ্চলে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর নজিরবিহীন হামলা চালায়। ওই সময় আড়াই শতাধিক মানুষকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস। এসব জিম্মিদের অনেকেই যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় মুক্তি পেয়েছেন। কেউ কেউ গাজায় মারা গেছেন। কয়েকটি মৃতদেহ ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আজ রোববার ইসরায়েল থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া জিম্মিদের কতজন মুক্তি পেয়েছেন, কতজন মারা গেছেন এবং আর কত জিম্মি এখনো জীবিত আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে, তার একটি হিসাব দিয়েছে আল জাজিরা।
কাতারভিত্তিক সংবাদ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, সেদিন ইসরায়েল থেকে ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। জিম্মিদের মধ্যে ইসরায়েলি ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, নেপালসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশের নাগরিকেরা ছিলেন।
সংবাদ সংস্থাটি বলছে, যুদ্ধবিরতির মধ্যে বন্দিবিনিময় এবং অন্যান্য চুক্তির মাধ্যমে ১৩৮ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। এর মধ্যে ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে সাত দিনের একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি চলে। সে সময় হামাস ১০৫ থেকে ১০৭ জন জিম্মিকে মুক্তি দেয়।
গত বৃহস্পতিবার চার জিম্মির মৃতদেহ ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে হামাস।
গাজা অভিযান চালানোর সময় ইসরায়েলি সেনারা ৪০ জিম্মির মৃতদেহ উদ্ধার করেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ গাজায় ইসরায়েলের অভিযানের সময় ইসরায়েলি সেনাদের হাতে নিহত হন। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) তাদের ‘ভুলবশত’ হামলার কথা স্বীকার করেছে।
হামাস দাবি করেছে, গাজায় যেসব জিম্মি নিহত হয়েছেন, তাদের বেশির ভাগই ইসরায়েলি হামলার মধ্যে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন।
গাজায় আরও ৬১ জন জিম্মি থাকার কথা। এর মধ্যে ৩১ জনকে মৃত ঘোষণা করেছে ইসরায়েল। গাজায় অভিযানের সময় ইসরায়েলি সেনারা আট জিম্মিকে জীবিত উদ্ধার করে।
আল জাজিরার খবরে আরও বলা হয়েছে, গাজায় এখনো যে কজন জিম্মি রয়েছেন তাদের মধ্যে পাঁচজন ইসরায়েলের নাগরিক নন। ওই পাঁচজনের মধ্যে তিনজন থাইল্যান্ড, একজন নেপাল এবং একজন তানজানিয়ার নাগরিক। ধারণা করা হয়, জিম্মি থাইল্যান্ডের একজন এবং নেপালের নাগরিক এখনো জীবিত আছেন।
দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় একটি আনুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। প্রথম ধাপের ৪২ দিনের যুদ্ধবিরতির সময় ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার কথা হামাসের।
গত শনিবার হামাস ছয় জিম্মিকে মুক্তি দেয়। তারা হলেন এলিয়া কোহেন, ওমের শেম-তোভ, ওমের ওয়েনকার্ট, তাল শোহাম, আভেরা মেনজিসটু ও হিশাম আল-সাইয়েদ। তাদের মধ্যে আভেরা ও হিশাম বেসামরিক নাগরিক। এ দুজন প্রায় এক দশক ধরে গাজায় বন্দি ছিলেন।
যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, এরই মধ্যে হামাস কয়েকবারে ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে বলে শনিবার এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এর আগে ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়। চুক্তি অনুযায়ী, ছয় সপ্তাহের মধ্যে ইসরায়েলি বাহিনীতে গাজার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাও ছাড়তে হবে, আর বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা পাবে বাড়ি ফেরার অনুমতি। এই সময়ে প্রতিদিন শত শত ত্রাণবাহী লরিকে গাজায় ঢোকারও সুযোগ দেবে তেল আবিব।
চুক্তির দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনা শুরু হবে প্রথম ধাপের ১৬তম দিনে। এই ধাপেই মুক্তি পাবে পুরুষ ইসরায়েলি সেনারা। তৃতীয় ও শেষ ধাপে হবে গাজার পুনর্গঠন, যা শেষ হতে লাগবে কয়েক বছর।
যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের সময়সীমা আগামী ২ মার্চ শেষ হওয়ার কথা। দ্বিতীয় ধাপের ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা শুরু হয়েছে। হামাস জানিয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর আলোচনায় বসতে ও সব জিম্মি এবং মৃতদেহ মুক্তি দিতে প্রস্তুত।
দ্বিতীয় দফা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে মিসরের রাজধানী কায়রোতে যাবে দু’পক্ষের প্রতিনিধি দল। নেতানিয়াহু প্রতিনিধি পাঠাতে অস্বীকৃতি জানানোর পর প্রক্রিয়ায় বিলম্ব হচ্ছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।
ইসরায়েলের হামলায় এ পর্যন্ত ৪৮ হাজার ২৯৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও আহত হয়েছে ১ লাখ ১১ হাজার ৭৩৩ জন। গাজার ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে মৃত বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানা গেছে, যুদ্ধবিরতির মধ্যেই গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। পশ্চিম তীরের শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়ে তিন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে তারা। বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ফিলিস্তিনি বাড়িঘর।