শিক্ষার্থীদের লাগাতার আন্দোলনের মুখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলমকে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে পুনর্বহাল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

উপাচার্য কর্তৃক গঠিত তথ্যানুসন্ধান কমিটির প্রাথমিক রিপোর্টের ভিত্তিতে তাকে সাময়িকভাবে জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের প্রফেশনাল মাস্টার্স ব্যতীত নিয়মিত অনার্স ও মাস্টার্স প্রোগ্রামসহ সকল অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে পুনর্বহাল করা হয়েছে। তবে, প্রফেশনাল মাস্টার্স প্রোগ্রামের অ্যাকাডেমিক ও বিভাগের সকল প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার পূর্ববর্তী নির্দেশ বলবৎ রাখা হয়েছে।

এর আগে, বিভাগের প্রফেশনাল মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তি পরীক্ষা ছাড়াই ছাত্রলীগ নেতাদের ভর্তির অভিযোগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে চেয়ারম্যান ড.

মো. জাহাঙ্গীর আলমকে বিরত থাকতে আদেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গত ৬ ফেব্রুয়ারি একটি তথ্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়। 

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ আদেশের প্রতিক্রিয়ায় চেয়ারম্যান ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমকে অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক দায়িত্বে পুনর্বহালের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিভাগের শিক্ষার্থীরা। একই দাবিতে গত ১২ ডিসেম্বরের বিভাগের কক্ষগুলোতে তালা লাগিয়ে এবং বিভাগের বিভিন্ন স্থানে পোস্টার সেঁটে দিয়ে ‘টোটাল শাটডাউন’ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় তারা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মীমাংসিত একটি বিষয় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে পুনরায় সামনে আনা হয়েছে। একটি কমিটির মাধ্যমে প্রফেশনাল মাস্টার্সে ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা এবং এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরীক্ষা কমিটিতে ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম ছাড়াও বিভাগের আরও দুইজন শিক্ষক ছিলেন। তবে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শুধুমাত্র ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যত অচল হয়ে আছে বিভাগের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম। ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সকল ব্যাচের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষাও বর্জন করে শিক্ষার্থীরা।

সৌরভ/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ হ ঙ গ র আলমক পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

মডেল মেঘনা আলমের আটকাদেশ কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট

মডেল মেঘনা আলমকে পরোয়ানা ছাড়া গ্রেপ্তার, কারণ উল্লেখ না করে গ্রেপ্তার, ২৪ ঘন্টার বেশি গোয়েন্দা কার্যালয়ে হেফজতে রাখা প্রশ্নে রুলে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে মেঘনা আলমকে দেওয়া আটাকাদেশ কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।

একটি রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি তামান্না রহমান খালিদীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ রুল দেন। মেঘনা আলমকে আটকের প্রক্রিয়া ও আটকাদেশের বৈধতা নিয়ে তার বাবা বদরুল আলম রিট আবেদন দায়ের করেন।

গত ৯ এপ্রিল রাতে মডেল মেঘনা আলমকে রাজধানীর বসুন্ধরার বাসা থেকে আটক করে হেফাজতে নেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশ অনুযায়ী, পর দিন ১০ এপ্রিল রাতে আদালত তাঁকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিন আটক রাখার আদেশ দেন। তিনি কারাগারে আছেন।

সুনির্দিষ্ট কারণ না জানিয়ে মেঘনা আলমের আটকের ঘটনা নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। অপরাধে জড়ালে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার না করে তাঁকে কেন বিশেষ ক্ষমতা আইনের বিতর্কিত ‘প্রিভেন্টিভ ডিটেনশন’ বা প্রতিরোধমূলক আটক করা হলো, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এমন প্রেক্ষাপটে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) পদ থেকে রেজাউল করিম মল্লিককে গতকাল শনিবার সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এ দিকে মেঘনা আলমকে যে প্রক্রিয়ায় আটক করা হয়েছে, তা সঠিক হয়নি বলে আজ রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। এর আগে মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার ও আটকাদেশের বৈধতা নিয়ে মেঘনার বাবা আজ রিটটি করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী কাজী জাহেদ ইকবাল ও প্রিয়া আহসান চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ ও জামিলা মমতাজ।

রুলে পরোয়ানা ছাড়া বাসা থেকে মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার, কারণ না জানিয়ে গ্রেপ্তার, ডিবি কার্যালয়ে ২৪ ঘণ্টার বেশি হেফাজতে রাখা ও আইনজীবীর সুযোগ না দেওয়া কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিশেষ ক্ষমতা আইনে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে দেওয়া আটকাদেশ কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।

স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান,ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মেঘনা আলমকে দরজা ভেঙে আটক করতে হলো কেন?
  • মেঘনা আলমকে আটক কেন জাতীয় ইস্যু হলো
  • বিশেষ ক্ষমতা আইনে মেঘনা আলমকে আটক মানবাধিকার লঙ্ঘন: এইচআরএফবি
  • মডেল মেঘনা আলমের আটকাদেশ কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
  • হাইকোর্টের রুল: মেঘনা আলমকে কেন মুক্তি নয়
  • মডেল মেঘনা আলমের গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া সঠিক হয়নি: আইন উপদেষ্টা