ঢাবির জাপানিজ স্টাডিজের চেয়ারম্যানকে পুনর্বহাল
Published: 19th, February 2025 GMT
শিক্ষার্থীদের লাগাতার আন্দোলনের মুখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলমকে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে পুনর্বহাল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উপাচার্য কর্তৃক গঠিত তথ্যানুসন্ধান কমিটির প্রাথমিক রিপোর্টের ভিত্তিতে তাকে সাময়িকভাবে জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের প্রফেশনাল মাস্টার্স ব্যতীত নিয়মিত অনার্স ও মাস্টার্স প্রোগ্রামসহ সকল অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে পুনর্বহাল করা হয়েছে। তবে, প্রফেশনাল মাস্টার্স প্রোগ্রামের অ্যাকাডেমিক ও বিভাগের সকল প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার পূর্ববর্তী নির্দেশ বলবৎ রাখা হয়েছে।
এর আগে, বিভাগের প্রফেশনাল মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তি পরীক্ষা ছাড়াই ছাত্রলীগ নেতাদের ভর্তির অভিযোগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে চেয়ারম্যান ড.
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ আদেশের প্রতিক্রিয়ায় চেয়ারম্যান ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমকে অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক দায়িত্বে পুনর্বহালের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিভাগের শিক্ষার্থীরা। একই দাবিতে গত ১২ ডিসেম্বরের বিভাগের কক্ষগুলোতে তালা লাগিয়ে এবং বিভাগের বিভিন্ন স্থানে পোস্টার সেঁটে দিয়ে ‘টোটাল শাটডাউন’ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় তারা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মীমাংসিত একটি বিষয় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে পুনরায় সামনে আনা হয়েছে। একটি কমিটির মাধ্যমে প্রফেশনাল মাস্টার্সে ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা এবং এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরীক্ষা কমিটিতে ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম ছাড়াও বিভাগের আরও দুইজন শিক্ষক ছিলেন। তবে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শুধুমাত্র ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যত অচল হয়ে আছে বিভাগের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম। ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সকল ব্যাচের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষাও বর্জন করে শিক্ষার্থীরা।
সৌরভ/এনএইচ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ হ ঙ গ র আলমক পর ক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
কেএমপির বরখাস্ত এসআই শাহ আলমের ৭ বছর কারাদণ্ড
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) বরখাস্ত উপপরিদর্শক মো. শাহ আলমকে ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার দুপুরে খুলনার বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. আশরাফুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেছেন।
এক যুগ আগে খুলনা নগরীর খালিশপুরের মুজগুন্নী আবাসিক এলাকায় মিল্কি আইসক্রিম ফ্যাক্টরির মালিক মাসুদ হাসানের বাসার গৃহকর্মী সীমাকে হত্যা ও লাশ গুমের গল্প তৈরি করেছিলেন এস আই শাহ আলম। পরে পুলিশের আরেকটি দল সীমাকে জীবিত উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ক্ষমতার অপব্যবহার ও ঘুষ হয়রানির অভিযোগে শাহ আলমের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল দুদক।
আলালত থেকে জানা গেছে, ২০০৯ সালে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার চর দৌলতপুর গ্রামের মৃত. ওলিয়ার রহমানের ৯ বছরের মেয়ে সীমাকে তাদের বাসার কাজের জন্য নিয়ে যান মিল্কি আইসক্রিম ফ্যাক্টরির মালিক মাসুদ হাসান ও তাঁর স্ত্রী ইয়াসমিন। দীর্ঘদিন কাজ করার পর সীমা ওই বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের ঘটনায় সীমার মা সুফিয়া বেগম বাদী হয়ে গৃহকর্তা মাসুদ হাসান, মোহাম্মদ আলী খোন্দকার ও মো. মাসুদ শেখকে আসামি করে ২০১২ সালের ৭ মে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন।
এ মামলার তদন্ত করতে গিয়ে খালিশপুর থানার তৎকালীন এসআই শাহ আলম এই পরিবারের কাছে তিন লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। কিন্তু ঘুষ না পেয়ে এসআই শাহ আলম নিখোঁজের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ‘হত্যা নাটক’ সাজান। পরবর্তীতে ডুমুরিয়া উপজেলার লাইন বিল পাবলার একটি খাল থেকে বস্তাবন্দী ২৮-৩০ বছর বয়সী অজ্ঞাত পরিচয়ের নারীর লাশ সীমা হিসেবে বর্ণনা করে মামলার তদন্ত কার্যক্রম চালান। এ ঘটনায় মাসুদ হাসান ও তাঁর স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে নির্যাতন করেন শাহ আলম। পরে সীমাকে উদ্ধার করে পুলিশ।
ঘুষ না দেওয়ায় গৃহকর্মী সীমা হত্যা নাটক ও জীবিত উদ্ধারের ঘটনায় ২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিল মো. শাহ আলমের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন। ২০১৬ সালের ৩১ আগস্ট শাহ আলমের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। আদালতের বেঞ্চ সহকারী ইয়াসিন আলী জানান, দুটি ধারায় এসআই শাহ আলমকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। শাহ আলমকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।