ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ মানেই যেন বাড়তি কিছু। মাঠের লড়াই শুরুর আগে শুরু হয়ে যায় কথার লড়াই। ক্রিকেট বোদ্ধা থেকে শুরু করে ভক্ত; উত্তেজনার পারদ উঠতে থাকে উঁচুতে। নাজমুল হোসেন শান্তদেরও কি এই উত্তেজনা ছুঁয়ে যায়? 

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হবে ভারতের বিপক্ষে লড়াই দিয়ে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুবাই আন্তর্জাতি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে দুই দল। 

আজ বুধবার সংবাদ সম্মেলনে এলে শান্ত বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হন। উত্তেজনার কথা স্বীকার করলেও বাংলাদেশ অধিনায়ক জানিয়েছেন সব ক্রিকেটারের মনোযোগ থাকে মাঠে।

আরো পড়ুন:

এপ্রিলে হতে পারে অধ্যাপক ইউনূস-মোদি বৈঠক: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ভারতকে মির্জা ফখরুল
বন্ধুত্ব করতে চাইলে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা বুঝিয়ে দিন

“অবশ্যই ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ নিয়ে উত্তেজনা থাকে। আমার মনে হয় প্লেয়াররা এটা নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করে না। প্লেয়াররা তাদের পরিকল্পনা কিভাবে বাস্তাবায়ন করবে এটা নিয়ে বেশি ফোকাস থাকে। মাঠে যত শান্ত থাকা যায় এটা নিয়ে চিন্তা করে সবাই।” 

দুবাইয়ের ভেন্যু দুই দলের কাছেই পরিচিত। কন্ডিশনও প্রায় একই। তবে শক্তি বিবেচনায় নিলে ভারত এগিয়ে সব দিক থেকেই। তবুও এই ম্যাচে কি আশা করছে বাংলাদেশ? এমন প্রশ্নের উত্তরে শান্ত ছিলেন আত্মবিশ্বাসী। 

“আমি মনে করি ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং সব বিভাগে ভালো খেলতে হবে। এই সংস্করণে আমরা সবশেষ কয়েকবছর যেভাবে খেলে আসছি, আমি মনে করি আমরা ভালো দল। কন্ডিশন একই আছে, আমরা তৈরি আছি, আগামীকাল ম্যাচে ভালো কিছুর জন্য আশা করছি।” 

সবশেষ ভারত সফরে নাহিদ রানা ছিলেন আলোচনার কেন্দে। গতির ঝড় তুলে খাবি খাইয়েছেন বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মাদের। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো বড় টুর্নামেন্টে মাঠে নামার আগেই আলোচনায় রানা। শান্তও মনে করেন এই পেসারের উপর বাড়তি নজর থাকার কথা।

“রানা অবশ্যই দেখেন যে রকম বোলিং করছে ওর ওপর একটু বাড়তি নজর থাকবেই। কিন্তু ওকে দেখে কখনো মনে হচ্ছে না যে ও প্রেসারে আছে, ও নরমাল আছে।“ 

“ঠিকমতো অনুশীলন করে যাচ্ছে, কালকে যদি ওর খেলার সুযোগ হয় তাহলে অবশ্যই সেরাটা দেবে আমি বিশ্বাস করি”-আরও যোগ করেন শান্ত।

ঢাকা/রিয়াদ/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারি চাকরিতে কোটাপদ্ধতি প্রয়োগ পর্যালোচনায় কমিটি গঠন

সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে বর্তমান প্রেক্ষাপটে কোটাপদ্ধতি প্রয়োগের বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সুপারিশ দেওয়ার জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে সরকার। আজ মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে (বিধি অনুবিভাগ) আহ্বায়ক করে ১১ সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে আজ প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। কমিটিতে সদস্য হিসেবে থাকবেন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) একজন করে কর্মকর্তা। তাঁরা যুগ্ম সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তা হবেন। জনপ্রশাসন উপসচিব (বিধি-১ শাখা) এই কমিটিতে সদস্যসচিবের দায়িত্ব পালন করবেন।

এর আগে গত জানুয়ারিতে সরকারি চাকরি এবং ভর্তিতে কোটা প্রয়োগের বিষয়টি পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গত বছর আন্দোলনে নামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। পরে এই আন্দোলন সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়। গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। কিন্তু তার আগে জুলাই মাসে আদালতের রায়ের ভিত্তিতে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে জানায়, সরকারি চাকরিতে সরাসরি নিয়োগে সব গ্রেডে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে ৯৩ শতাংশ। বাকি ৭ শতাংশ নিয়োগ হবে কোটার ভিত্তিতে। এর মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য ১ শতাংশ এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ কোটা থাকবে। তবে নির্ধারিত এই কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে কোটার শূন্য পদও সাধারণ মেধাতালিকা থেকে পূরণ করা হবে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন এই কমিটিকে সরকারি চাকরিতে নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানের জন্য ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য ১ শতাংশ, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ কোটার প্রয়োগপদ্ধতি পর্যালোচনা করে সুপারিশ প্রণয়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ