আগের পর্বআরও পড়ুনভাই কিছু বলছেন না কেন১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইমরান-আকরামের মুখে পাকিস্তানের বিশ্বজয়ের গল্প
দুই সপ্তাহ আগেও যে দলটি তাদের অধিনায়কের মতে, ‘মানসিকভাবে তলানিতে ছিল’—সেই দলটাই কফিন থেকে উঠে বিশ্বকাপ জিতে নিলে কেমন লাগবে? কল্পনার রথ সর্বোচ্চ ছুটিয়েও হয়তো এমন কিছু ভাবা কঠিন। পাকিস্তানের ১৯৯২ বিশ্বকাপ জয় সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করার গল্প। ৩৩ বছর আগের সেই দিনও ছিল রোজার মধ্যে। ১৮তম রোজা—বিকেলের দিকে পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ ইফতার ভুলে পিলপিল করে ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছিল। রাস্তায় রাস্তায় তুমুল উল্লাস–উদ্যাপন। যেন নতুন জীবন পেয়েছে পাকিস্তান, পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ! রমিজ রাজা ঠিক এ কথাই বলেছিলেন পাকিস্তানের ’৯২ বিশ্বকাপ জয়ের ২৫ বছর পূর্তিতে জিও নিউজের আয়োজনে। সেটা ২০১৭ সাল। ’৯২ বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক ইমরান, ওয়াসিম আকরাম, ইনজামাম–উল–হক, মঈন খান, মুশতাক আহমেদদের নিয়ে আয়োজিত সেই অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ছিলেন রমিজ—সাবেক এ ওপেনার নিজেও সেই দলটির একজন। সেই অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের সে দলটির সাত নায়ক মিলে আড্ডার মেজাজে অনেক গল্পসল্পই করেছেন সেসব দিনের। আজ পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জয়ের ৩৩ বছর পূর্তিতে গল্পগুলো শোনা যাক—
অধিনায়ক ইমরান যথারীতি অনুষ্ঠানের মধ্যমণি। ’৯২ বিশ্বকাপ জয়ে তাঁর নেতৃত্বগুণকে আরও একবার স্বীকৃতি দিতে করতালিতে সিক্ত করলেন বাকি ছয়জন। অধিনায়কের প্রতি সম্মানবোধ সবার এতই বেশি যে তিন দশকের বেশি সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও সেটা দেখা গেল—ইমরান আসন গ্রহণের পর বাকিরা বসলেন। শুধু ইমরানই পায়ের ওপর পা তুলে বসলেন, বাকিরা তাঁর সামনে চেয়ারে আরাম করে গা এলিয়ে দিলেও আদবটা থাকল চোখেমুখে।
রমিজের শুরুটাও হলো এমনই এক প্রসঙ্গে—ইমরানকে বললেন, মনে হচ্ছে ড্রেসিংরুমে ফিরে গেছি এবং আগের মতোই আপনাকে আমরা ভয় পাই। তবে রাজনীতিতে যেহেতু জড়িয়েছেন, এখন নিশ্চয়ই ভিন্নমত মেনে নিতে পারেন? পাশাপাশি হাসতে হাসতে রমিজ আরেকটি প্রশ্নও তুললেন, এমন একটা ‘ফাটেচার’ (উর্দু শব্দ—বাংলায় জীর্ণশীর্ণ) দল নিয়েও ইমরান কীভাবে কাপ জয়ের স্বপ্ন দেখলেন?
আরও পড়ুন‘আমার ভাই যেন সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরতে পারে’, তামিমকে নিয়ে সাকিব৯ ঘণ্টা আগে’৯২ বিশ্বকাপ জিতে রাজনৈতিক দল তেহরিক–ই–ইনসাফ গঠন করা ইমরান তখনো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হননি। গলায় গাম্ভীর্য ও আভিজাত্য ঝরিয়ে ইমরান উত্তর দেন, ‘দুটো কারণে। প্রথম কারণ হলো তখন তোমরা সবাই খুব তরুণ ছিলে, আর আমি চল্লিশের কাছাকাছি। মুশতাক দু–তিন বছর এসেছে, ওয়াসিম সেরা সময়ে ছিল। তো, সবাই কম বয়সী হওয়ায় সম্ভবত আমাকে নিয়ে ভীতি ছিল। কিন্তু আমি কাউকে কখনো কামড় দিইনি।’ রমিজ ফোড়ন কাটেন, ‘এখন তো এটাই বলবেন!’
হাসির রোল থামার পর ইমরান দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর দেন, ‘বিশ্বকাপে তিনবার অধিনায়কত্ব করেছি। ’৮৩ বিশ্বকাপের দল ভালো না খারাপ ছিল...জানি না। চোট ছিল আমার। শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেছি। কিন্তু ’৮৭ বিশ্বকাপের দলটি, আমাদের কন্ডিশনে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সেরা দল। আমরা ফেবারিট ছিলাম। ’৯২ বিশ্বকাপে আমরা দুজন ম্যাচ উইনার পাইনি। সাঈদ আনোয়ার ম্যাচ জেতানো ব্যাটসম্যান, ওয়াকার ইউনিস ম্যাচ জেতানো বোলার। দলে বড়জোর তিনজন ম্যাচ জেতানো খেলোয়াড় থাকে। সেখানে দুজনই ছিটকে পড়লে সুযোগ তো কমবেই।’
জিও নিউজের সেই অনুষ্ঠানে ইমরানের সঙ্গে বাকিরা