“চাচা, বাড়িঘর এত সাজানো কেন? আর হেনা কোথায়?”— বাপ্পারাজের এই সংলাপ সম্প্রতি ভাইরাল হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখতেই টিকটক আর রিলসে ভেসে বেড়াচ্ছে এই সংলাপের ভিডিও ক্লিপ।

রিল লাইফে বাপ্পারাজের প্রেমিকা ‘হেনা’ অর্থাৎ শাবনাজ। ‘প্রেমের সমাধি’ সিনেমায় এসব সংলাপ ব্যবহার করা হয়। রিয়েল লাইফে নাঈমকে বিয়ে করে সংসারী হয়েছেন শাবনাজ।

এরই মধ্যে নাঈমের কাছে ছুটে যান বাপ্পারাজ। মুখোমুখি হয়ে তার কাছে জানতে চান— ‘নাঈম ভাই হেনা কোথায়?’ এ মুহূর্তের একটি ভিডিও নাঈম তার ফেসবুকে শেয়ার করেছেন। এরপর নতুন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে এই ভিডিও।  

আরো পড়ুন:

রাত ৮টায় মদের বোতল খুলে বসি: গোবিন্দর স্ত্রী

‘টানা ৬০ ঘণ্টার শুটিংয়ে ৯ ঘণ্টা ঘুমিয়েছি’

ভিডিওতে দেখা যায়, বাপ্পারাজ ছাদখোলা গাড়ি থেকে নেমে নাঈমকে জিজ্ঞাসা করেন, হেনা কোথায়? বাপ্পারাজকে ধরে নাঈম উত্তর দেন, “বাপ্পা তুই অনেক দেরি করে ফেলেছিস।” বাপ্পারাজ বলেন, “কেন?” উত্তরে নাঈম বলেন, “আমার সঙ্গে অনেক আগেই বিয়ে হয়ে গেছে।” এ কথা শুনে বাপ্পারাজ চিৎকার করে বলেন, “না… আমি বিশ্বাস করি না।”

এর মধ্যে ইমন সাহা, দিঠি আনোয়ারসহ কয়েকজন গেয়ে উঠেন ‘প্রেমের সমাধি’ গানটি। শেষে দেখা মিলে শাবনাজেরও।

সম্প্রতি টাঙ্গাইলে নাঈম-শাবনাজের বাড়িতে মিলন মেলার আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নেন বাপ্পারাজসহ চলচ্চিত্রাঙ্গনের বেশ কয়েকজন। সেখানেই ভিডিওটি ধারণ করা হয়।

‘প্রেমের সমাধি’ সিনেমা ১৯৯৬ সালে নির্মাণ করেন ইফতেখার জাহান। সিনেমাটিতে ‘হেনা’ চরিত্রে অভিনয় করেন চিত্রনায়িকা শাবনাজ। আর ‘বকুল’ চরিত্রে অভিনয় করেন বাপ্পারাজ।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র শ বন জ

এছাড়াও পড়ুন:

ভোলায় সংঘর্ষ ঠেকাতে যাওয়া বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা

ভোলায় জমির বিরোধ নিয়ে সংঘর্ষে এক বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ইউনিয়নের কুঞ্জপট্টি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই বিএনপি নেতা সংঘর্ষ ঠেকাতে গিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।

এদিকে এ হত্যাকাণ্ডের পর নিহত ব্যক্তির স্বজন, এলাকাবাসী, বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা ভোলা-ভেলুমিয়া সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন।

নিহত ব্যক্তির নাম জামাল উদ্দিন হাওলাদার (৬০)। তিনি ভেলুমিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি।

এলাকাবাসী, নিহতের স্বজন, গ্রাম পুলিশ ও ভোলা সদর থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কুঞ্জপট্টি মৌজায় মো. ইব্রাহীম রাঢ়ি নামের এক ব্যক্তি ৫ শতক জমি কেনেন। তবে পাশের জমির মালিক মো. আলম ব্যাপারী ওই জমি তাঁর বলে দাবি করেন। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে কয়েক বছর ধরে বিরোধ চলছে। এ নিয়ে অনেকবার সংঘর্ষ-সংঘাত হয়েছে। গতকাল সোমবার ঈদের দিনেও এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এর জের ধরে আজ বেলা ১১টার দিকে দুই পক্ষ লাঠিয়াল ভাড়া করে জমি দখল করতে যায়। এ সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষ ঠেকাতে গিয়ে গুরুতর আহত হন স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. জামাল উদ্দিন হাওলাদার। বিকেলে বরিশালে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিন বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘তোমরা মারামারি বন্ধ করো, আমি তোমাদের সমস্যা সমাধান করে দেব।’ এ সময় জামাল উদ্দিনের মাথায় ও শরীরে এলোপাতাড়ি পেটানো শুরু করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাঁকে প্রথমে ভোলা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। কিন্তু বাড়ি আনার সময় পথে নড়ে উঠলে তাঁকে আবার বরিশালের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নেওয়া হয়। সেখানের চিকিৎসক বিকেল ৫টার দিকে পরীক্ষা করে তাঁকে আবার মৃত ঘোষণা করেন।

ভেলুমিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, জামাল উদ্দিন দুই পক্ষের সংঘর্ষ ঠেকাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ইব্রাহীম রাঢ়ির ছেলে তাঁর মাথায় প্রথম আঘাত করেন। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে স্থানীয় লোকজন ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন।

ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সাহাদাৎ মো. হাচনাইন পারভেজ বলেন, এ ঘটনায় কোনো পক্ষের অভিযোগ পাননি। পেলে ব্যবস্থা নেবেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ