আট বছর পর মাঠে ফিরেছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। উদ্বোধনী ম্যাচে খেলতে নেমেছে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। ঘরের মাঠে দীর্ঘ সময় পরে আইসিসির টুর্নামেন্ট আয়োজন করছে পাকিস্তান। সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির চ্যাম্পিয়নও তারা। পাকিস্তান তাই শিরোপা ধরে রাখতে চাইবে।

ছেড়ে কথা বলবে না ভারত। দুবাইতে পুরো টুর্নামেন্ট খেলবে তারা। যে কারণে কন্ডিশনের সুবিধা অন্য দলের চেয়ে বেশি পাবে। অস্ট্রেলিয়া সর্বশেষ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় শিরোপা প্রত্যাশি তারাও। ফর্ম বিবেচনায় দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডকে পিছিয়ে রাখার সুযোগ নেই। 

এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কোন দলে গেম চেঞ্জার হতে পারেন কারা। সেরা উদীয়মান হতে পারেন কারা এবং সাবেকদের চোখে কোন দল ফেবারিট তা তুলে ধরা হলো: 

আট দলের আট উদীয়মান: জাকের আলী (বাংলাদেশ), তায়েব তাহির (পাকিস্তান), বরুণ চক্রবর্তী (ভারত), টম ব্যান্টন (ইংল্যান্ড), ত্রিস্তান স্টাবস (দক্ষিণ আফ্রিকা), অ্যারন হার্ডি (অস্ট্রেলিয়া), উইল ও রোওর্কি (নিউজিল্যান্ড), নুর আহমেদ (আফগানিস্তান)। 

কার চোখে কে ফেভারিট: মোহাম্মদ ইউসুফের মতো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফেবারিট পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। রবি শাস্ত্রী ভারতকে ফেবারিট বলবেন জানা কথা। তবে পাকিস্তানকেও ফেবারিট হিসেবে বেছে নিয়েছেন তিনি। রিকি পন্টিংয়ের চোখে অস্ট্রেলিয়া ও ভারত টুর্নামেন্ট জিততে পারে। 

গেম চেঞ্জার হতে পারেন যারা: মেহেদী হাসান মিরাজ (বাংলাদেশ), ফখর জামান (পাকিস্তান), হার্দিক পান্ডিয়া (ভারত), বেন ডাকেট (ইংল্যান্ড), হেনরি ক্লাসেন (দক্ষিণ আফ্রিকা), ট্রাভিস হেড (অস্ট্রেলিয়া), কেন উইলিয়ামসন (নিউজিল্যান্ড), রহমতউল্লাহ গুরবাজ (আফগানিস্তান)।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইংলিস-ঝড়ে ৪ ঘণ্টাও টিকল না ইংলিশদের রেকর্ড

এই ম্যাচ এভাবেও হেরে যাওয়া যায়—ইংলিশরা নিশ্চিত এমনটাই ভাবছে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসে দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছিল ইংল্যান্ড। চার ঘণ্টাও টিকল না সেই রেকর্ড। জশ ইংলিসের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ইংলিশদের রেকর্ড ভেঙে জয় দিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুরু করল অস্ট্রেলিয়া।
লাহারে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দলীয় সর্বোচ্চ ৩৫১ রান করে ইংল্যান্ড, দলটির ব্যাটসম্যান বেন ডাকেটও গড়েন সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের রেকর্ড। রানটা ১৫ বল আর ৫ উইকেট হাতে রেখে পেরিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। ২১ বছর আগে নিউজিল্যান্ডের নাথান অ্যাস্টল করেছিলেন ১৪৭ রান, ওই ম্যাচে দলীয় সর্বোচ্চ রেকর্ডও গড়েছিল নিউজিল্যান্ড ৩৪৭ রান। কাল তাদের ওই দুই রেকর্ডই ভাঙে ইংল্যান্ড। এক ম্যাচে ভেঙে যাওয়া দুই রেকর্ডের পরেরটির জন্য কৃতিত্ব দিতে হবে জো রুটকেও। অস্ট্রেলিয়ার ‘নতুন’ বোলিং আক্রমণের ওপর ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের ছড়ি ঘোরানোর ভিতটা ডাকেটের সঙ্গে মিলে গড়ে দেন রুটই। দলীয় ৪৩ রানের মধ্যেই ফিল সল্ট ও জেমি স্মিথকে হারিয়ে ফেলেছিল ইংল্যান্ড। এরপর পথ হারিয়ে ফেলার শঙ্কাও জেগেছিল। কিন্তু ডাকেটের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ১৫৫ বলে ১৫৮ রানের জুটি গড়ে দলকে কক্ষে ফেরাতে সাহায্য করেন রুট। তিনি অবশ্য খুব বেশি দূর যেতে পারেননি, ৭৮ বলে ৬৮ রান করে ফেরেন রুট।
রুট দ্রুত থামলেও ডাকেট আউট হন ৪৮তম ওভারে গিয়ে। আউট হওয়ার আগে ১৪৩ বলে ১৭ চার ও ৩ ছক্কায় ১৬৫ রান করেছেন ইংল্যান্ডের ওপেনার। ডাকেটের আউটের পর ইংল্যান্ডের ইনিংসে আলোচনা ছিল সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ডটা তারা ভাঙতে পারে কি না। হ্যারি ব্রুক, জস বাটলার, লিয়াম লিভিংস্টোনরা খুব বেশি রান করতে না পারলেও শেষ দিকে জফরা আর্চারের ঝড়ে রেকর্ডটি নিজেদেরই করে নিয়েছে ইংল্যান্ড। আর্চার ১০ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় করেছেন ২১ রান। ১০ ওভারে ৬৬ রান দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন বেন ডোয়ারশিস।
বড় রান তাড়া করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার জন্য সবচেয়ে বড় পাথেয় হতে পারতেন যাঁরা—সেই ট্রাভিস হেড ও স্টিভেন স্মিথ ফেরেন দলীয় ২৭ রানেই। এরপর দলের পক্ষে হাল ধরা জুটিতে ৯১ বলে ৯৫ রান করেন ম্যাথু শর্ট ও মারনাস লাবুশেন। তাঁদেরও অবশ্য ফেরাতে পেরেছিল ইংল্যান্ড। শর্ট ৬৩ ও লাবুশেন ৪৭ রানে ফেরার পর ইংল্যান্ডের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়ান আরেক ইংলিস। তবে জশ ইংলিস ৮৬ বলে ১২০ রান করে ইংল্যান্ডের হার নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন, ম্যাক্সওয়েল ১৫ বলে ৩২ রানে থাকেন অপরাজিত।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইংল্যান্ড: ৫০ ওভারে ৩৫১/৮ (ডাকেট ১৬৫, রুট ৬৮; ডোয়ারশিস ৩/৬৬, লাবুশেন ২/৪১, জাম্পা ২/৬৪)।
অস্ট্রেলিয়া: ৪৭.৩ ওভারে ৩৫৬/৫ (ইংলিস ১২০*, ক্যারি ৬৯, শর্ট ৬৩, লাবুশেন ৪৭; রশিদ ১/৪৩৭, লিভিংস্টোন ১/৪৭)।
ফল: অস্ট্রেলিয়া ৫ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: জশ ইংলিস।

সম্পর্কিত নিবন্ধ