সিরাজগঞ্জে অস্ত্র মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
Published: 19th, February 2025 GMT
সিরাজগঞ্জে অস্ত্র মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিরাজগঞ্জের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক সুপ্রিয়া রহমান এই রায় দেন।
দণ্ডিত গোপাল চন্দ্র (৪৫) জেলার বেলকুচি উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের হরিপদ চন্দ্র সূত্রধরের ছেলে। সিরাজগঞ্জের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের এপিপি মো.
তিনি বলেন, ‘‘রায়ে গোপাল চন্দ্রকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অপর আসামি রেজাউল করিম প্রামাণিককে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে।’’
মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর আটটি ওয়ান শুটারগান ও ১৫ রাউন্ড গুলিসহ গোপাল চন্দ্রকে আটক করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক ইয়াছিন আরাফাত বাদী হয়ে দুই জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় একটি মামলা করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ এই রায় দেন।
ঢাকা/রাসেল/রাজীব
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স র জগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
নোয়াখালীতে ১২০ মিলিমিটার বৃষ্টি
নোয়াখালীতে চব্বিশ ঘণ্টায় ১২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এতে জেলা শহরে জলাবদ্ধতার পাশাপাশি বিভিন্ন উপজেলায় ধানের ফসলী জমিতে পানি জমে গেছে।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাত থেকে আজ (রবিবার) সকাল পর্যন্ত একটানা ভারি বৃষ্টিপাত হয়। এতে বোরো ধানের ফসলী জমিতে পানি জমে গেছে। যার কারণে পাকা ধান কাটা, মাড়াই দেওয়া ও ঘরে তোলা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক।
ভারি বর্ষণে জেলা শহর মাইজদীতে বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা সমস্যা। পৌরসভার ড্রেনগুলোর মুখ এবং খালের মুখে ময়লা আবর্জনা জমে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
জাহাঙ্গীর নামে একজন ব্যবসায়ী বলেন, “প্রতি বছরই বৃষ্টিতে শহরে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। বৃষ্টির মৌসুম শুরুর আগে কতৃপক্ষ যদি শহরের ড্রেন- নালা পরিষ্কার করে তাহলে জলাবদ্ধতা হয়না। কিন্তু আমরা পৌরসভা কর্তৃপক্ষের নিরবতাই লক্ষ্য করছি।”
জিহাদ নামে আরেকজন ব্যবসায়ী বলেন, “এখন থেকেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও দপ্তরগুলো যৌথ উদ্যোগ না নিলে গতবারের মত বন্যার কবলে পড়বে নোয়াখালী জেলা শহর। আমরা ব্যবসায়ীরা আবারো সংকটে পড়ে যাব।”
সিরাজ মিয়া নামে একজন কৃষক বলেন, “ধান কাটা প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। এমন সময় গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ধান তোলা নিয়ে সংশয়ে আছি। জমিতে পানি জমে গেছে। শ্রমিকও পাচ্ছিনা। ফলে লোকসানে পড়তে হবে।”
মনসুর নামে আরেকজন বলেন, “কাটা শেষে ধান স্তুপ করে রেখেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টিতে সমস্যার মধ্যে পড়লাম। এখন কড়া রোদে শুকাতে হবে। যদি আবার বৃষ্টি হয় তাহলে ধান ঘরে তোলা নিয়ে বিপাকে পড়তে হবে।”
জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, আজ (রবিবার) সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় নোয়াখালীতে ১২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
ঢাকা/সুজন/টিপু