‘শক্তিশালী অর্থনীতির জন্য বন্ড মার্কেটের ভূমিকা অনস্বীকার্য’
Published: 19th, February 2025 GMT
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটের (বিআইসিএম) ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রেসিডেন্ট নাজমুস সালেহীন বলেছেন, একটি দেশের শক্তিশালী অর্থনীতির জন্য প্রয়োজন প্রাণবন্ত পুঁজিবাজার। আর পুঁজিবাজারকে প্রাণবন্ত করতে বন্ড মার্কেটের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
তিনি বলেন, “সারাবিশ্বে সুকুক বন্ড খুবই জনপ্রিয় এবং বাজারের জন্য ইফেক্টিভ প্রোডাক্ট। তবে বিগত রেগুলেটর এবং সরকার অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সুবিধা দেওয়ায় সুকুকের অপব্যবহার হয়েছে।”
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার তোপখানায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটের (বিআইসিএম) মিলনায়তনে ‘ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস' ফোরাম (সিএমজেএফ) ও বিআইসিএম যৌথভাবে আয়োজিত 'আন্ডারস্ট্যান্ডিং বন্ড অ্যান্ড সুকুক মার্কেট' শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিআইসিএম'র ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রেসিডেন্ট নাজমুস সালেহীন, সিএমজেএফ'র সভাপতি গোলাম সামদানী ভুইয়া, সাবেক সভাপতি জিয়াউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আবু আলী। সঞ্চালনা করেন বিআইসিএম'র প্রভাষক ফাইমা আক্তার।
নাজমুস সালেহীন বলেন, “বিআইসিএম দক্ষ জনশক্তি তৈরির কাজ করে যাচ্ছে। পুঁজিবাজারের জন্য এই প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা অনস্বীকার্য। কিন্তু দুঃখজনক হলো, প্রয়োজন অনুযায়ী আমরা জনশক্তি পাচ্ছি না।”
তিনি বলেন, “বিআইসিএম এ এপ্লাইড ফাইনান্স অ্যান্ড ক্যাপিটাল মার্কেট নিয়ে মাস্টার্স প্রোগ্রাম রয়েছে। যার সার্টিফিকেট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রদান করে। এখানেও আমরা শিক্ষার্থী পাচ্ছি না। শিক্ষার্থী পাওয়া নিয়ে আমরা সমস্যায় আছি।”
সিএমজেএফ সভাপতি গোলাম সামদানী ভুঁইয়া বলেন, “পুঁজিবাজারে উন্নয়নে বন্ডের বিকল্প নেই। কিন্তু এ বন্ড সম্পর্কে জানা এবং বুঝার বিষয়ে কিছুটা ঘাটতি আছে। সেখান থেকেই এ আয়োজন। আশা করি এ ধরণের প্রশিক্ষণ সেই ঘাটতি মেটাতে ভূমিকা রাখবে।”
জিয়াউর রহমান বলেন, “সঠিক সময়ে বন্ডের অপব্যবহার না আটকানো গেলে বিনিয়োগকারীরা এর উপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলবেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অনুরোধ করবো যারা বন্ড এবং সুকুকের অপব্যবহার করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।” তবে সুকুক এবং বন্ডে বিনিয়োগ করা সাধারণ বিনিয়োগকারীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়ে সেদিকে নজর রাখার আহ্বান জানান তিনি।
সিএমজেএফ এর সাধারণ সম্পাদক আবু আলী বলেন, “শেয়ারবাজার একটি সংবেদনশীল জায়গা। এ বিটে কর্মরত সংবাদকর্মীরা অর্থনীতি এবং বাণিজ্য বিভাগের বাইরে থেকেও এসেছেন। ফলে সংবেদনশীল জায়গায় দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার জন্য সিএমজেএফ সব সময় সচেষ্ট। তারই ধারাবাহিকতায় এ ধরণের প্রশিক্ষণের আয়োজন। আশা করি এ ধরনের কর্মশালা দেশের শেয়ারবাজার এবং অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখবে।”
প্রশিক্ষণটি পরিচালনা করেন বিআইসিএম এর সহকারী অধ্যাপক এস এম কালবীন ছালিমা, প্রভাষক ফাইমা আক্তার ও প্রভাষক গৌরব রায়।
ঢাকা/এনটি/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রমনা বটমূলে গান–কবিতা–উচ্ছ্বাসে ছায়ানটের বর্ষবরণ, বিভাজন ভাঙার প্রত্যয়
পুব আকাশে সবে লাল সূর্য উঠতে শুরু করেছে। মঞ্চে প্রস্তুত শিল্পীরা। সামনে দর্শকসারিতে ভিড় জমে গেছে। শিল্পী সুপ্রিয়া দাশ গেয়ে উঠলেন ‘ভৈরবী’ রাগালাপ। এর মধ্য দিয়ে শুরু হলো বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ বরণের পালা। আজ সোমবার ভোরে রাজধানীর রমনা বটমূলে এর আয়োজন করে ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট।
রাগালাপের পর ‘নূতন প্রাণ দাও, প্রাণসখা’ সম্মেলক গান শোনান ছায়ানটের শিল্পীরা। ‘তিমির দুয়ার খোলো’ একক গান পরিবেশন করেন শিল্পী দীপ্র নিশান্ত। পাখিডাকা ভোরে, সবুজের আচ্ছাদনে দর্শনার্থীরা যেন মন্ত্রমুগ্ধের মতো উপভোগ করেন এ আয়োজন।
এরপর একে একে ২৫টি রাগালাপ, গান আর আবৃত্তি পরিবেশন করা হয়। সকাল সাড়ে আটটার দিকে ছায়ানটের শিল্পীদের সমবেত কণ্ঠে পরিবেশিত হয় জাতীয় সংগীত। এ সময় কণ্ঠ মেলান উপস্থিত হাজারো দর্শক। এর মধ্য দিয়ে এবারের আয়োজন শেষ হয়।
তবে অনুষ্ঠান শেষের আগে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হত্যাযজ্ঞে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এ সময় ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি সারওয়ার আলী বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় ভয়াবহ মানবতার বিপর্যয় এবং গণহত্যায়, বিশেষ করে শিশু হত্যার তীব্র নিন্দা জানান তাঁরা। ফিলিস্তিনিরা আপন ভূমি রক্ষায় যে সংগ্রাম করছেন, তার প্রতিও সংহতি জানানো হয়।
এবার বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মূল বার্তা ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’। রমনার বটমূল, ঢাকা, ১৪ এপ্রিল