‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলা হয়’
Published: 19th, February 2025 GMT
নাইকো দুর্নীতি মামলায় যাঁরা আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন, তাঁদের কেউ বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কোনো সাক্ষ্য দেননি। বরং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলা করা হয়েছিল।
নাইকো দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার সময় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক রবিউল আলম মৌখিকভাবে এ মন্তব্য করেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী আমিনুল ইসলাম।
আজ বুধবার এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামিকে খালাস দিয়ে রায় দিয়েছেন এই আদালত। খালাস পাওয়া অপর আসামিরা হলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহিদুল ইসলাম, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউসুফ হোসেন, সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (বাপেক্স) সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক ও নাইকো রিসোর্সেস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সাবেক প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী আমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, রায় ঘোষণার সময় আদালত বলেন, এই মামলায় ৩৯ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। কোনো সাক্ষী মামলার ঘটনার সঙ্গে খালেদা জিয়ার জড়িত থাকার তথ্য বলেননি। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হয়রানির জন্য খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়।
আইনজীবী আমিনুল ইসলাম আরও বলেন, মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় প্রত্যেককে খালাস দেওয়া হয়েছে।
১৩ ফেব্রুয়ারি এ মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়। এরপর রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন আদালত।
কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলাটি করে দুদক।
দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেছিলেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডার কোম্পানি নাইকোর হাতে তুলে দেওয়ার মাধ্যমে আসামিরা রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি করেছেন।
মামলায় ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। ২০২৩ সালের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
আরও পড়ুননাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামি খালাস২ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রিমান্ড শুনানি শেষে পলকের আইনজীবী বললেন, ভাই সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন
রিমান্ড শুনানি শেষে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে উপস্থিত সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার ওবায়দুল হত্যা মামলায় আজ সোমবার সকালে সকালে ঢাকার সিএমএম আদালতে উপস্থিত করা হয় পলককে। এসময় তাকে আদালতের কাঠগড়ায় রাখা হয়। এরপর এ মামলায় তাকে ৭ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট ফারজানা ইয়াসমিন রাখি ও অ্যাডভোকেট তরিকুল ইসলাম রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াকের আদালত।
রিমান্ড শুনানি শেষে পলকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘পলক ভাই সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।’
মামলার সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে গত ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ীর মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার এলাকায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের হামলায় মৃত্যুবরণ করেন ভুক্তভোগী ওবায়দুল ইসলাম। এ ঘটনায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়।
গত ১৪ আগস্ট রাতে রাজধানীর খিলক্ষেত থানাধীন নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় জুনাইদ আহমেদ পলককে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। এরপর থেকে বিভিন্ন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে দফায় দফায় রিমান্ডে নেয়া হয়। বর্তমানে তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।