আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ নয়, নিশ্চিহ্ন করতে হবে: আসিফ মাহমুদ
Published: 19th, February 2025 GMT
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়া বলেছেন, আওয়ামী লীগকে শুধু নিষিদ্ধ নয়, রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করতে হবে।
বুধবার দুপুরে নিজের ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
ফেসবুকে উপদেষ্টা বলেন, এটাই আমার ব্যক্তিগত অবস্থান। এখন সেটা করার প্রসেস কি হবে তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। পৃথিবীতে বিভিন্ন দেশে এমন নজির আছে। আমার চোখের সামনে তাদের গুলিতে ভাইদের শহীদ হতে দেখেছি। গুমের শিকার হয়েছি, মৃত্যুকে কাছ থেকে দেখেছি। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক পুনর্বাসনের চিন্তাও আসা অসম্ভব। বিস্তারিত না বলায় আমিও ঠিকভাবে বুঝাতে পারিনি। কিছু কিছু মিডিয়াতেও বক্তব্য ভিন্নভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। এখানে আওয়ামী লীগ হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেওয়ার কথা বলা হয়নি। বিচারের পূর্বে এই প্রশ্নই অবান্তর।
তিনি বলেন, তবে এই প্রশ্নের একটা স্থায়ী সমাধানে পৌঁছাতে হবে। তা যদি না হয় তবে আজ বা কাল আওয়ামী লীগ আবার ফিরে আসার সুযোগ পাবে। আওয়ামী লীগ জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেছিল, তাতে কি জামাতের রাজনীতি করা আটকাতে পেরেছে? এটা যদি ইন্টিগ্রেটেড প্রসেসের মধ্য দিয়ে না হয় তাহলে সম্ভব হবে কি না প্রশ্ন থেকে যায়। ১৬ বছরে সরাসরি রাজনীতিতে যুক্ত না হয়েও আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগীর সংখ্যা অনেক।
উপদেষ্টা আরও বলেন, অনেকেই বলছেন অন্যায় না করলে ক্ষমা চাইবে কেন? অবশ্যই ক্ষমা চাইতে হবে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে যেকোনো ফরম্যাটে জড়িত থাকার কারণে, ফ্যাসিস্ট অ্যানাবলার কিংবা সুবিধাভোগী হিসেবেই ক্ষমা চাইতে হবে। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে স্বচ্ছ, উন্মুক্তভাবে এবং ধাপে ধাপে। নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে লিগ্যালি এবং সোশ্যালি (ট্রুথ কমিশন কিংবা বিশ্বের যেসব স্থানে এমন নজির আছে তাদের প্রক্রিয়া অনুসরণ করে) আওয়ামী লীগকে আদর্শিক ও রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশ থেকে নির্মূল করতে হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ র জন ত আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
ছয় ইসরায়েলি জিম্মি ও ৬২০ ফিলিস্তিনি মুক্ত
হামাসের হাতে আটক অবস্থায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত শিরি বিবাসের মৃতদেহ নিয়ে সৃষ্ট সংকট কেটেছে। যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে গত সপ্তাহে জিম্মির মরদেহ ফেরত দিলে তেল আবিব জানায়, এটা শিরির মৃতদেহ নয়। তারা যুদ্ধবিরতি ভেঙে হামলার হুঁশিয়ারি দেয়। হামাস জানায়, বিমান হামলার কারণে নিহত শিরিকে শনাক্ত করতে তারা সমস্যায় পড়ে। এ অবস্থায় শুক্রবার রাতে পাঠানো হয় আরেকটি দেহাবশেষ। সেটি যে শিরিরই, তা নিশ্চিত করেছে ইসরায়েল। এতে নতুন করে যুদ্ধ শুরুর শঙ্কা আপাতত কাটল।
গতকাল শনিবার আরও ছয় জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ইসরায়েল তাদের কারাগারে থাকা ৬২০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয়। আলজাজিরা জানায়, আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হয়। একটি ছবিতে দেখা যায়, মুক্ত এক ইসরায়েলি জিম্মি মঞ্চে হামাসের এক সদস্যের কপালে ‘কৃতজ্ঞতা’য় চুমু খাচ্ছেন। ছবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। জিম্মিদের হাস্যোজ্জ্বল দেখা যায়। আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রেড ক্রসের কাছে তাদের হস্তান্তর করে হামাস।
এদিকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনী দুই ফিলিস্তিনি শিশুকে গুলি করে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও বার্তা সংস্থা ওয়াফা। নিহতদের মধ্যে আয়মান নাসের আল হায়মুনির বয়স ১২ বছর। সে হেবরনের বাসিন্দা। অপরজন রিমাস আল আমুরির বয়স ১৩, তার বাড়ি জেনিনে।
হেবরনের দক্ষিণে আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় ইসরায়েলি বাহিনী আল-হায়মুনিকে পেটে গুলি করে হত্যা করে। জেনিনে আমুরিকে লক্ষ্য করে পাঁচটি গুলি চালায় ইসরায়েলি সেনারা। গুলিগুলো তার পিঠে লাগে।