এসপি তানভীর সালেহীন ৭ দিনের রিমান্ডে
Published: 19th, February 2025 GMT
ঢাকার নিউমার্কেট থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় পুলিশ সুপার (এসপি) তানভীর সালেহীন ইমনের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে গোয়েন্দা পুলিশ তাকে রাজশাহীর সারদার পুলিশ একাডেমি থেকে আটক করে। পরের দিন সাত দিনের রিমান্ড আবেদনসহ তাকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের রমনা জোনাল টিমের পরিদর্শক আমজাদ হোসেন তালুকদার। তবে মূল নথি না থাকায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ১৯ ফেব্রুয়ারি রিমান্ড শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়।
এদিন, শুনানিকালে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। তার পক্ষে আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন।
শুনানি শেষে আদালত তার সাত দিনেরই রিমান্ডের আদেশ দেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৯ জুলাই বিকেল ৫টায় নিউমার্কেটের ১ নম্বর গেটের সামনে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলাকারীদের গুলিতে নিহত হন ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ। এ ঘটনায় তার শ্যালক আব্দুর রহমান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২৮তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে ২০১০ সালে পুলিশে যোগ দেন তানভীর সালেহীন। তিনি ২০১৬ সালে আইজিপি ব্যাজ এবং ২০১৭ সালে রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) পান।
২০২২ সালে তানভীর সালেহীন এসপি হিসেবে পদোন্নতি পান। এরপর তাকে ডিএমপির উপকমিশনার (সদর দপ্তর ও প্রশাসন) হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তাঁকে রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির পুলিশ সুপার (বেসিক ট্রেনিং-২) হিসেবে পদায়ন করা হয়। সম্প্রতি সারদায় প্রশিক্ষণরত পুলিশ কর্মকর্তা ও কনস্টেবলদের তার স্বাক্ষরেই কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হচ্ছিল। একাডেমির অধ্যক্ষের পক্ষে তিনি তাদের এই শোকজ করছিলেন।
ঢাকা/মামুন/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কেএসআরএম ফুটবল টুর্নামেন্ট সমাপ্ত
ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা আর উৎসবমুখর পরিবেশে শেষ হয়েছে কেএসআরএম ফুটবল টুর্নামেন্ট (কেএফটি সিজন-২)।
শনিবার টুর্নামেন্টের ফাইনালে অংশ নেয় কেএসএল ফাইটার্স ও ইলেকট্রো এলিট। ১-০ গোলে ভাগ্য নির্ধারণ হয় বিজয়ী দল কেএসএল ফাইটার্সের।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি নগরীর হালিশহর কেএসআরএম ফুটবল কমপ্লেক্সের টার্ফে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন হয়। সেই থেকে প্রতিদিন চলে টুর্নামেন্টের খেলা।
কেএসআরএমের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট থেকে গঠিত ২৮টি ফুটবল টিম অংশ নিয়ে খেলেন ৫২টি ম্যাচ। প্রথম রাউন্ডে ৩২ ম্যাচ, দ্বিতীয় রাউন্ড বা নকআউট পর্বে অনুষ্ঠিত হয় ১৬ ম্যাচ, কোয়াটার ফাইনাল ৮ ম্যাচ, সেমিফাইনালে ৪ ম্যাচ, তৃতীয় স্থান নির্ধারণী এবং ফাইনাল ম্যাচ।
তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে গতবারের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন মার্কেটিং ভাইকিংসকে ২-০ গোলে পরাজিত করে জয় নিশ্চিত করে নেন শকওয়েভ স্কোয়াড।
ফাইনাল ম্যাচে দুই দলই কেএসএল ফাইটার্স এবং ইলেকট্রো এলিট দক্ষতা ও নৈপুণ্য দেখাতে সক্ষম হয়। টার্ফের চারপাশে ছিল ব্যাপক দর্শকের উপস্থিতি। তাদের দফায় দফায় ভুভুজেলার ধ্বনি, মুহুর্মুহু করতালি ও টানটান উত্তেজনা ছিল ম্যাচজুড়ে। টিমের খেলোয়াড়দের উৎসাহিত করতে এবং সার্বিক তত্ত্বাবধানে মাঠে সার্বক্ষণিক উপস্থিত ছিলেন ম্যাচ পরিচালনাকারী ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি এবং তাদের সহযোগী সদস্যরা।
আরো উপস্থিত ছিলেন কেএসআরএমের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক নবাব সিরাজ-উদ্-দৌলা, সেলিম উদ্দিন, করিম উদ্দিন, সরওয়ার জাহানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ফাইনাল উদযাপনে উপব্যাবস্থাপনা পরিচালক সারওয়ার জাহান গান পরিবেশন করে সবাইকে উজ্জীবিত করেন। যা জয় উদযাপনে নতুন মাত্রা যোগ করে। টুর্নামেন্টের থিম সং লিখেন কেএসআরএম মার্কেটিং বিভাগের করপোরেট সেলস ম্যানেজার মুশফিকুর রহমান।
পরবর্তীতে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান অর্জনকারী প্রত্যেক খেলোয়াড়দের হাতে তুলে দেওয়া হয় বিভিন্ন পুরস্কার, সম্মাননা পদক এবং নগদ অর্থ। বিচারকরা টুর্নামেন্টে সেরা খেলোয়াড় এবং সর্বোচ্চ গোলদাতা নির্বাচন করেন বিজয়ী দল কেএসএল ফাইটার্সের সজিবকে এবং সেরা গোলরক্ষক নির্বাচিত হন শকওয়েভ স্কোয়াডের তারেক।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে আতশবাজি ফোটানোর মধ্য দিয়ে বিজয় উদযাপন করা হয়। কেএসআরএমের ব্যবস্থাপনা পর্ষদ সুশৃঙ্খল ও সুন্দর আয়োজনের জন্য টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটিকে ধন্যবাদ জানান।
উপব্যবস্থপনা পরিচালক নবাব সিরাজ-উদ্-দৌলা বলেন, “কেএসআরএম ব্যবসার পাশাপাশি সামাজিক উন্নয়ন ও খেলাধুলার মাধ্যমে কর্মীদের দক্ষতা এবং ইতিবাচক মনোজাগতিক পরিবর্তনে বদ্ধপরিকর। সেই ধারাবাহিকতায় এ ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন।”
এমন আয়োজন আগামীতে অব্যাহত থাকবে বলেও আভাস দিয়েছেন কেএসআরএম ব্যবস্থাপনা পর্ষদ।
ঢাকা/সাজ্জাদ/সাইফ