সাবেক আইজিপি শহিদুল হকের অবৈধ সম্পদের লুকিয়ে রাখা দুই বস্তা নথি উদ্ধার
Published: 19th, February 2025 GMT
বিপুল পরিমাণ সম্পদের গোপন নথি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহিদুল হক সরিয়ে ফেলেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে (কোথায়) অভিযান চালিয়ে দলিলসহ দুই বস্তা নথি উদ্ধার করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তারা। আজ বুধবার দুপুরে দুদকের জনসংযোগ বিভাগ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
দুদক জানায়, শহিদুল হকের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের একটি অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে।
অনুসন্ধান কার্যক্রমের একপর্যায়ে দুদক তথ্য পায়, শহিদুল হক অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্যসংবলিত নথিপত্র দুটি বস্তায় ভরে তাঁর এক নিকটাত্মীয়ের কাছে পাঠিয়েছেন। গোয়েন্দা সূত্রে দুদক আরও তথ্য পায়, নথিপত্রগুলো গোপন রাখতে তাঁর সেই আত্মীয় আরেক আত্মীয়ের বাসায় সেগুলো পাঠিয়ে দেন। এসব নথিপত্রে শহিদুল হকের বেআইনিভাবে অর্জিত কোটি কোটি টাকার সম্পদের তথ্য রয়েছে।
দুদক সূত্রে জানা জানা গেছে, গতকাল রাত থেকে ভোর পর্যন্ত দুদকের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক রাকিবুল হায়াতের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি দল শহিদুল হকের আত্মীয়ের বাড়িতে তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এ সময় ২ বস্তায় মোট ৩৮ ধরনের ৪৮টি আলামত পাওয়া যায়। এর মধ্যে রয়েছে বিপুল মূল্যমানের সম্পদের দলিল, বিভিন্ন গোপন চুক্তিপত্র, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি, সংঘ স্মারকের ছায়ালিপি, অফার লেটার, ব্যাংক হিসাব বিবরণী ইত্যাদি।
এসব নথিপত্র শহিদুলের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান কাজে সহায়ক হবে বিবেচনায় কমিশনের কর্মকর্তারা নিরপেক্ষ সাক্ষীর উপস্থিতিতে আলামতগুলো জব্দ করে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কেরানীগঞ্জে ব্যবসায়ীকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৪
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে ইট-বালু ব্যবসায়ী মীর জুবায়ের হোসেন হত্যা মামলায় চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা-বাহিনী। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মুকবুল হোসেনের ছেলে রায়হান হোসেন (৩০), শফিকুর রহমানের ছেলে ইফতেখার রহমান সেজান (৩০), হাসেম তপদাদের ছেলে সোহাগ তপদার (৩০) ও হারুন শেখের ছেলে মাসুদ শেখ (৩৫)। তারা সবাই দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার শুভ্যাড্ডা পূর্বপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
গত ২২ মার্চ প্রকাশ্য দিবালোকে গোলামবাজার আবু বক্কর সিদ্দীক এন্টারপ্রাইজের সামনে ব্যবসায়ী মীর জুবায়ের হোসেনকে বিএনপিতে যোগদানকারী মোল্লা ফারুকের নেতৃত্বে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় নিহতের বড়ভাই মীর হামিদুর রহমান বাদী হয়ে সন্ত্রাসী মোল্লা ফারুকসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। বিএনপি নেতা সন্ত্রাসী মোল্লা ফারুকের ডানহাত আওয়ামী লীগ নেতা সোবহান মিয়া, আমির হোসেন, সবুজ আলী, সাকিব হোসেন, জাবেদ আলী ও আব্দুর রহিম পলাতক রয়েছে।
বাদী মীর হামিদুর রহমান বলেন, মামলা হওয়ার পর থেকে আমার পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে বিএনপি নেতা মোল্লা ফারুক লোকজন।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১০ এর সহকারী পুলিশ সুপার শামীম হাসান সরদার বলেন, ইট-বালু, সিমেন্ট ও জমির ব্যবসার পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মোল্লা ফারুকের নেতৃত্বে যুবায়ের হোসেনকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে। মঙ্গলবার গভীর রাতে র্যাব-১০ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় রাজধানীর রমনা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।