বিতর্কের মধ্যেই সাময়িক স্বস্তিতে ইউটিউবার রণবীর এলাহাবাদিয়া। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছেন, ‘সঙ্গম’ বিতর্কে রণবীরের মন্তব্যের জন্য তাঁকে এখনই গ্রেপ্তার করা যাবে না। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

নিজের নিরাপত্তার কথা জানিয়ে ভারতের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন রণবীর। তাঁর আইনজীবী অভিনব চন্দ্রচূড় আদালতে জানান, দেশের একাধিক রাজ্যে রণবীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁর মক্কেলকে ক্রমাগত হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে বিচারপতি সূর্যকান্ত ও এন কোটিশ্বর সিংয়ের বেঞ্চ জানিয়ে দেন, ভবিষ্যতে এ ঘটনায় রণবীরের বিরুদ্ধে আর কোনো অভিযোগ গ্রহণ করা যাবে না। একই সঙ্গে পুলিশি নিরাপত্তার জন্য রণবীর মহারাষ্ট্র বা আসাম পুলিশের দ্বারস্থ হতে পারেন বলেও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

গতকাল আদালত রণবীরকে পুলিশি তদন্তে সাহায্য করার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে ইউটিবারের এ মুহূর্তে দেশের বাইরে যাওয়ার স্বাধীনতাও খর্ব করা হয়েছে।

রণবীর এলাহাবাদিয়া। ইনস্টাগ্রাম থেকে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: রণব র

এছাড়াও পড়ুন:

শ্রীপুরে অস্ত্রসহ দলবল নিয়ে যুবদল নেতার চাঁদাবাজির ঘটনায় চারজন গ্রেপ্তার

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার এমসি বাজারে যুবদল নেতার নেতৃত্বে সশস্ত্র অবস্থায় বাজার দখলে নিয়ে চাঁদা তোলার ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রোববার ভোররাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের মধ্যে একজনের কাছ থেকে একটি রামদা জব্দ করেছে পুলিশ।

গতকাল শনিবার দেশি অস্ত্রসহ দলবল নিয়ে শ্রীপুরের এমসি বাজারে এসে চাঁদা তোলেন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদ্য বহিষ্কৃত সদস্য জাহাঙ্গীর আলম। ওই ঘটনার পর যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি তাঁকে দলের সব পদ থেকে বহিষ্কার করে। প্রকাশ্যে চাঁদাবাজির ঘটনায় ওই বাজারের ব্যবসায়ী হযরত আলী বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার মুলাইদ মধ্যপাড়া গ্রামের দুলাল উদ্দিনের ছেলে হাসেম (৩৯), আইনুদ্দিনের ছেলে আসাদুল ইসলাম (২৪), ছমির উদ্দিনের ছেলে সুমন মিয়া (২৮) এবং টেপিরবাড়ি গ্রামের দেওচালা এলাকার মো. মাইজ উদ্দিনের ছেলে হৃদয় হাসান (২৬)। তবে মূল আসামি যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর আলম ঘটনার পর থেকে পলাতক।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল প্রথম আলোকে বলেন, চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, মাথায় লাল গামছা পেঁচিয়ে গতকাল বিকেল পৌনে চারটার দিকে জাহাঙ্গীর ও তাঁর লোকজন বাজারে আসেন। তাঁরা এমসি বাজার ইউটার্ন থেকে মহাসড়কে মিছিল নিয়ে বাজারের উত্তর পাশে স্বপ্নপুরী হোটেলের সামনে আসেন। সেখানে একটি প্লাস্টিকের চেয়ারে দাঁড়িয়ে জাহাঙ্গীর ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন। চাঁদা তোলার সময় জাহাঙ্গীরের সঙ্গে অন্তত ৪০ জন ছিলেন। তাঁদের বেশির ভাগের হাতে ছিল রামদা, লোহার রড, ছুরি ও অন্যান্য দেশি অস্ত্র। তাঁরা হঠাৎ এসে বাজার নিয়ন্ত্রণের ঘোষণা দিয়ে চাঁদা তোলা শুরু করেন। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ৩০০ থেকে ১০০০ টাকা করে চাঁদা নেওয়া হয়। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে জাহাঙ্গীর আলমকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি বাজারে এসেছি, আপনাদেরকে সহযোগিতা করতে। আজকের পর থেকে এই বাজারের সব কন্ট্রোল করব আমি। কে ডাকছে, কে না ডাকছে, সেটা আমার জানার বিষয় নয়। আমার নেতৃত্বে এই বাজার চলবে। আজকের পর থেকে আমি জাহাঙ্গীর যত দিন বেঁচে থাকব, তত দিন পর্যন্ত এই বাজার আমার নেতৃত্বে চলবে। আপনাদের আমি বলছি, দোকানদার ভাইয়েরা আজকে থেকে আপনারা খাজনা দেওয়া শুরু করে দেন। এখন এই মুহূর্তে আমার লোকজন খাজনা ওঠাবে। কেউ বাধা দিলে তাঁকে কঠিনভাবে প্রতিহত করব। তাঁকে অনেক খেসারত দিতে হবে। তাই সবাইকে অনুরোধ করে বলছি, আপনারা কেউ এই কাজে এসে বাধা দেবেন না। আমাদের কাজ আমাদের করতে দেন। আপনারা কেউ ভয় পাবেন না। সকলকে ধন্যবাদ।’

আরও পড়ুনশ্রীপুরে অস্ত্রসহ বাজারে গিয়ে বিএনপি নেতার হুমকি, পরে বহিষ্কার১৫ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ