সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি ইভেন্স টেক্সটাইল লিমিটেডের ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন করা হয়েছে।

ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির ক্রেডিট রেটিং ওয়াসো ক্রেডিট রেটিং কোম্পানি (বিডি) লিমিটেড দীর্ঘমেয়াদী “বিবিবি+” এবং স্বল্প মেয়াদে “এসটি-৩” রেটিং করেছে।

কোম্পানিটির ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক গুণগত এবং পরিমাণগত তথ্যের উপর ভিত্তি করে এ রেটিং নির্ণয় করা হয়েছে।

 

এসকেএস

.

উৎস: SunBD 24

এছাড়াও পড়ুন:

৩০ হাজার ফুলে ফুটে উঠল ‘অমর ২১’

বায়ান্নতে রাষ্ট্রভাষা বাংলার জন্য রাজশাহী কলেজ প্রাঙ্গণে গড়ে উঠেছিল আন্দোলন। সেই কলেজ প্রাঙ্গণে ৩০ হাজার ফুলে ফুটে উঠল ‘অমর ২১’। 

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে সবুজ পাতার গালিচার ওপর হলদে ফুলে এই অমর ২১ লেখা হয়েছিল। তা দেখতে ভিড় করেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী আর সাধারণ দর্শনার্থীরা। এসেছিলেন রাজশাহীর একজন ভাষা সংগ্রামীও।

পূর্ব বাংলায় মাতৃভাষা বাংলার জন্য আন্দোলনে ছাত্রসমাজের বাইরেও অংশ নিয়েছিলেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। ছিলেন হাজারো কৃষক। সেই কৃষকের অবদান ফুটিয়ে তোলার পাশাপাশি নতুন প্রজন্মকে দেশের যেকোনো ক্রান্তিলগ্নে উদ্বুদ্ধ করতে ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগটি নেন রাজশাহীর কৃষক মনিরুজ্জামান মনির। মূলত ২১ ফেব্রুয়ারিকে ঘিরেই ছিল তার এই পরিকল্পনা।

আয়োজক কৃষক রাজশাহী কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী মনিরুজ্জামান মনির বলেন, ‘‘ভাষা-সংগ্রামের ইতিহাস এবং তাৎপর্য ও কৃষকের অবদান ফুটিয়ে তুলতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মূলত ২১ ফেব্রুয়ারিতেই আয়োজনটি করার ইচ্ছে থাকলেও সেদিন ফুলগুলো পূর্ণতা পায়নি। তাই কয়দিন পরে এ ফেব্রুয়ারিতেই ফুটিয়ে তোলা হলো অমর একুশ।’’

সুনিপুণ হাতে কলেজের কংক্রিটের ওপর ৩০ হাজার সূর্যমুখী ফুলে অমর একুশ ফুটে ওঠার সে খবর মূহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে নগরে। যা একনজর দেখতে ভিড় জমান বহু দর্শনার্থী। তারা ফুল দিয়ে তৈরি ‘অমর ২১’-এর সাথে নিজেদের ফ্রেমবন্দী করার পাশাপাশি ভাষা আন্দোলনের শহীদদের অবদানকে স্মরণ করেন গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গেই। 

ব্যতিক্রমী এ আয়োজন দেখতে এসেছিলেন বায়ান্নতে রাজশাহীতেই ভাষা আন্দোলনে অংশ নেওয়া ভাষাসৈনিক মোশাররফ হোসেন আখুঞ্জিও। তিনি জানালেন নিজের অনুভূতি।

রাজশাহীর এই ভাষাসৈনিক বলেন, ‘‘রাষ্ট্রভাষার জন্য রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থীদের অবদান কম নয়। ঢাকার পরেই আমরা রাজশাহীতে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলেছিলাম। ঢাকার রাস্তায় গুলি চললে আমরাই প্রথম এই কলেজে রাতারাতি শহীদ মিনার নির্মাণ করেছিলাম। আমাদের চাওয়া, এই শহীদ মিনারটিকে যেন দেশের প্রথম শহীদ মিনারের স্বীকৃতি দেওয়া হয়।’’

আয়োজককে ধন্যবাদ জানিয়ে কলেজের অধ্যক্ষ মু. যহুর আলী বলেন, ‘‘এ ধরনের আয়োজন আমাদের ভাষা-সংগ্রামের ইতিহাস ও মর্যাদাকে সমুন্নত করে। জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত কৃষক মনিরুজ্জামান এ আয়োজন করেছেন। এ জন্য তার প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা।’’

ঢাকা/কেয়া/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ