বাইডেনের আমলে নিয়োগ পাওয়া সব অ্যাটর্নিকে বরখাস্ত করার আদেশ ট্রাম্পের
Published: 19th, February 2025 GMT
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের হাতে নিয়োগ পাওয়া ইউএস অ্যাটর্নিদের যাঁরা এখনো কাজে আছেন, তাঁদের বরখাস্ত করার আদেশ দিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল মঙ্গলবার এ আদেশ দিয়েছেন তিনি।
ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘গত চার বছরে মার্কিন বিচার বিভাগের এতটাই রাজনীতিকরণ হয়েছে, যা আগে কখনো হয়নি। এ জন্য আমি বাইডেন আমলে নিয়োগ পাওয়া বাকি সব অ্যাটর্নিকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছি।’
ট্রাম্প আরও লিখেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের এ স্বর্ণযুগে অবশ্যই একটি স্বচ্ছ বিচারব্যবস্থা থাকতে হবে, যা আজ শুরু হলো।’
যুক্তরাষ্ট্রে কেন্দ্রীয় কৌঁসুলিরা ইউএস অ্যাটর্নি নামে পরিচিত। যুক্তরাষ্ট্রে সাধারণত দেখা যায়, নতুন কোনো প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব নেওয়ার পর আগের প্রেসিডেন্টের নিয়োগ করা অ্যাটর্নিদের সরিয়ে দেন। ওই জায়গায় অন্য কাউকে নিয়োগ দেন তাঁরা।
যুক্তরাষ্ট্রের ৯৪টি কেন্দ্রীয় ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে ৯৩ জন ইউএস অ্যাটর্নি আছেন। একেকজন অ্যাটর্নি একটি ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের দায়িত্বে থাকলেও দুটি ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট আছে, যেগুলো একজন অ্যাটর্নিই সামলান।
প্রতিটি ডিস্ট্রিক্টে অ্যাটর্নিরা কেন্দ্রীয় শীর্ষ আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা হিসেবে বিবেচিত হন।
গত বছরের নভেম্বরে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর বাইডেনের আমলে নিয়োগ দেওয়া কয়েকজন অ্যাটর্নি পদত্যাগ করেন।
ট্রাম্প অভিযোগ করেছিলেন, বাইডেনের নেতৃত্বাধীন বিচার বিভাগ তাঁকে অন্যায়ভাবে বিচারের মুখোমুখি করেছেন। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই বিচার বিভাগে ব্যাপক পরিবর্তন আনার জন্য তৎপর হয়েছেন। অনেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে, পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে বা নতুন করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বরখাস্ত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে সাবেক বিশেষ পরামর্শক (স্পেশাল কাউন্সেল) জ্যাক স্মিথের কার্যালয়ের সদস্যরা আছেন। জ্যাক স্মিথের নেতৃত্বে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দুটি ফৌজদারি মামলা হয়েছিল। যদিও এখন মামলাগুলো বাতিল হয়ে গেছে।
নিউইয়র্কের সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্টের ভারপ্রাপ্ত ইউএস অ্যাটর্নি গত সপ্তাহে পদত্যাগ করেছেন। তিনি বিগত ট্রাম্প প্রশাসনের আমলে নিয়োগ পেয়েছিলেন। নিউইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রত্যাহার করার জন্য বিচার বিভাগ থেকে তাঁকে অনুরোধ করার পর তিনি পদত্যাগ করেছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য গ কর
এছাড়াও পড়ুন:
টিপকাণ্ড: লতা সমাদ্দার, সুবর্ণা মোস্তফাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় টিপকাণ্ডের ঘটনায় তেজগাঁও কলেজের শিক্ষিকা ড. লতা সমাদ্দার, তার স্বামী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচ্যকলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মলয় মালা এবং শোবিজের ১৬ তারকার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ্ ফারজানা হকের আদালতে চাকরিচ্যুত সেই কনস্টেবল নাজমুল তারেক মামলার আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে শেরেবাংলা নগর থানাকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলেন নির্দেশ দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী তৌহিদ খান এ তথ্য জানান।
মামলায় আরো যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন অভিনেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য সুবর্ণা মোস্তফা, নাট্য অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন, সাজু খাদেম, প্রাণ রায়, সায়মন সাদিক, মনোজ প্রামাণিক, স্বাধীন খসরু, চয়নিকা চৌধুরী, আশনা হাবিব ভাবনা, জ্যোতিকা জ্যোতি, উর্মিলা শ্রাবন্তী কর, দেবী সান, নাজনীন নাহার চুমকি, সুষমা সরকার, কুসুম সিকদার। এছাড়া শোবিজের আরো বেশ-কয়েকজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
টাঙ্গাইলে নকল সরবরাহের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার
জামালপুরে মাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে ছেলে গ্রেপ্তার
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ২০২২ সালে টিপ পরা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদের সময় এসব তারকারা ইচ্ছাকৃতভাবে পুলিশের মানহানি ঘটিয়েছেন। তারা সামাজিক মাধ্যমে ছবি ও বক্তব্য দিয়ে নাজমুল তারেকের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়িয়েছেন, যার ফলে তার পেশাগত ও সামাজিক জীবনে মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে বলে মামলায় দাবি করা হয়েছে।
জানা যায়, ২০২২ সালের ২ এপ্রিল রাজধানীর ফার্মগেটে একটি বাইক লতা সমাদ্দারের পায়ে লাগার জেরে পুলিশের পোশাক পরা ব্যক্তি তাকে ‘টিপ পরছোস কেন’ বলে কটূক্তি করেন-এমন অভিযোগ তুলে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দেন তিনি। এরপর বিষয়টি ভাইরাল হয়ে যায়। শোবিজ অঙ্গনের অনেক তারকা লতার পক্ষ নিয়ে টিপ পরা ছবি পোস্ট করে প্রতিবাদে অংশ নেন।
ঘটনার জেরে নাজমুল তারেক চাকরি হারান। পরে তিনি আইনি লড়াইয়ে যান এবং চাকরি ফেরতের আবেদনও করেন। বর্তমানে সেই মামলা প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন।পাশাপাশি পুলিশের মহাপরিদর্শকের কাছেও চাকরি পুনর্বহালের আবেদন করেছেন তিনি।
ঢাকা/এম/এসবি