আজ (১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) বিকেল ৩টায় আবারও মাঠে গড়াচ্ছে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। সুদীর্ঘ ‘তিন দশক’ পর আবারও আইসিসির কোন বড় আসরের আয়োজক পাকিস্তান। এর আগে ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপই ছিল পাকিস্তানের মাটিতে হওয়া সবশেষ বড় কোন আইসিসি ইভেন্ট। প্রথম ম্যাচেই স্বাগতিক পাকিস্তানের সামনে উড়তে থাকা নিউ জিল্যান্ড।

করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে এই দুই দল মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। যা ঘিরে গোটা পাকিস্তানেই এখন উৎসবের আমেজ। এই দুই দল অবশ্য দিন চারেক আগেই একে অপরের বিপক্ষে একই মাঠে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল খেলে। সেখানে হেসেখেলেই জিতেছিল কিউইরা। এই সিরিজেই আরেক দেখায় পাকিস্তানকে ৭৮ রানের বড় ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছিল মিচেল স্যান্টনারের দল।

স্বাগতিক হওয়ার পরও তাই আজ পাকিস্তানকে তাড়া করে বেড়াবে সেই দুই হারের দুঃস্মৃতি। অবশ্য মোহাম্মদ রিজওয়ান একটা ব্যাপার ভেবে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলতেই পারেন। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলেই অসাধারণ নৈপুণ্যে ছায় থেকে বেরিয়ে আসে টিম পাকিস্তান। বাজে অবস্থার সময় কোন ক্রিকেটিয় ব্যাখ্যায় বিশ্লেষণ করা যায় না তাদের পারফরম্যান্স।

আরো পড়ুন:

পাকিস্তানে শ্রমিক বহনকারী গাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ, নিহত ১০

জয়ের পর জরিমানা গুনলেন পাকিস্তানের তিন ক্রিকেটার

মুখোমুখি লড়াইয়ে অবশ্য এগিয়েই আছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। দুই দলের পূর্বের ১১৮ দেখায় নিউ জিলয়ান্ডের ৫৩ জয়ের বিপরীতে পাকবাহিনীর জয় ৬১ বার। টাই হইয় একটি ম্যাচ, অন্যদিকে ফলাফল আসেনি ৩ ম্যাচে। রিজওয়ানের দল এগিয়ে আছে আরও একটি জায়গাতেও। সবশেষ দুই হারের পর ঘরের মাটিতে ৩৭ দেখার ২২টিতে জিতে এগিয়ে আছে পাকিস্তানই।

করাচির ন্যশনাল স্টেডিয়াম অসম্ভব ব্যাটিং সহায়ক। তবে গত শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) দুই দলের সবশেষ মুখোমুখি লড়াইয়ে এই স্টেডিয়ামের পিচ স্বাভবিরোধী আচরণ করেছে। উইলিইয়াম ও’রোর্ক এবং নাসিম শাহদের বোলিং রীতিমত কাঁপিয়েছে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের। শুরুর দিকে বল বেশ ভালো সুইং করেছিল সেই ম্যাচে। দিন চারেকের ব্যবধানে খুব বেশি বদলে যাবে না পিচ। তবে স্বাগতিক হওয়ার সিবিধা নিয়ে সেই ধরণের উইকেট নাও বানাতে পারে পাকিস্তান। দিবা রাত্রির ম্যাচ হওয়াতে টসে জেতা দলটা প্রতিপক্ষকেই আগে ব্যাটিংয়ে ঠেলে দিতে পারে।

একাদশ সাজাতে খানিকটা এগিয়ে থাকবে স্বাগতিকরা। রিজওয়ানেওর দলে যে নেই কোন চোট সমস্যা। স্কোয়াডের একমাত্র বিশেষজ্ঞ স্পিনার আবরার আহমেদ সেরা একাদশে থাকার সম্ভাবনা বেশি। নাসিম, শাহীন আফ্রিদি এবং হাসনাইনদের পেস বোলিং যে কোন দিন বিশ্বের যে কোন ব্যাটিং অর্ডারকে ধসিয়ে দিতে পারে।

তবে নিউ জিল্যান্ডের কপালে আছে চিন্তার ভাঁজ। শেষ কয়েক বছরে সাদা বলে তাদের সেরা পেসার লকি ফার্গুসনকে যে পাচ্ছে না তারা। আসর শুরু একদিন আগে চোটের কারণের ছইটকে গিয়েছেন এই গতি তারকা। সেই স্থানে এসেছেন অবশ্য কাইল জেমিসনের মতো কৌশলি আরেক পেসার। তাছাড়া দিন কয়েক আগে ও’রর্ক তো দেখিয়েই দিয়েছেন তার গতির ঝলক।

সব মিলিয়ে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দারুণ এক উদ্ভোধনী ম্যাচের সাক্ষী হতে যাচ্ছে ক্রিকেটপ্রেমীরা। একপেষে ম্যাচ হওয়ার সম্ভাবনা যে খুবই ক্ষীণ।   

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ব গত ক দ ই দল অবশ য আইস স

এছাড়াও পড়ুন:

কানাডা ইমিগ্রেশনে নতুন দিগন্ত: ফ্রেঞ্চ ভাষা জানলেই মিলছে বাড়তি সুযোগ

২০২৫ সালের শুরু থেকে কানাডা সরকারের এক্সপ্রেস এন্ট্রি প্রোগ্রামে ফ্রেঞ্চভাষী আবেদনকারীদের প্রতি অগ্রাধিকার বাড়ানো হয়েছে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৩৫ হাজার ৫৮৮ জন আবেদনকারীকে ITA (Invitation to Apply) প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে শুধু ফ্রেঞ্চ ভাষায় দক্ষ আবেদনকারীদের জন্য তিনটি পৃথক ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে ১৮ হাজার ৫০০ জন আবেদনকারী আমন্ত্রণ পেয়েছেন।

এতে এটা স্পষ্ট হয় যে কানাডা বর্তমানে দ্বিভাষিক (ইংরেজি ও ফ্রেঞ্চ) সমাজকে আরও শক্তিশালী করতে চাইছে এবং ফ্রেঞ্চ ভাষায় দক্ষ ব্যক্তিদের স্থায়ী বসবাসের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে।

কেন এই অগ্রাধিকার ফ্রেঞ্চ ভাষাভাষীদের জন্য?

কানাডা একটি দ্বিভাষিক দেশ। ইংরেজির পাশাপাশি ফ্রেঞ্চও সরকারি ভাষা। বিশেষ করে কুইবেক প্রদেশসহ পূর্বাঞ্চলের অনেক এলাকায় ফ্রেঞ্চ হলো প্রথম ভাষা। স্থানীয় অর্থনীতি, শিক্ষা ও সামাজিক খাতে ফ্রেঞ্চভাষীদের চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এ কারণে কানাডা সরকার চায় যেন অভিবাসীরা শুধু ইংরেজিভাষী না হয়ে ফ্রেঞ্চ ভাষায়ও দক্ষ হন।

ভাষা জানলে বাংলাদেশিদের জন্য বড় সুযোগ

বাংলাদেশে শিক্ষার্থী ও তরুণ পেশাজীবীদের জন্য এখনই সুবর্ণ সুযোগ—ফ্রেঞ্চ শেখার মাধ্যমে কানাডায় স্থায়ী বসবাসের রাস্তা সহজ করে নেওয়া। তুলনামূলক কম CRS (Comprehensive Ranking System) স্কোরে কানাডায় যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন ফ্রেঞ্চ ভাষায় দক্ষরা।

আরও পড়ুনএসএসসি পরীক্ষা ২০২৫-এর রুটিন, কোন পরীক্ষা কবে২০ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশে কোথায় শেখা যায় ফ্রেঞ্চ ভাষা?

ফ্রেঞ্চ শেখার জন্য ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের খোঁজ পাওয়া যায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো:

1. Alliance Française de Dhaka

অবস্থান: ধানমন্ডি ও গুলশান

ওয়েবসাইট: www.afdhaka.org

ফ্রেঞ্চ ভাষা শেখানোর জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান।

2. Institute of Modern Languages (IML), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

এখানে স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি ফ্রেঞ্চ কোর্স রয়েছে।

3. Online Platforms:

Duolingo (বিনা মূল্যে)

Babbel, Coursera, Udemy (সার্টিফিকেটসহ কোর্স)

ফ্রেঞ্চ শেখা কতটা কঠিন সময়সাপেক্ষ?

বাংলাদেশিদের জন্য এই ভাষা শেখা হয়তো একটু কঠিন হতে পারে। সাধারণভাবে, একজন শিক্ষার্থী যদি প্রতিদিন ২-৩ ঘণ্টা সময় দেন, তাহলে ৬ মাসের মধ্যে একটি ভালো বেসিক লেভেল অর্জন করা সম্ভব। উচ্চতর দক্ষতা অর্জনে সময় লাগতে পারে ১ থেকে দেড় বছর, তবে এর বিনিময়ে কানাডার মতো দেশের স্থায়ী বসবাসের সুযোগ এক অনন্য প্রাপ্তি।

শেষ কথা

বর্তমান বিশ্বে শুধু ডিগ্রিই নয়, ভাষাদক্ষতাও হয়ে উঠেছে অভিবাসনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। কানাডার মতো দেশে ফ্রেঞ্চ শেখার মাধ্যমে বাংলাদেশি তরুণ-তরুণীরা সহজেই গড়তে পারেন তাঁদের ভবিষ্যৎ। শুধু দরকার একটু আগ্রহ, নিয়মিত চর্চা এবং সঠিক দিকনির্দেশনা।

আরও পড়ুনমাদ্রাসা ও কারিগরির শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারীরা পাবেন অনুদান, আবেদনের সময় আরও ১০ দিন১৪ এপ্রিল ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (১৮ এপ্রিল ২০২৫)
  • জাতীয় পর্যায়ে আয়োজিত হতে যাচ্ছে ‘এআই অলিম্পিয়াড ২০২৫’
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের বিজ্ঞান ও মানবিক শাখার পরীক্ষার ফল প্রকাশ
  • বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজে মাস্টার্সের সুযোগ
  • চুয়াডাঙ্গাবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ৩৯
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (১৭ এপ্রিল ২০২৫)
  • যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে শিক্ষার্থীরা কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করছেন, কারণ কী
  • পুলিশ স্টাফ কলেজে ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ ম্যানেজমেন্টে মাস্টার্স
  • প্রথম প্রান্তিকে চীনের প্রবৃদ্ধি ৫.৪%
  • কানাডা ইমিগ্রেশনে নতুন দিগন্ত: ফ্রেঞ্চ ভাষা জানলেই মিলছে বাড়তি সুযোগ