ঘরের মাঠের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিততে চান রিজওয়ান
Published: 19th, February 2025 GMT
প্রায় তিন দশক পর পাকিস্তানে কোনো আইসিসি টুর্নামেন্ট হচ্ছে। আজ করাচিতে পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির। আসর শুরুর এই ক্ষণটিকে পাকিস্তানবাসীর জন্য ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে বর্ণনা করেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান। সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তটি সবাইকে উপভোগ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আর বিশ্ববাসীকে তাদের খেলা দেখার আহ্বান জানিয়েছেন।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরুর আগের দিন আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে আহ্বান জানিয়ে রিজওয়ান বলেন, ‘২৯ বছর পর পাকিস্তানের মাটিতে কোনো বৈশ্বিক ইভেন্ট হচ্ছে। তাই আমি মনে করি, পুরো জাতির উচিত ঐতিহাসিক মুহূর্তটি উপভোগ করা।’ কেন উপভোগ করা উচিত, সে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি, ‘দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তান যথেষ্ট ভুগেছে। তবে এই কঠিন সময়েও আমরা ২০০৯ সালে টি২০ বিশ্বকাপ জিতেছি, ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছি। এবার ঘরের মাঠে খেলার সুযোগ এসেছে। অবশ্যই উপভোগ করা উচিত।’
২০০১ সালে ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার পরই বদলে যায় পাকিস্তানের পরিস্থিতি। নিরাপত্তা শঙ্কায় বিদেশি দলগুলো সেখানে যাওয়া কমিয়ে দেয়। এর মধ্যে ২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কা দলের ওপর ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তান এক নিষিদ্ধ দেশে পরিণত হয়েছিল। সেই কঠিন পরিস্থিতি থেকে ক্রিকেট ফিরেছে পাকিস্তানে। এখন ফিরছে আইসিসি টুর্নামেন্ট।
প্রত্যাবর্তনের এই টুর্নামেন্টটি জিতে স্মরণীয় করে রাখার দিকেও মনোযোগ রিজওয়ানের, ‘নিজেদের পারফরম্যান্স নিয়ে আমাদের কোনো শঙ্কা নেই। অবশ্যই ভালো করব। আমরা হয়ত নিজেদের সামর্থ্য (ত্রিদেশীয়) অনুযায়ী খেলতে পারিনি। তারপরও আমি বলতে চাই, এই টুর্নামেন্টটি আমরা দেশের জন্য, দেশের ক্রিকেটপাগল মানুষের জন্য জিততে চাই।’
কয়েক দিন আগে নিউজিল্যান্ডের কাছে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে হেরেছে পাকিস্তান। সেই দলের বিপক্ষেই আজ উদ্বোধনী ম্যাচে তারা মুখোমুখি হবে। পাকিস্তানের জন্য একটা সুখবর হলো, তাদের তারকা পেসার হারিস রউফ ফিট হয়ে উঠেছেন।
ফুরফুরে মেজাজে আছে কিউইরা। ত্রিদেশীয় সিরিজের সব ম্যাচ জিতে ভীষণ আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে তারা। গতকাল দলটির সিনিয়র ক্রিকেটার টম লাথামের কণ্ঠে সেটাই ফুটে উঠল, ‘আমরা খুবই ভাগ্যবান, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আমরা এখানে আছি। আর গত তিন বছর ধরেই আমরা নিয়মিত পাকিস্তান সফর করছি। যদিও আগামীকাল (আজ) নতুন ম্যাচ এবং পিচও একেবারে নতুন। তাই কন্ডিশনের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নেওয়াই আমাদের চ্যালেঞ্জ।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প ক স ত ন ক র ক ট দল র জওয় ন র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
শরীয়তপুরে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত, ২ যুবককে কারাদণ্ড
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে দুই যুবককে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
তারা হলেন- নড়িয়া উপজেলার ফতেজঙ্গপুর ইউনিয়নের নগর গ্রামের কালু ঢালীর ছেলে জুয়েল ঢালী (২৫) এবং আবু বক্কর মেলকারের ছেলে সিয়াম মেলকার (২২)। তারা একই গ্রামের এসএসসি পরীক্ষার্থী পাপড়ি আক্তারকে নিয়মিত উত্ত্যক্ত করে আসছিল বলে অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে।
গত বৃহস্পতিবার পরীক্ষার উদ্দেশে যাওয়ার পথে ফতেজঙ্গপুর এলাকায় অভিযুক্তরা পাপড়ির অটোগাড়ি থামানোর চেষ্টা করে। চালক গাড়ি না থামালে তারা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।
ঘটনার খবর পেয়ে পাপড়ির বাবা মো. বাচ্চু হাওলাদার ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তদের বাধা দিলে তারা তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে এবং দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম করে। তার নাক দিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।
পরে ভোজেশ্বর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (আইসি) শিকদার হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত বাচ্চু হাওলাদারকে উদ্ধার করে এবং পরদিন শুক্রবার তার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে।
পরে মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯-এর ৬(১) ধারা এবং দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর ৫০৯ ধারায় মামলা গ্রহণ করে তাদের বিরুদ্ধে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বুলবুল অভিযোগ পড়ে শোনান এবং অভিযুক্তরা অপরাধ স্বীকার করলে দুই সাক্ষীর উপস্থিতিতে তাদের স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়।
অবশেষে মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯-এর ৭(২) ধারা অনুযায়ী উভয় আসামিকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয় এবং তাদের শরীয়তপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম উদ্দিন মোল্লা বলেন, ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং পরবর্তীতে মামলা নিয়ে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করা হয়।