সৌদি আরবে ভবন থেকে পড়ে ফরিদপুরের সাগরের মৃত্যু
Published: 19th, February 2025 GMT
সৌদি আরবের দাম্মাম শহরে ভবন থেকে পড়ে সাগর মাতুব্বর (২৬) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সৌদি সময় বিকেল ৩টা এবং বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় তিনতলা ভবনের বারান্দায় কাজ করার সময় নিচে পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
নিহত সাগর মাতুব্বর ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়নের জান্দি গ্রামের আব্দুল লতিফ মাতুব্বরের ছেলে। সাগরের মৃত্যুর সংবাদ দেশে পৌঁছালে তার পরিবার ও গ্রামবাসীদের মধ্যে শোকের মাতম শুরু হয়।
তুজারপুর ইউনিয়নের জান্দি গ্রামের ইউপি সদস্য টিটো মোল্লা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সাগর মাতুব্বর মাত্র ৩-৪ মাস আগে ফ্রি ভিসায় সৌদি আরবে যান এবং সেখানে একটি কনস্ট্রাকশন কোম্পানিতে ভালো বেতনে কাজ করছিলেন। কিন্তু আজ সন্ধ্যায় জানতে পারলাম যে, তিনতলা ভবনের ওপর কাজ করার সময় পড়ে গিয়ে তিনি মারা গেছেন।
নিহতের পরিবার জানিয়েছে, দুই ভাই ও চার বোনের মধ্যে সাগর ছিলেন সবচেয়ে বড়। তিনি পরিবারের জন্য বড় সহায়ক ছিলেন। তার মৃত্যুর খবরে বাবা-মা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন যেন সাগর মাতুব্বরের মরদেহ দ্রুত দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনও প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প রব স ব ল দ শ পর ব র
এছাড়াও পড়ুন:
রমজানে অধীনস্থদের সঙ্গে কেমন আচরণ করবেন
রমজান মাস সহমর্মিতার মাস। রাসুল (সা.) এ-মাসে বন্দীদের মুক্তি দিতেন এবং সাহায্যপ্রার্থীকে পর্যাপ্ত দান করতেন। (বাইহাকি, শুয়াবুল ঈমান, হাদিস: ৩,৩৫৭)
রোজার দীর্ঘ উপবাসের কারণে শারীরিক অবসাদ, ক্লান্তিবোধ ও কিছুটা কষ্ট প্রায় সবার হয়ে থাকে। এই মাসে নিজের অধীনস্থ ও কর্মচারীদের প্রতি সহমর্মিতা দেখানো মুমিন বান্দার দায়িত্ব ও কর্তব্য। হাদিসে আছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের পার্থিব কষ্ট দূর করে দেয়, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার কষ্ট দূর করে দেবেন।’ (মুসলিম, হাদিস: ৭,০২৮)
রমজানে অফিসের কর্মচারী, গৃহকর্মীরাও রোজা রেখে থাকেন। তারা আমাদের সঙ্গেই থাকেন। সুতরাং তাদের প্রতিও কিছু দায়িত্ব চলে আসে। যেমন তাদের কাজে সহযোগিতা করা। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি এ মাসে (রমজান মাসে) নিজের অধীনস্থদের কাজের চাপ কমিয়ে দেয়, আল্লাহ তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেবেন। (বাইহাকি, শুআবুল ঈমান, হাদিস: ৩,৩৩৬; সহিহ ইবনে খুজাইমা, হাদিস: ১,৮৮৭)
আরও পড়ুনফিতরা কীভাবে হিসাব করব১১ মার্চ ২০২৫কীভাবে কাজ হালকা করবেন
কাজ কমিয়ে দেওয়া: যে কাজটা সে একা করবে তাতে নিজেও হাত লাগানো। না হলেও চলে এমন কাজের জন্য তাদের চাপ না দেওয়া। রোজার সময় তার নির্ধারিত দায়িত্ব থেকে কিছু কম সেবা গ্রহণ করেও তার অনুগ্রহ করা যেতে পারে।
পারিশ্রমিক বাড়িয়ে দেওয়া: যদি কাজের চাপ এত বেশি থাকে যে, আপনি নিজেও প্রচুর পরিশ্রম করছেন। তাহলে অন্যান্য মাসের তুলনায় রমজানে কর্মীদের পারিশ্রমিক কিছুটা বাড়িয়ে দেওয়া যায়। এটাও এক ধরনের সহানুভূতি।
কাজের সময় কমানো: ‘কাজের সময়’ কমিয়ে দিয়ে তাদের সহযোগিতা করা যেতে পারে। এভাবেও হতে পারে, সময় কমিয়ে পূর্ণ উদ্যমে কাজ করানোর ব্যবস্থা করা। এতে কর্মচারীদেরও একটু সহযোগিতা হবে আবার কর্মকর্তারও কাজের ঘাটতি হবে না।
কিন্তু কর্মচারীর জন্য রোজার কারণ দেখিয়ে কাজে অলসতা ও অবহেলা করা কোনোক্রমেই উচিত হবে না। আবার কাজের বাড়তি চাপের কারণে কর্মচারী যদি রোজা রাখা ছেড়ে দেয়, এটাও কর্তাদের জন্য সুফল বয়ে আনবে না। তবে হ্যাঁ, কর্মচারী যদি কষ্ট করে নিজের দায়িত্ব আদায় করে তবে সে এর জন্য অধিক সওয়াবের অধিকারী হবেন।
আরও পড়ুনঈদ যেভাবে এল১১ এপ্রিল ২০২৪