পোপ ফ্রান্সিসের দুই ফুসফুসে নিউমোনিয়া, জানিয়েছে ভ্যাটিকান
Published: 19th, February 2025 GMT
বিশ্বের ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের দুই ফুসফুসে নিউমোনিয়া ধরা পড়েছে বলে জানিয়েছে ভ্যাটিকান। তার শারীরিক অবস্থা এখনো জটিল।
৮৮ বছর বয়সী এই ধর্মগুরু এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে শ্বাসনালির প্রদাহে ভুগছিলেন। গত শুক্রবার তাঁকে রোমের জেমেল্লি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
ভ্যাটিকান জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে পোপের বুকের সিটি স্ক্যানে দুই পাশেই নিউমোনিয়ার সূত্রপাত দেখা গেছে। এ জন্য তাঁর অতিরিক্ত ওষুধ থেরাপি প্রয়োজন। ল্যাব পরীক্ষা, বুকের এক্স-রে এবং পোপের স্বাস্থ্যের অবস্থা একটি জটিল চিত্র তুলে ধরেছে।
তবে পোপ মানসিকভাবে ভালো আছেন বলে জানিয়েছে ভ্যাটিকান। গতকাল তিনি বই পড়ে, প্রার্থনা করে ও বিশ্রাম নিয়ে দিন কাটিয়েছেন।
পোপ ফ্রান্সিস শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এবং তাঁর জন্য প্রার্থনা করতে বলেছেন।
গত সপ্তাহে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে বেশ কয়েক দিন ধরে ব্রঙ্কাইটিসের লক্ষণ ছিল পোপের শরীরে। তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁর তৈরি করা বক্তব্য পড়ার জন্য কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দিয়েছেন।
চলতি বছর ক্যাথলিক বর্ষের জন্য সপ্তাহান্তে বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানের নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল পোপের। ক্যাথলিক বর্ষ আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। তবে আগামী রোববার পর্যন্ত তাঁর সব পাবলিক অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে।
১২ বছর ধরে রোমান ক্যাথলিক চার্চের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে পোপ ফ্রান্সিস বেশ কয়েকবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ২১ বছর বয়সে তাঁর একটি ফুসফুসের অংশ কেটে ফেলতে হয়েছিল।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ‘পর্যাপ্ত’ সাক্ষ্যপ্রমাণ পেয়েছে তদন্ত সংস্থা
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ‘পর্যাপ্ত’ সাক্ষ্যপ্রমাণ পেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। এ মামলায় যেকোনো সময় ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম আজ বুধবার বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, ‘পর্যাপ্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ তাঁর (শেখ হাসিনার) বিরুদ্ধে পাওয়া গেছে। এটা আদালতে আমরা প্রমাণ করব ইনশা আল্লাহ। সেটার ওপর বাকি তৎপরতা অব্যাহত আছে। আমরা অকাট্যভাবে প্রমাণ করব তাঁর অপরাধ।’
ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা শেখ হাসিনার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করতে ব্যাপক কাজ করেছে বলেও জানান তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন এখনো হাতে আসে নাই। চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরির কাজ চলছে।’
ট্রাইব্যুনাল আইন অনুযায়ী, কোনো মামলায় তদন্ত শেষে প্রথমে চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত সংস্থা। এরপর পর্যালোচনা ও যাচাই শেষে সেই প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়। প্রতিবেদন চূড়ান্ত করার পর তা আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আকারে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেন চিফ প্রসিকিউটর বা তাঁর কার্যালয়।
কবে নাগাদ শেখ হাসিনার মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হবে, তা জানতে চাইলে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ফরমাল চার্জ (আনুষ্ঠানিক অভিযোগ) দাখিলের প্রক্রিয়া চলছে এখন। …যেকোনো সময় দাখিল হয়ে যাবে।’
গণ–অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে প্রথম মামলা (বিবিধ মামলা বা মিস কেস) হয় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। যেখানে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ মামলায় শেখ হাসিনার পাশাপাশি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকেও আসামি করা হয়েছে।
এ মামলায় আগামী ২০ এপ্রিল তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা রয়েছে। একটি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গুম ও খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে, অন্যটিতে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের হত্যা-নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।