শিশুশিল্পী হিসেবে ভারতীয় বাংলা সিনেমায় পা রাখেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি। তার ৬ বছর পরই নায়িকা হিসেবে পর্দা কাঁপান। কেবল তাই নয়, মাত্র ১৬ বছর বয়সে মা হন। শ্রাবন্তীর জীবনে সবকিছুই যেন অতি দ্রুত ঘটেছে। ফলে বিচিত্র অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গিয়েছেন এই অভিনেত্রী।

অল্প বয়সে মা হয়েছেন, সংসার ভেঙেছে, তারপরও অভিনয় ছাড়েননি শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি। স্বাভাবিক কারণে তার এই জার্নি সহজ নয়। তবে শ্রাবন্তী স্বাভাবিকভাবেই দেখেন। তার ভাষায়, “আমি তো ভাগ্যবান যে অল্প বয়সে মা হয়েছি। আমার ছেলের সঙ্গেই আমি বড় হয়েছি। ১৬ বছর বয়সে মা হয়েছি। তখন দশম থেকে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছি। আজ আমার ছেলে আর আমি বন্ধু, ভাইবোন। এখন ও আমার অভিভাবক। আমি ওকে ‘রয়েল বেঙ্গল টাইগার’ নাম দিয়েছি। এত শাসন করে আমাকে! আমাকে বলে, ‘তোমার মধ্যে কোনো দিন পরিণতবোধ আসবে না! শিশুই থেকে যাবে!’ আমি বলি, আমার এ রকমই ভালো লাগে।”

একাধিক বিয়ে, ছেলেকে বড় করা, পরিবারের দায়িত্ব, সমাজের কটাক্ষ— সব্যসাচীর মতো সব সামলে সামনে এগিয়ে যাচ্ছেন শ্রাবন্তী। এই লড়াইয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, “আমি লড়াই করে এগিয়ে যাচ্ছি। লড়াই করতে আমার ভালো লাগে।”

আরো পড়ুন:

‘মেকআপ ছাড়া শ্রাবন্তীর মতো সুন্দরী ইন্ডাস্ট্রিতে খুবই কম’

নাইট ক্লাবে শ্রাবন্তী-স্বস্তিকা-সোহিনীর নাচ, ভিডিও ভাইরাল

মানুষের সহ্য ক্ষমতা নিয়ে বিরোধ থাকলেও কখনো কখনো ক্লান্ত হয়ে পড়েন। শ্রাবন্তী কী তার জীবন নিয়ে কখনো ক্লান্তি অনুভব করেন? সত্যিটা জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, “মাঝেমাঝে ভেঙে পড়ি, তবে তা কাছের মানুষদের সামনে। তারপর নিজেকে সামলে নিই। আমি ভীষণ অনুভূতিপ্রবণ মানুষ। ভেঙে পড়েও নিজেকেই বোঝাই, ‘উঠে দাঁড়াতেই হবে। নিজেকে শক্ত রাখতে হবে।’ না হলে এত বড় রাজত্ব চালাব কীভাবে! মা-বাবা রয়েছেন, আমিই তো খুঁটি আমার পরিবারের।”

গত কয়েক বছরে অনেকের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে শ্রাবন্তী চ্যাটার্জির। এ নিয়ে সমালোচনা কম হয়নি। এখন কি কারো সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন? শ্রাবন্তীর জবাব, “প্রেমে তো থাকিই। কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে, সবাই ভবিষ্যৎ ভাবতে শুরু করে দেয়। আমার একটু সময় লাগে সব কিছুতে। প্রত্যেকের বাঁচার অধিকার রয়েছে। সে কিসে ভালো থাকবে, সেটা তো তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তা না, তিন-চারটে বিয়ে, সমাজের কত চোখরাঙানি! আমার কিচ্ছু আসে-যায় না!”

শ্রাবন্তীর তৃতীয় বিয়ের আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ এখনো হয়নি। তবে অনেক বছর ধরে আলাদা থাকছেন তারা। বিয়েবিচ্ছেদের মামলা আদালতে চলমান। ব্যক্তিগত জীবন নতুন করে গোছানোর পরিকল্পনা কি করেছেন? এ বিষয়ে ৩৪ বছরের শ্রাবন্তী বলেন, “আপাতত সে রকম কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে ভবিষ্যতে করব কি না বলতে পারছি না। জীবন উপভোগ করছি।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ র বন ত চ য ট র জ শ র বন ত র

এছাড়াও পড়ুন:

অস্ট্রেলিয়ায় হাউজফুল, দাগি এবার মুক্তি পাচ্ছে আমেরিকার ১৫ শহরে

শিহাব শাহীন পরিচালিত ‘দাগি’ অস্ট্রেলিয়ায় মুক্তি পেয়েছে ১২ এপ্রিল। মুক্তির পর থেকেই সিডনির প্রতিটি শো হাউসফুল যাচ্ছে বলে খবর এসেছে।  সিনেমাটির  আবেগঘন মুহূর্তগুলো মন ছুঁয়ে গেছে প্রবাসী বাংলাদেশি দর্শকদের। সিনেমা শেষে চোখের পানি গড়িয়ে পড়েছে দর্শকের।

দাগির বিদেশ যাত্রায় এবার যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায়।  আগামী ২৫শে এপ্রিল শিহাব শাহিন পরিচালিত সিনেমাটি একযোগে মুক্তি পাচ্ছে নিউ ইয়র্কসহ উত্তর আমেরিকার মোট ১৫টি শহরে। বায়োস্কোপ ফিল্মস-এর ব্যানারে এটি পরিবেশিত হতে যাচ্ছে, যা প্রতিষ্ঠানটির ৪৯তম পরিবেশনা।

নিউ ইয়র্কের কেউ গার্ডেন সিনেমাসে  দাগির  জন্য সাতদিনব্যাপী ২১টি শোয়ের বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া মুক্তির দিন থেকে যে শহরগুলোতে ‘দাগি’ দেখা যাবে সেগুলো হলো— নিউ ইয়র্ক, বোস্টন , ডেট্রয়েট , সান ফ্রান্সিস্কো , আটল্যান্টা , ড্যালাস , কানেকটিকাট , ফিনিক্স , শিকাগো, পিনিয়াপলিস, লস অ্যাঞ্জেল,ওকলাহোমা সিটিসহ বেশ কয়েকটি সিটিতে। 

এরপর ২ মে থেকে যুক্ত হচ্ছে আরও ১৩টি শহর, যেগুলোর মধ্যে রয়েছে —ওয়েস্ট পাম বিচ, পোর্টল্যান্ড, সিয়াটেল, অস্টিন, স্যাক্রামেন্টো, নিউ জার্সি, ভার্জিনিয়া, শার্লট, মিয়ামি, সান দিয়েগো এবং আরও কিছু শহরে। 

সিনেমাটি আন্তর্জাতিক পরিবেশনা সংস্থা  বায়োস্কোপ ফিল্মস ৪৯তম পরিবেশনা। সিনেমাটি নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার রাজ হামিদ ও নওশাবা রশিদ জানান, “দাগি আমাদের ৪৯তম পরিবেশনা। এই সাড়ে ছয় বছরের পথচলায় আমাদের যতটুকু অর্জন, তার কৃতিত্ব সম্পূর্ণভাবেই উত্তর আমেরিকার বাংলা সিনেমার দর্শকদের। তাদের ভালোবাসা ও সমর্থনের ঋণে আমরা আবদ্ধ। দাগি নিয়ে আমরা অত্যন্ত আশাবাদী। বাংলাদেশের দর্শকদের মত এই ছবি এখনকার দর্শকদের মনে সত্যিই দাগ কাটবে বলে আমার বিশ্বাস।

দাগি নিয়ে সিনেমাটির পরিচালক শিহাব শাহীন বলেন,  দাগি সম্পূর্ণ একটি বাংলাদেশের ছবি। দেশের বাইরেও শুটিংয়ের প্রস্তাব ছিল, কিন্তু আমি সম্পূর্ণ দেশের লোকেশনেই শুট করেছি। পুরো ছবিটিই বাংলাদেশের গন্ধে ভরপুর।। আমার বিশ্বাস বাংলাদেশের মত উত্তর আমেরিকার দর্শকদের কাছেও সিনেমাটি দারুণভাবে সাড়া ফেলবে।

চলচ্চিত্রটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে বাংলাদেশের আলফা আই ও ভারতীয় প্রযোজনা সংস্থা । বিভিন্ন  চরিত্রে এতে অভিনয় করেছেন আফরান নিশো, তর্মা মির্জা, সুনেরাহ বিনতে কামাল, শহীদুজ্জামান সেলিমসহ অনেকেই। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ