একটি দল হয়েই খেলতে চায় ‘১৫ অধিনায়কের’ পাকিস্তান
Published: 19th, February 2025 GMT
প্রত্যাশার চাপটা মোহাম্মদ রিজওয়ানের ওপরই সবচেয়ে বেশি। ২৯ বছর আর ৫৬ আসর পর দেশের মাটিতে আইসিসি টুর্নামেন্ট, সঙ্গে এই পাকিস্তান চ্যাম্পিয়নস ট্রফির বর্তমান চ্যাম্পিয়ন। প্রত্যাশার পারদটা আন্দাজ করাই যায়। একা এই প্রত্যাশা মেটানো সম্ভব নয় অধিনায়ক রিজওয়ানের।
সে কারণেই দলের সবার ভূমিকার কথা ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে মনে করিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক। সেটাও এমনভাবে যে কারও দায়িত্ব এড়ানোর সুযোগ নেই। পাকিস্তান অধিনায়ক জানিয়েছেন, তাঁর দলের সবাই অধিনায়ক। অধিনায়ক হলে দায়িত্ব এড়ানো যায় নাকি!
ওয়ানডে ক্রিকেটে পাকিস্তান এখনো প্রথাগত কৌশলেই খেলে। দলের মধ্যে ওই অর্থে হুট করে ম্যাচের ভাগ্য পরিবর্তন করে দিতে পারেন, এমন ক্রিকেটারের সংখ্যা কম। এ কারণেই দলটির দল হয়ে জ্বলে ওঠা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
একজন খেলোয়াড় হিসেবে যদি আমাকে ব্যক্তিগতভাবে জিজ্ঞাসা করেন, তাহলে আমি বলব যে আমাদের সচেতনতা, পেশাদারির দিক থেকে আরও উন্নতি করতে হবে।মোহাম্মদ রিজওয়ানরিজওয়ানের চোখও দলের সবার পারফরম্যান্সে, ‘সাধারণত, যখন আমরা জিতি, একজন অধিনায়ক হিসেবে আমি সবচেয়ে বেশি খুশি হই, যখন পুরো দল জয়ে অবদান রাখে। আমার দলে থাকা ১৫ জন খেলোয়াড়ই অধিনায়ক। আমি শুধু টসের সময় সামনে আসি, কিন্তু সবাই সমান গুরুত্বপূর্ণ। যখন আমরা মাঠে নামি, তখন আমরা একসঙ্গে একটি দল।’
পাকিস্তান কি ঘরের মাঠের এই টুর্নামেন্টে আন্ডারডগ? বোধ হয় না। তবে ২০১৭ সালের সর্বশেষ আসরে দলটি আন্ডারডগই ছিল। চোটের সঙ্গে লড়াই করা সরফরাজ আহমেদের পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন হতে পারে, এমন চিন্তা কম মানুষের মধ্যেই ছিল।
টুর্নামেন্টে কেমন করবেন রিজওয়ান?.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জওয় ন
এছাড়াও পড়ুন:
নোবেলজয়ী সাহিত্যিক মারিও বার্গাস য়োসা আর নেই
নোবেলজয়ী কালজয়ী সাহিত্যিক মারিও বার্গাস য়োসা আর নেই। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার রাজধানী লিমায় ৮৯ বছর বয়সে মারা যান পেরুর এই লেখক। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। নোবেলজয়ী এই সাহিত্যিকের প্রয়াণের মধ্য দিয়ে লাতিন আমেরিকার সাহিত্যের সোনালি যুগের প্রজন্মের অবসান হলো।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে য়োসার বড় ছেলে আলভারো বার্গাস য়োসা লেখেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমাদের বাবা মারিও বার্গাস য়োসা স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেছেন। পরিবারের সদস্যরা এ সময় তাঁর পাশে ছিলেন।’ এক্সে পোস্ট করা এ ঘোষণায় সই করেছেন আলভারোর দুই সহোদর গোনসালো ও মরগানা বার্গাস য়োসা।
১৯৩৬ সালে দক্ষিণ পেরুর অ্যারিকুইপায় মধ্যবিত্ত একটি পরিবারে মারিও বার্গাস য়োসার জন্ম। ২০১০ সালে নোবেল সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত য়োসা লাতিন আমেরিকার শ্রেষ্ঠ লেখকদের একজন। স্প্যানিশ ভাষার এই ঔপন্যাসিক স্পেনেরও নাগরিক।
১৯৬০ ও ’৭০–এর দশকে লাতিন আমেরিকার সাহিত্যের বিস্ময়কর উত্থানের সময়কার কালজয়ী লেখকদের একজন য়োসা। ওই সময়ের কালজয়ী সাহিত্যিকদের মধ্যে রয়েছেন কলম্বিয়ার গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস ও আর্জেন্টিনার হুলিও কোর্তাসার।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে য়োসার স্বাস্থ্যের অবনতির খবর ছড়িয়ে পড়ে। এই সময় তাঁকে জনসমক্ষে দেখা যায়নি। গত অক্টোবরে তাঁর ছেলে আলভারো বলেন, তাঁর বয়স ৯০ বছর ছুঁই ছুঁই। এই বয়সে এসে সবারই কাজের মাত্রা কিছুটা কমাতে হবে।
নোবেলজয়ী এই সাহিত্যিকের মৃত্যুতে সোমবার এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে পেরু। এ সময় সরকারি ভবন ও স্থাপনায় জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
য়োসার উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্মের মধ্যে রয়েছে ‘দ্য টাইম অব দ্য হিরো’, ‘আন্ট জুলিয়া অ্যান্ড দ্য স্ক্রিপ্টরাইটার’, ‘দ্য গ্রিন হাউস’, ‘ডেথ ইন দ্য আন্দিজ’, ‘দ্য ওয়ার অব দ্য এন্ড অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ এবং ‘দ্য ফিস্ট অব দ্য গোট’। প্রায় ৩০টি ভাষায় তাঁর লেখা অনূদিত হয়েছে।
লাতিন আমেরিকার সাহিত্যের সোনালি যুগের লেখক মারিও বার্গাস য়োসা