Prothomalo:
2025-03-24@16:57:12 GMT

এখনই কেন এসি সার্ভিসিং করাবেন

Published: 19th, February 2025 GMT

শীতের কারণে কয়েক মাস এসি বন্ধ ছিল। এখন আবার ব্যবহার শুরু হবে। হুট করেই কিন্তু এসি চালানো যাবে না। নিজেকে ও পরিবারকে নিরাপদ রাখতে আগে সার্ভিসিং করাতে হবে। ত্রুটি কিংবা কোনো সমস্যা না থাকলেও বছরে একবার হলেও এসির সার্ভিসিং করতে হবে। গরমের আগে ফেব্রুয়ারি ও মার্চের মধ্যে করানো সবচেয়ে ভালো। আসলে নিয়মিত সার্ভিসিং করানো প্রয়োজন, তা না হলে ঘটতে পারে বড় কোনো দুর্ঘটনা।

সার্ভিসিং কেন প্রয়োজন?

চালানোর পর ঘর ঠান্ডা হলেই এসি ঠিকঠাক কাজ করছে মনে করেন অনেকেই। এটি ভুল ধারণা। ঢাকা এসি সার্ভিস অ্যান্ড রিপেয়ারের প্রতিষ্ঠাতা মো.

মারুফ বলেন, শীতের কয়েক মাস ব্যবহার না হওয়ার কারণে এসির বিভিন্ন অংশে ধুলা জমে ফিল্টার ব্লক হয়ে যেতে পারে। সবচেয়ে বড় সমস্যা এসির ঠান্ডা বা শীতলীকরণ করার ক্ষমতা কমে যেতে পারে। নিয়মিত সার্ভিসিং না করলে দীর্ঘ মেয়াদে এসির কার্যকারিতা ও আয়ু কমে যায়। কয়েক সপ্তাহ বন্ধ থাকলে এসির ফিল্টারে ধুলা, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাকসহ নানা ধরনের জীবাণু জমে। বাতাসের মাধ্যমে তা ঘরে বা অফিসে ছড়িয়ে পড়ে। তখন শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা, অ্যালার্জি বা অ্যাজমার মতো রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। এ ছাড়া পরিষ্কার ও ভালোভাবে রাখা এসি তুলনামূলকভাবে কম বিদ্যুৎ খরচ করে। অপরিষ্কার কনডেনসার ও ফিল্টার থাকলে এসি অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। নিয়মিত সার্ভিসিংয়ে এসি দ্রুত কাজ করে এবং কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। বৈদ্যুতিক যন্ত্র হিসেবে এসির বিভিন্ন যন্ত্রাংশের কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন। সার্ভিসিং না করালে এসির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। দীর্ঘদিন সার্ভিসিং না করালে এসির শীতলীকরণের ক্ষমতা কমে যাওয়া স্বাভাবিক। এসির কুলিং কয়েল ও ফিল্টার পরিষ্কার না থাকলে পর্যাপ্ত ঠান্ডা বাতাস পাবেন না। সার্ভিসিং করালে এসির পারফরম্যান্স ঠিক থাকে ও দ্রুত ঠান্ডা হয়। অনেক সময় এসি চালানোর পর দুর্গন্ধ বের হয়, যা ফিল্টারে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়া ও ধুলার কারণে হতে পারে। আবার এসির বিভিন্ন অংশে ধুলা জমে বা স্ক্রু ঢিলা হয়ে গেলে অস্বাভাবিক শব্দ হতে পারে। সার্ভিসিং করালে এসব সমস্যা এড়ানো যায়।

আরও পড়ুনযেসব লক্ষণ দেখলে বুঝবেন বাড়িতে গ্যাস লিকেজ হয়েছে০৬ নভেম্বর ২০২৩সার্ভিসিং না করালে যে সমস্যা হয়গরমের শুরুতে একবার এসি সার্ভিসিং করিয়ে নিন

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এস র ব ভ ন ন ব যবহ র সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচনে বিভিন্ন দলের অবস্থান কেমন হতে পারে  

সরকার থেকে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে বলার পর চায়ের দোকান বা কোনো আড্ডায় গেলেই শোনা যায়, কে জিতবে এই নিয়ে কথা। আড্ডায় পাঁড় বিএনপি সমর্থকেরা যেমন চিন্তা করেন, তাঁরা ২৮০-এর বেশি আসন পাবেন, সেদিকে অনলাইন জরিপগুলোতে আবার জামায়াত ও লীগের জয়জয়কার।

এদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও জেন–জিদের ভরসায় নতুন বাংলাদেশ ২.০ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে আসছে।

এখন বিএনপির ভূমিধস জয় কতটুকু সম্ভব? আমাদের হাতে এই উপাত্ত বিশ্লেষণের দুই রকম উপায় আছে। এক, অতীতের তথ্য (হিস্টরিক্যাল ডেটা) ও সাম্প্রতিক জরিপ।

দেখে নিই, কী আছে অতীতের ডেটাতে (সব হিসাব ১৯৭২-এর পর ২০০৮ নির্বাচন পর্যন্ত, শুধু জাতীয় পার্টির ক্ষেত্রে ২০১৮-এর ডেটা নেওয়া হয়েছে):

ওপরের তথ্যের সঙ্গে যদি বর্তমান মাঠের অবস্থা তুলনা করা হয়, তাহলে বিএনপি এবং জামায়াত তাদের সেরা সময়ে আছে, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি তাদের সব থেকে খারাপ সময়ে আছে।

সেই হিসাবে বিএনপির ৪১ দশমিক ১৭ শতাংশ, আওয়ামী লীগের ২৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ, জামায়াতের ১২ দশমিক ১৩ শতাংশ এবং জাতীয় পার্টির ৫ দশমিক ২২ শতাংশ যোগ করলে ৮৪ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ হয়। বাকি ১৫ দশমিক ৯২ শতাংশ থাকবে ফ্লোটিং।

এখন দেখি, জনমত জরিপ কী বলে? অনলাইনে বিভিন্ন জনমত জরিপ যদি দেখেন, সেখানে লীগ ও জামায়াত অস্বাভাবিক ভালো করছে। কিন্তু বাস্তবতা কি তা-ই বলে? আগস্টের পর আমাদের চাহিদা কি বদল হয়নি? ইনোভেশন কনসালটিংয়ের পরিচালিত ও বাংলাদেশ রিসার্চ অ্যানালাইসিস অ্যান্ড ইনফরমেশন নেটওয়ার্ক (ব্রেইন) এবং ভয়েস অব রিফর্মের সহযোগিতায় ৬৪টি জেলায় ১০ হাজার ৬৯৬ জনের ওপর একটা জরিপের ফল কিছুদিন আগে ঘোষণা করা হয়েছে। জরিপের ফল দেখি:

এ জরিপে জাতীয় পার্টি হারিয়ে গেছে দেখা যায়। এই অনুপাতে ভোট হলে বিএনপির ভোট হবে ৪১ দশমিক ৭ শতাংশ, যা তাদের আগের সীমার কাছাকাছি। কিন্তু এটা কি নিশ্চিত? কিন্তু জামায়াত তার সেরা ফলাফলে এখনই পৌঁছে গেছে। ফলে এখন তারা এরপর যা-ই করবে, তা তাদের জন্য রেকর্ড এবং বিএনপির জন্য হুমকি। জাতীয় নাগরিক পার্টি নতুন হয়েছে, তাদের ভোটের অবস্থা পরের পোলগুলোতে আরও বোঝা যাবে। এ অবস্থা থেকে দলগুলার জন্য কী প্রাপ্তি?

বিএনপি: জেন-জিদের মধ্যে বিএনপির ভোট সবচেয়ে কম। বিএনপি সংবিধান তথা রাষ্ট্রের সংস্কার নিয়ে মানুষের মনে নেগেটিভ ধারণা দিচ্ছে, যা তাদের অনেক ভোটারকে অনিশ্চিত ক্যাটাগরিতে নিয়ে যাচ্ছে। তাদের দলের চাঁদাবাজি কন্ট্রোল করতে হবে, দলের সংস্কার করতে হবে, যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন করতে হবে এবং সাধারণ মানুষের চাওয়া পাওয়া ও জেন-জিদের কাছে পৌঁছাতে হবে, যদি তারা তাদের জয় নিশ্চিত করতে চায়।

২০০৮-এর রাজনীতি এখন চলবে না, মানুষ ৩১ দফার থেকে বেশি সংস্কার আশা করে, তা বুঝতে হবে। তারেক রহমানসহ দলের সিনিয়র অনেকেই এ ব্যাপারে তাঁদের দলকে সতর্ক করছেন, কিন্তু দলের অন্যরা কি বুঝতে পারছেন? সময়ই বলবে।

জামায়াত: জামায়াত এখনই তাদের প্রার্থী ঘোষণা করে মাঠে নেমে গেছে। তারা সংস্কার নিয়ে অন্যদের সঙ্গে যুদ্ধে অবতীর্ণ না হয়ে তালিমের মাধ্যমে মানুষের কাছে যাচ্ছে। অনলাইনেও তাদের কর্মীরা খুব সরব, যা তাদের অন্যদের থেকে এগিয়ে রাখছে মাঠে। সব ইসলামি দল যদি জোট করে, জামায়াত আরও এগিয়ে যাবে। যদিও মুক্তিযুদ্ধ এবং নারী স্বাধীনতা নিয়ে তাদের অবস্থান মানুষের চাওয়ার বিপক্ষে।

আবার এদিকে গুজব আওয়ামী লীগ তাদের ভোট জামায়াতকে দিয়ে তাদের বয়ান, ‘তারা না থাকলে দেশ মৌলবাদীদের হাতে চলে যাবে’, সেটা প্রতিষ্ঠারও চেষ্টা করছে।
আওয়ামী লীগ: আওয়ামী লীগ ভোটে থাকবে কি থাকবে না, এটা একটা বড় প্রশ্ন। যাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কিন্তু বলছেন না, তাঁদের একটা অংশ লীগের। সেই হিসাবে ২৪ শতাংশ ভোটব্যাংক থেকে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। যা তাদের পরের নির্বাচনগুলোতে ভালোভাবে ফিরিয়ে নিয়ে আসার ইঙ্গিতও দেয়। ইনোভেশনের জরিপসহ বিভিন্ন অনলাইন জরিপেও লীগ নিষিদ্ধের ব্যাপারে বেশির ভাগ মানুষ সমর্থন জানায়। লীগের ব্যাপার পরিষ্কার সিদ্ধান্ত নিতে পারলে মানুষের ভোটিং প্যাটার্ন ক্লিয়ার হতো।

জাতীয় নাগরিক পার্টি: ভোটের রাজনীতিতে নতুন এই দল বিপুলসংখ্যক জনগণের কাছে কতটুকু গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে, তা সময়ই বলে দেবে। এরা তাদের সব শক্তি নিজেদের বিরুদ্ধে প্রচারণা এবং অন্য কাজে নিয়োগ করে এখনো মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারেনি। তাদের এ ব্যাপারে দৃষ্টি দিতে হবে।

বাংলাদেশে সাধারণত ৭৩-৭৭ শতাংশ ভোট পড়ে। যদিও ২০০৮-এ অস্বাভাবিক ৮৭ শতাংশ ভোট পড়েছিল। ২০০৮ থেকে দেশে নতুন ভোটার ৪ কোটি ২০ লাখ ৮৫ হাজার ৬৩৯ জন (যা মোট ভোটের ৩৪ শতাংশ), যাদের ভোটিং প্যাটার্ন এখনো অজানা। যে-ই পরে ক্ষমতায় আসুক, রাষ্ট্রের সংস্কার ও গতানুগতিক কাজ সমান্তরালে চালিয়ে গেলেই ৫ আগস্ট সার্থক হবে। কোনো দল যদি এখনই ভেবে নেয়, তারা ক্ষমতায় এসে যাচ্ছে, তা আসলে তাদের জন্য এত সহজ হবে না।

সুবাইল বিন আলম টেকসই উন্নয়নবিষয়ক কলামিস্ট।
ই-মেইল: [email protected]

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ন্যায্য মজুরি দিতে না পারলে প্রতিষ্ঠান করেন কেন : কামাল আহমেদ
  • গণমাধ্যম কমিশন ‘এখনই বাস্তবায়নযোগ্য’ সুপারিশের তালিকা দেবে আজ
  • নির্বাচনে বিভিন্ন দলের অবস্থান কেমন হতে পারে  
  • গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের কিছু প্রস্তাব দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে : প্রধান উপদেষ্টা
  • গণমাধ্যমের কিছু সংস্কার দ্রুত বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেওয়া হবে: প্রধান উপদেষ্টা
  • শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের কয়েকটি প্রস্তাব
  • প্রধান উপদেষ্টার কাছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর