Prothomalo:
2025-04-14@07:09:38 GMT

এখনই কেন এসি সার্ভিসিং করাবেন

Published: 19th, February 2025 GMT

শীতের কারণে কয়েক মাস এসি বন্ধ ছিল। এখন আবার ব্যবহার শুরু হবে। হুট করেই কিন্তু এসি চালানো যাবে না। নিজেকে ও পরিবারকে নিরাপদ রাখতে আগে সার্ভিসিং করাতে হবে। ত্রুটি কিংবা কোনো সমস্যা না থাকলেও বছরে একবার হলেও এসির সার্ভিসিং করতে হবে। গরমের আগে ফেব্রুয়ারি ও মার্চের মধ্যে করানো সবচেয়ে ভালো। আসলে নিয়মিত সার্ভিসিং করানো প্রয়োজন, তা না হলে ঘটতে পারে বড় কোনো দুর্ঘটনা।

সার্ভিসিং কেন প্রয়োজন?

চালানোর পর ঘর ঠান্ডা হলেই এসি ঠিকঠাক কাজ করছে মনে করেন অনেকেই। এটি ভুল ধারণা। ঢাকা এসি সার্ভিস অ্যান্ড রিপেয়ারের প্রতিষ্ঠাতা মো.

মারুফ বলেন, শীতের কয়েক মাস ব্যবহার না হওয়ার কারণে এসির বিভিন্ন অংশে ধুলা জমে ফিল্টার ব্লক হয়ে যেতে পারে। সবচেয়ে বড় সমস্যা এসির ঠান্ডা বা শীতলীকরণ করার ক্ষমতা কমে যেতে পারে। নিয়মিত সার্ভিসিং না করলে দীর্ঘ মেয়াদে এসির কার্যকারিতা ও আয়ু কমে যায়। কয়েক সপ্তাহ বন্ধ থাকলে এসির ফিল্টারে ধুলা, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাকসহ নানা ধরনের জীবাণু জমে। বাতাসের মাধ্যমে তা ঘরে বা অফিসে ছড়িয়ে পড়ে। তখন শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা, অ্যালার্জি বা অ্যাজমার মতো রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। এ ছাড়া পরিষ্কার ও ভালোভাবে রাখা এসি তুলনামূলকভাবে কম বিদ্যুৎ খরচ করে। অপরিষ্কার কনডেনসার ও ফিল্টার থাকলে এসি অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। নিয়মিত সার্ভিসিংয়ে এসি দ্রুত কাজ করে এবং কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। বৈদ্যুতিক যন্ত্র হিসেবে এসির বিভিন্ন যন্ত্রাংশের কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন। সার্ভিসিং না করালে এসির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। দীর্ঘদিন সার্ভিসিং না করালে এসির শীতলীকরণের ক্ষমতা কমে যাওয়া স্বাভাবিক। এসির কুলিং কয়েল ও ফিল্টার পরিষ্কার না থাকলে পর্যাপ্ত ঠান্ডা বাতাস পাবেন না। সার্ভিসিং করালে এসির পারফরম্যান্স ঠিক থাকে ও দ্রুত ঠান্ডা হয়। অনেক সময় এসি চালানোর পর দুর্গন্ধ বের হয়, যা ফিল্টারে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়া ও ধুলার কারণে হতে পারে। আবার এসির বিভিন্ন অংশে ধুলা জমে বা স্ক্রু ঢিলা হয়ে গেলে অস্বাভাবিক শব্দ হতে পারে। সার্ভিসিং করালে এসব সমস্যা এড়ানো যায়।

আরও পড়ুনযেসব লক্ষণ দেখলে বুঝবেন বাড়িতে গ্যাস লিকেজ হয়েছে০৬ নভেম্বর ২০২৩সার্ভিসিং না করালে যে সমস্যা হয়গরমের শুরুতে একবার এসি সার্ভিসিং করিয়ে নিন

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এস র ব ভ ন ন ব যবহ র সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়ন বন্ধে বিশ্বনেতাদের প্রতি তরুণদের আহ্বান

জলবায়ু সুরক্ষা ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়ন বন্ধ, নবায়নযোগ্য শক্তির সম্প্রসারণ ও টেকসই কৃষিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন  তরুণ জলবায়ু কর্মী। শুক্রবার রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ সড়কে ‌‘গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইক’ শীর্ষক জলবায়ু ধর্মঘট কর্মসূচি থেকে বিশ্বনেতাদের কাছে এই আহ্বান জানান তারা। একশনএইড বাংলাদেশের যুব প্ল্যাটফর্ম ও এক্টিভিস্টা বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় এ আয়োজন করা হয়। একইসঙ্গে ফিলিস্তিনে চলমান অমানবিক যুদ্ধ বন্ধে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হয়।

একশনএইড বাংলাদেশ ও এক্টিভিস্টা বাংলাদেশসহ ১৮ জেলার ৩৩টি যুব সংগঠনের তিন হাজারের বেশি জলবায়ু কর্মী এতে অংশ নেন। একই সময় সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, নোয়াখালী, কুড়িগ্রাম, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, সুনামগঞ্জ, সিলেট, কুষ্টিয়া, খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল, পটুয়াখালী, টেকনাফ, বান্দরবান, বরগুনা ও নারায়ণগঞ্জসহ লোকাল রাইটস প্রোগ্রাম (এলআরপি) এবং বেশ কিছু লোকাল ইয়ুথ হাবের তরুণ স্বেচ্ছাসেবকরাও এই কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করেন।

কর্মসূচির শুরুতে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে একটি সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে জলবায়ু কর্মীরা বলেন, উন্নত দেশগুলো জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়নের মাধ্যমে জলবায়ু সংকট সৃষ্টি করছে। পুঁজিবাদী মানসিকতা নিয়ে সর্বোচ্চ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনকারীরা জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়নের মাধ্যমে পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এটি পৃথিবীতে বাস্তুতন্ত্র ও জলবায়ুকে মারাত্মকভাবে ধ্বংস করছে। ফলে বিরূপ প্রভাব পড়ছে দক্ষিণের দেশগুলোর তরুণ, কৃষক, নারী এবং প্রান্তিক সম্প্রদায়গুলোতে। এটি অনুন্নত দেশগুলোর সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়ের কাছে তাদের পরিবেশগত ঋণ বহুগুণ বাড়িয়ে তুলছে। এই অবস্থায় জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে টেকসই প্রকল্প এবং নবায়নযোগ্য শক্তির ক্ষেত্রে বিনিয়োগের আহ্বান এসেছে গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইকে। 

তরুণ জলবায়ু অধিকারকর্মী সাদিয়া আক্তার বলেন, আমরা যদি এখনই জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে সোচ্চার না হই, তাহলে একদিন এর ভয়াবহ পরিণতি মানবজাতির অস্তিত্ব পর্যন্ত মুছে দিতে পারে। তাই এখনই কাজ করার সময়- এখনই সময়, না হলে আর কখনও নয়।

ঢাকা থেকে আরেক অধিকারকর্মী রোকন আহমেদ জলবায়ু সুবিচার আন্দোলনের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, জলবায়ু সংকট এখন একটি মহামারিতে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হচ্ছে, বিপন্ন প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে, প্রকৃতি ধ্বংস হচ্ছে। সরকার ও কর্পোরেট নেতাদের অবশ্যই জীবাশ্ম জ্বালানিতে ভর্তুকি ও বিনিয়োগ বন্ধ করতে হবে। একইসঙ্গে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে মনোযোগ দিতে হবে।

একশনএইড বাংলাদেশের ইয়াং পিপল টিম লিড মো. নাজমুল আহসান বলেন, তরুণরা জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং ন্যায্য জ্বালানি রূপান্তরের জন্য প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ করতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নীতিনির্ধারকদের জবাবদিহি করতে সোচ্চার হয়েছে। 

কর্মসূচিতে জলবায়ু কর্মীরা স্লোগান, প্ল্যাকার্ড, চিত্রকর্ম, গান, নাটক ও পোস্টার প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে জলবায়ু সুবিচারের দাবি জানান। জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধে ‘ডোন্ট সেল আওয়ার ফিউচার’, ‘ফিক্স দ্য ফাইন্যান্স’, ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করো’, ‘ক্ষতিকারক কৃষি চর্চায় বিনিয়োগ বন্ধ করো’, ‘ক্লাইমেট জাস্টিস নাউ’ এবং ‘জলবায়ু সহনশীল টেকসই কৃষি চর্চায় বিনিয়োগ করুন’ ইত্যাদি লেখা সম্বলিত ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন জলবায়ু কর্মীরা।

সমাবেশ শেষে তারা একটি র‍্যালি বের করেন। র‍্যালিটি মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে শুরু হয়ে আড়ং মোড় ঘুরে জাতীয় সংসদের সামনে দিয়ে প্রদক্ষিণ করে। সেখানে জলবায়ু সুবিচারের দাবি জানিয়ে কর্মসূচি সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়ন বন্ধে বিশ্বনেতাদের প্রতি তরুণদের আহ্বান