চিত্রনায়িকা পরীমনিকে নিয়ে আলোচনা যেমন রয়েছে, তেমনি তাঁকে নিয়ে সমালোচনাও কম হয় না। কাজের বাইরে ব্যক্তিগত জীবন নিয়েই আলোচনাটা হয় বেশি। শোনা যাচ্ছে, পরীমনি প্রেম করছেন তরুণ গায়ক শেখ সাদীর সঙ্গে। তাঁদের একসঙ্গে ঘোরাঘুরি করতেও দেখা গেছে। ইদানীং এমনও দেখা যাচ্ছে, পরীমনি তাঁর ফেসবুক পেজে শেখ সাদীর গাওয়া গান শেয়ার করছেন।

সোমবার এসেছে শেখ সাদীর গাওয়া নতুন গান ‘মনে নাই দয়া’। এই গানটি পরীমনি তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশ করেছেন। ভালোবাসার ইমোজি দিয়ে এক শব্দের একটি ক্যাপশন দিয়েছেন।

গান নিয়ে পরীমনির সেই ফেসবুক পোস্টে একজন মন্তব্য করেছেন, এভাবে সাদী ভাইকে ‘ছ্যাঁকা’টা না দিলেও হতো, পরী। এমন মন্তব্যে পরীমনিও চুপ থাকেননি। কিছুক্ষণ পরই উত্তরে পরীমনি লিখেছেন, ‘কেবল তো শুরু। সারাজীবনই দেব।’পরীমনির উত্তরে অনেকেই তাঁদের রিঅ্যাকশন দিয়েছেন।

শেখ সাদী ও পরীমনি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মালদ্বীপের বাংলাদেশ মিশনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশ হাই কমিশন-মালদ্বীপের উদ্যোগে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে ২১ ফেব্রুয়ারি হাইকমিশনের হলরুমে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে হাইকমিশনের কল্যাণ সহকারী এবাদ উল্লাহর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মো. সোহেল পারভেজ।

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। এরপর প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন হাইকমিশনের তৃতীয় সচিব মো. জিল্লুর রহমান এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা শিরিন ফারজানা। অতঃপর ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্য এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

দিবসটি উপলক্ষ্যে নির্মিত দুটি প্রামাণ্যচিত্র অনুষ্ঠানে প্রদর্শন করা হয়। আলোচনা সভায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মালদ্বীপ বিএনপির সভাপতি মো. খলিলুর রহমান এবং চক্ষু বিশেষজ্ঞ প্রবাসী ডাক্তার মোক্তার আলী লস্কর।

আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যের শুরুতেই গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন বীর ভাষা সৈনিকদের। যাঁদের মহান আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমরা মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে পেয়েছি।তিনি মহান ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, বাংলাভাষার মর্যাদা বৃদ্ধি এবং মাতৃভাষা সংরক্ষণে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয়ে আলোকপাত করেন।

এছাড়াও ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে জাতিসংঘের স্বীকৃতির জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভূমিকার কথা স্মরণ করেন তিনি। মাতৃভাষা বাংলা ও বাংলাদেশের ভাবর্মূতি উজ্জ্বল করার জন্য সকল প্রবাসীদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার আহ্বান জানান হাইকমিশনার।

বাংলাদেশ হাই কমিশন-মালদ্বীপের উদ্যোগে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

এরপর ভাষা শহীদদের এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সকলের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দেশ ও জাতির মঙ্গলের জন্য দোয়া করা হয়। সবশেষে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে নীলদরিয়া শিল্পীগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।

অনুষ্ঠানে দ্বিতীয় পর্বে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৫ উপলক্ষে শিশুদের অংশগ্রহণে কবিতা আবৃত্তি ও চিত্রাঙ্কন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারের সহধর্মিণী রোমানা রাজিয়া প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি শিশুদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিশু এবং তাদের অভিভাবক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

ঢাকা/টিপু

সম্পর্কিত নিবন্ধ