Prothomalo:
2025-04-15@12:55:39 GMT

নখ উল্টে গেলে কী করবেন

Published: 19th, February 2025 GMT

আমরা মাঝেমধ্যেই নখে আঘাত পাই। হাঁটতে–চলতে বা ঘরের কোনো আসবাবের সঙ্গে আঙুল লেগে নখে আঘাত লাগতে পারে। ভিড়ে কেউ পা মাড়িয়ে দিলেও নখে আঘাত লাগে। এভাবে অনেক সময় নখ উপড়েও যায়। অনেকে আবার শখ করে নখ বড় রাখেন, তখন সামান্য আঘাতেও নখ উপড়ে বা ভেঙে যেতে পারে। যাঁরা গভীর ও কোনা করে নখ কাটেন, তাঁদের নখের কোনা দেবে ভেতরে ময়লা জমে ইনফেকশন হতে পারে। এসব নখও অনেক সময় সামান্য আঘাতে উপড়ে যায়। আর খুব কম মানুষই পায়ের যত্ন নেন। ঠিকমতো নখ কাটার নিয়মও অনেকে জানেন না। ফলে অনেকের নখের গোড়া দুর্বল হয়ে পড়ে।

নখের গোড়ায় রক্ত চলাচল আর স্নায়ুর সরবরাহ দুটোই বেশি। তাই নখ উপড়ে গেলে অনেক রক্তপাত ও তীব্র ব্যথা হয়।

নখ উল্টে গেলে করণীয়

নখের গোড়ায় রক্ত চলাচল আর স্নায়ুর সরবরাহ দুটোই বেশি। তাই নখ উপড়ে গেলে অনেক রক্তপাত ও তীব্র ব্যথা হয়। এতে ঘাবড়ে না গিয়ে প্রথমে শুকনো কাপড় দিয়ে ক্ষতস্থান চেপে ধরে রাখতে হবে। আইস প্যাক থাকলে সেটি দিয়ে চেপে ধরে রাখলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। ঠান্ডা জিনিসের স্পর্শে রক্তনালি সংকুচিত হয়। তাই রক্তপাত ও ব্যথা দুটিই কমে।

নখ যদি পুরোটা উঠে যায়, তবে কিছুদিন নিয়মিত ড্রেসিং করলে ক্ষতস্থান শুকিয়ে যাবে। যদি আধভাঙা নখ রয়ে যায়, চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।

ক্ষতস্থানের যত্ন কীভাবে

হাতের নখ নতুন করে গজাতে সময় লাগে ৬ মাস আর পায়ের ১২ থেকে ১৮ মাস। নখের নিচের চামড়াকে বলা হয় নেইল বেড। এটি খুব সংবেদনশীল। তাই আঘাত পেলে বা অস্ত্রোপচারের পর প্রথম সপ্তাহে নেইল বেড ঢেকে রাখতে হবে।

নিয়মিত ড্রেসিং করাতে হবে। ফার্মেসিতে মেডিটুলি বা সুপ্রাটুলি নামে একধরনের ড্রেসিং কিনতে পাওয়া যায়। সেটি মাপমতো কেটে ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখলে ভালো ফল পাওয়া যায়। না পেলে পরিষ্কার গজ পিসে ভ্যাসলিন মেখে নখ ঢেকে রাখতে হবে।

যেকোনো ক্ষত শুকাতে জিংক বি, ভিটামিন সি ভালো কাজ করে। সঙ্গে ক্ষতস্থান শুকাতে প্রয়োজনীয় প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে দিনে দু–তিনটি ডিম খেতে পারলে ভালো।

প্রতিরোধের উপায়

নিয়মিত পায়ের যত্ন নিতে হবে। একটা গামলায় হালকা গরম পানিতে এক টেবিল চামচ লবণ, এক চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে তাতে দুই পা ১৫ থেকে ২০ মিনিট চুবিয়ে রাখুন। এরপর সাধারণ পানিতে পা ধুয়ে পুরোনো পরিষ্কার টুথব্রাশ দিয়ে নখ ও আঙুলের ফাঁকে ব্রাশ করুন। নিয়মিত করতে পারলে ভালো। তবে কমপক্ষে সপ্তাহে একবার করলে পা ভালো থাকবে।

নখ কাটার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন কোনাকুনি না কেটে নখের গোড়ার সমান্তরাল করে কাটা হয়। এতে নখের কোনা ভেতরের দিকে দেবে যায় না। খুব গভীর করে কাটবেন না।

নখ বেশি বড় রাখা ঠিক নয়। হাতের নখ সপ্তাহে একবার আর পায়ের নখ দুই সপ্তাহে একবার করে কাটতে হবে।

নখ উল্টে গিয়ে ব্যথা, পুঁজ বা চুলকানোর কারণ ঘটলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।

ডা.

জাহেদ পারভেজ: চর্ম–যৌনরোগ বিভাগ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ, ঢাকা

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ইলিশ: দাম স্বাভাবিক, ক্রেতা কম

বাংলা নববর্ষ উদযাপনে পান্তা ইলিশের একটি রেওয়াজ আছে। প্রতি বছর পয়লা বৈশাখ এলে বাজারে ইলিশের চাহিদা ও দাম বেড়ে যায়। কিন্তু এবার বাজারে বড় সাইজের ইলিশের সরবরাহ ও দাম স্বাভাবিক থাকলেও ক্রেতা কম বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা।

রবিবার (১৩ এপ্রিল) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে মাছ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এক কেজি বা একটু বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা, ৭০০ থেকে ৯০০ গ্রামের ইলিশ ১ হাজার ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা এবং  ৪০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৩০০ টাকায়।

কারওয়ান বাজারে পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে ইলিশ মাছ কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী সুইটি রানী রাইজিংবিডিকে বলেন, “পয়লা বৈশাখে পান্তা ইলিশ না খেলে নববর্ষ উদযাপন হবে কী করে? তাই স্বামীকে নিয়ে ইলিশ নিতে এসেছি। এখানে ভালো মানের ইলিশ পাওয়া যায়। আমি এক কেজি ওজনের দুটি ইলিশ নিয়েছি। আমার কাছ থেকে চার হাজার টাকা রেখেছে। গত সপ্তাহেও এই দামে নিয়েছি।”

আরো পড়ুন:

কড়া নাড়ছে ঈদ, চলছে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা

শেষ মুহূর্তে জমজমাট ঈদের কেনাকাটা

সাজ্জাদুল ইসলাম নামের আরেকজন ক্রেতা রাইজিংবিডিকে বলেন, “আমাদের অফিসের জন্য ১৫ কেজি ইলিশ নিয়েছি। অফিসের সবাই ইলিশ দিয়ে নববর্ষ উদযাপন করব। ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম রেখেছে ১ হাজার ৬০০ টাকা করে। অন্য সময় হয়তো ১ হাজার ৫০০ তে পেতাম। তবে এখানকার মাছগুলো টাটকা।”

পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে ইলিশ মাছ কিনতে আসা কাইয়ুম মজুমদার রাইজিংবিডিকে বলেন, “এবার বাজারে অন্য বছরের তুলনায় ইলিশের দাম কম দেখলাম। বড় ইলিশ ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকা মধ্যে। কিন্তু যারা মধ্যবিত্ত রয়েছে তাদের পক্ষে এই দামেও ইলিশ কেনা সম্ভব না।”

কারওয়ান বাজারে সুজন মৎস্য আড়ৎ এর স্বত্বাধিকারী মো. সুজন সিকদার রাইজিংবিডিকে বলেন, “বাজারে এখন পর্যাপ্ত পরিমাণ ইলিশ সরবরাহ থাকার কারণে পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে ইলিশের দাম বাড়েনি। আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। নদীর ইলিশের চাহিদা বেশি। এখন ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ টাকার মধ্যে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। তবে আগে যেমন পয়লা বৈশাখে বাজারে ভিড় থাকত। এ বছর ভিড় দেখছি না, বিক্রিও কম।”

বাবুল মৎস্য আড়ৎ এর ইলিশ বিক্রেতা বাবুল মোল্লা রাইজিংবিডিকে বলেন, “এবার বাজারে ইলিশের দাম স্বাভাবিক রয়েছে। এর অন্যতম কারণ বড় ইলিশ মাছের সরবরাহ ঠিক আছে।” 

ঢাকা/রায়হান/সাইফ 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শক্তিশালী সৌরঝড়ের আশঙ্কা
  • নতুন বিনিয়োগ ‘পড়বে অসম প্রতিযোগিতায়’ 
  • যুক্তরাষ্ট্রে বিরল খনিজ রপ্তানি করবে না চীন
  • ইলিশ: দাম স্বাভাবিক, ক্রেতা কম
  • ইউক্রেনে গ্যাস পাইপলাইনের নিয়ন্ত্রণ চায় যুক্তরাষ্ট্র
  • ধরা পড়ছে না ইলিশ, জেলেদের দিন কাটছে অর্থকষ্টে
  • আদানির সরবরাহ কমে লোডশেডিং বেড়েছে
  • পানি নেই ঝিরি-ঝরনায় সংকটে দুর্গম গ্রামবাসী
  • টেসলা কতটা ‘মেড ইন আমেরিকা’
  • আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট ১৭ ঘণ্টা পর চালু