Prothomalo:
2025-02-22@17:12:27 GMT

নখ উল্টে গেলে কী করবেন

Published: 19th, February 2025 GMT

আমরা মাঝেমধ্যেই নখে আঘাত পাই। হাঁটতে–চলতে বা ঘরের কোনো আসবাবের সঙ্গে আঙুল লেগে নখে আঘাত লাগতে পারে। ভিড়ে কেউ পা মাড়িয়ে দিলেও নখে আঘাত লাগে। এভাবে অনেক সময় নখ উপড়েও যায়। অনেকে আবার শখ করে নখ বড় রাখেন, তখন সামান্য আঘাতেও নখ উপড়ে বা ভেঙে যেতে পারে। যাঁরা গভীর ও কোনা করে নখ কাটেন, তাঁদের নখের কোনা দেবে ভেতরে ময়লা জমে ইনফেকশন হতে পারে। এসব নখও অনেক সময় সামান্য আঘাতে উপড়ে যায়। আর খুব কম মানুষই পায়ের যত্ন নেন। ঠিকমতো নখ কাটার নিয়মও অনেকে জানেন না। ফলে অনেকের নখের গোড়া দুর্বল হয়ে পড়ে।

নখের গোড়ায় রক্ত চলাচল আর স্নায়ুর সরবরাহ দুটোই বেশি। তাই নখ উপড়ে গেলে অনেক রক্তপাত ও তীব্র ব্যথা হয়।

নখ উল্টে গেলে করণীয়

নখের গোড়ায় রক্ত চলাচল আর স্নায়ুর সরবরাহ দুটোই বেশি। তাই নখ উপড়ে গেলে অনেক রক্তপাত ও তীব্র ব্যথা হয়। এতে ঘাবড়ে না গিয়ে প্রথমে শুকনো কাপড় দিয়ে ক্ষতস্থান চেপে ধরে রাখতে হবে। আইস প্যাক থাকলে সেটি দিয়ে চেপে ধরে রাখলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। ঠান্ডা জিনিসের স্পর্শে রক্তনালি সংকুচিত হয়। তাই রক্তপাত ও ব্যথা দুটিই কমে।

নখ যদি পুরোটা উঠে যায়, তবে কিছুদিন নিয়মিত ড্রেসিং করলে ক্ষতস্থান শুকিয়ে যাবে। যদি আধভাঙা নখ রয়ে যায়, চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।

ক্ষতস্থানের যত্ন কীভাবে

হাতের নখ নতুন করে গজাতে সময় লাগে ৬ মাস আর পায়ের ১২ থেকে ১৮ মাস। নখের নিচের চামড়াকে বলা হয় নেইল বেড। এটি খুব সংবেদনশীল। তাই আঘাত পেলে বা অস্ত্রোপচারের পর প্রথম সপ্তাহে নেইল বেড ঢেকে রাখতে হবে।

নিয়মিত ড্রেসিং করাতে হবে। ফার্মেসিতে মেডিটুলি বা সুপ্রাটুলি নামে একধরনের ড্রেসিং কিনতে পাওয়া যায়। সেটি মাপমতো কেটে ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখলে ভালো ফল পাওয়া যায়। না পেলে পরিষ্কার গজ পিসে ভ্যাসলিন মেখে নখ ঢেকে রাখতে হবে।

যেকোনো ক্ষত শুকাতে জিংক বি, ভিটামিন সি ভালো কাজ করে। সঙ্গে ক্ষতস্থান শুকাতে প্রয়োজনীয় প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে দিনে দু–তিনটি ডিম খেতে পারলে ভালো।

প্রতিরোধের উপায়

নিয়মিত পায়ের যত্ন নিতে হবে। একটা গামলায় হালকা গরম পানিতে এক টেবিল চামচ লবণ, এক চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে তাতে দুই পা ১৫ থেকে ২০ মিনিট চুবিয়ে রাখুন। এরপর সাধারণ পানিতে পা ধুয়ে পুরোনো পরিষ্কার টুথব্রাশ দিয়ে নখ ও আঙুলের ফাঁকে ব্রাশ করুন। নিয়মিত করতে পারলে ভালো। তবে কমপক্ষে সপ্তাহে একবার করলে পা ভালো থাকবে।

নখ কাটার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন কোনাকুনি না কেটে নখের গোড়ার সমান্তরাল করে কাটা হয়। এতে নখের কোনা ভেতরের দিকে দেবে যায় না। খুব গভীর করে কাটবেন না।

নখ বেশি বড় রাখা ঠিক নয়। হাতের নখ সপ্তাহে একবার আর পায়ের নখ দুই সপ্তাহে একবার করে কাটতে হবে।

নখ উল্টে গিয়ে ব্যথা, পুঁজ বা চুলকানোর কারণ ঘটলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।

ডা.

জাহেদ পারভেজ: চর্ম–যৌনরোগ বিভাগ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ, ঢাকা

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রমজানে বাজার মনিটরিং করবেন জেলা প্রশাসক: অর্থ উপদেষ্টা

রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেলা প্রশাসকদের স্থানীয় বাজার মনিটরিং করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘‘দেখা যায় যে খাদ্যের সরবরাহ থাকলেও অনেক সময় ভোক্তার কাছে যায় না। গুদামে পড়ে থাকে, লুকিয়ে রাখা হয়; এগুলো যেন কোনো ক্রমেই না হয়। রোজার সময় আমরা এটা নিশ্চিত করবো।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন। অর্থ উপদেষ্টা এই সভায় সভাপতিত্ব করেন।

সভা শেষে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আজকে  দীর্ঘ মিটিং হয়ছে। আমাদের ভৌত অবকাঠামোগুলো বিরাট বিরাট মেগা প্রকল্প না। আমরা যেটা দিয়েছি সেটা অত্যন্ত দরকারি। এর মধ্যে ব্রীজ, রাস্তা রয়েছে।’’

ক্রয় কমিটির প্রায় প্রতি বৈঠকেই চাল আমদানির অনুমোদন দেয়া হচ্ছে। দেশের খাদ্য পরিস্থিতিটা কেমন আছে? এমন এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘‘এখন তো খাদ্য পরিস্থিতি খারাপ না। একটা মানুষের বাজেটে অনেক ধরনের খাদ্য থাকে, সেখানে একটা কমবে একটা বাড়বে। সার্বিকভাবে বা মোটা দাগে যদি দেখেন মোটামুটি সহনীয় আছে। আমাদের পরিসংখ্যান আছে- কমেছে।’’

তিনি বলেন, ‘‘এখন রোজার সময় যেভাবে পারি মনিটরিং করবো। সেটা ডিসি সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন। আমিও তাদের (ডিসিদের) বলেছি, স্থানীয় পর্যায়ে মনিটরিং করার কথা। পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে যাতে কোনো রকমের কারসাজি না হয়। দেখা যায় যে খাদ্যের সরবরাহ থাকলেও অনেক সময় ভোক্তার কাছে যায় না। গুদামে পড়ে থাকে লুকিয়ে রাখা হয়, এগুলো যেন কোনো ক্রমেই না হয়। রোজার সময় আমরা এটা নিশ্চিত করবো।’’

‘‘আপনারা দেখবেন আমরা বিশেষ সেলস সেন্টার করেছি। রমজানে সাধারণ মানুষের যেন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের কোনো অসুবিধা না হয় সেটা আমরা নিশ্চিত করবো।’’ বলেন অর্থ উপদেষ্টা। 

মাতারবাড়ি প্রকল্প নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘‘হ্যাঁ মাতারবাড়ি একটা বড় প্রজেক্ট, কিন্তু বেশিরভাগ কাজ হয়ে গেছে। মাতারবাড়িতে পাওয়ার সাপ্লাই আছে। জাপানিজরা করেছে। আপনারা জানেন জাপানি অনুদানের শর্তগুলো খুব সহনীয়। আর একটা সুবিধা হলো এ পর্যন্ত জাপানিরা যে ঋণ দিয়েছে কয়েক বছর তা অনুদান করে দেয়। এটা খুব ভালো একটা প্রজেক্ট।’’
 

ঢাকা/হাসনাত//

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • উচ্চ রক্তচাপ মোকাবিলায় বাজেট বৃদ্ধি জরুরি
  • চাল সংগ্রহে ব্যর্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে খাদ্য অধিদপ্তর
  • ‘দুই মাস ধরি টিসিবির ট্রাক আইসে না’
  • আসন্ন রমজানে গ্রাহকদের দুশ্চিন্তা
  • প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে সাত কোটি বই এখনো ছাপা হয়নি
  • চিনি, তেল, ছোলাসহ রোজার ৯ পণ্যের আমদানি বেড়েছে
  • বোতলজাত সয়াবিনের সংকট কাটেনি বাজারে
  • ভারত থেকে ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করা হচ্ছে
  • খাদ্যপণ্য মজুতকারীদের বিরুদ্ধে অর্থ উপদেষ্টার হুঁশিয়ারি
  • রমজানে বাজার মনিটরিং করবেন জেলা প্রশাসক: অর্থ উপদেষ্টা