বিএনপির বর্ধিত সভার স্থান চূড়ান্ত
Published: 19th, February 2025 GMT
জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলসহ মাঠ প্রাঙ্গণে দলের বর্ধিত সভার স্থান চূড়ান্ত করেছে বিএনপি।
দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত চিঠি বর্ধিত সভায় অংশগ্রহণকারী নেতাদের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বিএনপির দপ্তর।
এই চিঠিতে বলা হয়েছে যে, আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিএনপির বর্ধিত সভায় রাজধানীর পার্লামেন্ট মেম্বার্স ক্লাবের আওতাধীন এলডি হলসহ মাঠে সকাল ১০টা থেকে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে নয়া পল্টনের দলীয় কার্যালয় থেকে নেতৃবৃন্দকে কার্ড সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে।
আমন্ত্রিত অতিথি যারা বর্ধিত সভায় অংশগ্রহণ করবেন তাদেরকে নাম ও পদবীসহ এক কপি স্ট্যাম্প সাইজের ছবি আগামী ২২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে বিএনপি।
সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বিএনপির বর্ধিত সভাটি হয়েছিল রাজধানীর ‘লো মেরিডিয়ান’ হোটেলের মিলনায়তনে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম আজাদ জানান, দলের বর্ধিত সভার স্থান চূড়ান্ত হয়েছে। জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিবের নেতৃত্বে বাস্তবায়ন কমিটি এই সভা অনুষ্ঠানের সবকিছু করছে।
বিএনপির বর্ধিত সভায় জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য এবং জাতীয় নির্বাহী কমিটির সব কর্মকর্তা ও সদস্যরা, মহানগর ও জেলার সব থানা, উপজেলা, পৌর কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক অথবা আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবরা থাকবেন।
এছাড়া ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের জন্য যারা দলীয় চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছিলেন এবং মনোনয়নের জন্য প্রাথমিক চিঠি পেয়েছিলেন তারাও বর্ধিত সভায় উপস্থিত থাকবেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
গৃহকর নিয়ে প্রশাসকের সঙ্গে বাসিন্দাদের হট্টগোল
গৃহকর (হোল্ডিং ট্যাক্স) ধার্যের বিষয়টি নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের সঙ্গে হট্টগোল করেছেন অঞ্চল-৭-এর আওতাধীন বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরে উত্তরা কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত গণশুনানির শেষের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গণশুনানি শেষ করে ওই অঞ্চলের চারটি ওয়ার্ডের প্রতিনিধিদের নিয়ে অঞ্চল-৭-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষে আলোচনায় বসেন প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। সেখানে গৃহকর কীভাবে আদায় হবে, কী ছাড় পাওয়া যাবে—এসব বিষয়ে বাসিন্দাদের বুঝিয়ে বলা হয়। হট্টগোলকারীরা বিষয়টি বুঝতে পেরে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য প্রশাসকের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন।
গণশুনানিতে দেখা যায়, নাগরিক সেবা নিয়ে চারটি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা বিভিন্ন সংকট, সমস্যা ও অভিযোগ জানান। তাঁদের দাবি, তাঁরা ২০১৮ সাল থেকে নয়, ২০২৪ সাল থেকে গৃহকর পরিশোধ করবেন। প্রশাসক তাঁর বক্তব্যে বাসিন্দাদের বলা অভিযোগগুলোর সমাধান, পদক্ষেপ ও করপোরেশনের উদ্যোগ নিয়ে কথা বলেন। বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে তিনি হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় নিয়ে বাসিন্দাদের দাবিদাওয়ার বিষয়ে কথা বলছিলেন।
প্রশাসকের বক্তব্য ছিল, আইন অনুযায়ী ২০১৮ সাল থেকেই গৃহকর পরিশোধ করতে হবে। তবে গৃহকরের সঙ্গে পরিচ্ছন্নতা ও সড়ক বাতি বাবদ যে কর আদায় করা হয়, সেই ৫ শতাংশ কর আপাতত আদায় বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া বিধিমালা অনুযায়ী গৃহকরে একজন গ্রাহক যেসব ছাড় পান, সেসব ছাড়ের ব্যবস্থাও করা হবে বলেও জানান। সেই হিসেবে ২০২৪-২৫ অর্থবছর থেকে যে টাকা কর আসবে, ২০১৮ থেকে একই পরিমাণ কর দিতে হবে।
কিন্তু প্রশাসকের এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত হননি শুনানিতে অংশ নেওয়া বাসিন্দারা। তাঁরা চিৎকার-চেঁচামেচি করে এর প্রতিবাদ করতে শুরু করেন। একপর্যায়ে সামনের সারিতে বসা কিছু ব্যক্তি উত্তেজিত হয়ে মঞ্চে থাকা প্রশাসকের সামনে গিয়ে বলতে থাকেন, তাঁরা এই সিদ্ধান্ত মানেন না। তাঁরা ২০২৪ সাল থেকেই কর দেবেন।
মিনিট পাঁচেক এমন হট্টগোল আর চেঁচামেচি চলে। ঢাকা উত্তর সিটির ওই অঞ্চলের কর্মকর্তা ও স্থানীয় বিএনপির নেতারা উত্তেজিত হওয়া ব্যক্তিদের শান্ত করেন।
ঢাকা উত্তর সিটির ওই অঞ্চলের কর্মকর্তা ও স্থানীয় বিএনপির নেতারা উত্তেজিত ব্যক্তিদের শান্ত করার চেষ্টা করেন