দীর্ঘদিনের প্রেমিকা হৃদি নারাংয়ের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন ‘তুম মেরি হো’ খ্যাত ভারতীয় সংগীতশিল্পী অনুভ জৈন। ইনস্টাগ্রামে বিয়ের ছবি পোস্ট করে মঙ্গলবার অনুরাগীদের খবরটি দেন এই গায়ক।

ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য ওয়াল জানায়, হৃদি নারাং সিডনিতে পড়াশোনা শেষ করে ২০১৬ সালে শিক্ষিকা হিসেবে প্রথম কাজ শুরু করেন। এরপর এভিএ, অগিলভি, রেফিনিটিভসহ বেশ কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থায় কখনও অ্যাকাউন্ট এক্সিকিউটিভ, আবার কখনও বা ব্র্যাণ্ড ম্যানেজর হিসেবে কাজ করতে দেখা গিয়েছে তাকে। বর্তমানে তিনি আছেন নয়া দিল্লির কালেক্টিভ আর্টিস্ট নেটওয়ার্কের ক্যাম্পেন ম্যানেজার পদে। 

বিয়ের ছবিতে ভারতের ঐতিহ্যবাহী পোশাকে দেখা গেছে বর ও কনেকে। অনুভের পোশাক ছিল বেজ শেরওয়ানি এবং হৃদির পোশাক ছিল লাল লেহেঙ্গা। অনুভ তার প্রি-ওয়েডিং উৎসবের কিছু মুহূর্তও শেয়ার করেছেন। অনুভ তার স্ত্রীর পরিচয় নিয়ে কোনো বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করেননি।

অনুভ-হৃদির বিয়ের ছবি শেয়ার করে ফটোগ্রাফার রাহুল সাহারান ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ অনুভ এবং হৃদিকে আমাদের পরিবারের মতো একসাথে বিয়ে উদযাপন করতে পেরেছি।’

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

পদ্মা সেতুতে সর্বমোট টোল আদায় ২ হাজার ২৭৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা 

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর থেকে শনিবার পর্যন্ত উভয় প্রান্তের টোল প্লাজায় সর্বমোট টোল আদায় হয়েছে ২ হাজার ২৭৭ কোটি ৫৫ লাখ ৯১ হাজার ৪৫৯ টাকা। আর ঈদযাত্রার পাঁচ দিনে শনিবার পর্যন্ত পদ্মা সেতু হয়ে ১ লাখ ৫২ হাজার ৩২৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এ সময়ে ১৭ কোটি ৪২ লাখ ২১ হাজার ৭০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।

সেতু কর্তৃপক্ষের পরিচালক আলতাফ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, শেষ মুহূর্তের ঈদযাত্রায় পদ্মা সেতু অতিক্রম করে বাড়ি ফিরছেন দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার লাখ লাখ মানুষ। তবে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় যানবাহন ও যাত্রীদের চাপ নেই। কখনও কখনও একেবারেই ফাঁকা থাকছে টোল প্লাজা। 

শনিবার পদ্মা সেতু দিয়ে ৩৬ হাজার ৯২৪ যান পারাপার হয়। এর মধ্যে মোটরসাইকেল ছিল ৮ হাজার ৭৫০টি। টোল আদায় হয়েছে ৪ কোটি ৭ লাখ ৯২ হাজার ২০০ টাকা।

এছাড়া শনিবার পর্যন্ত ঈদযাত্রার পাঁচ দিনে পদ্মা সেতু হয়ে ১ লাখ ৫২ হাজার ৩২৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এ সময়ে টোল আদায় হয়েছে ১৭ কোটি ৪২ লাখ ২১ হাজার ৭০০ টাকা।

সেতু কর্তৃপক্ষের পরিচালক আলতাফ হোসেন আরও জানান, লম্বা ছুটির কারণে এবার ঈদযাত্রায় চাপ অপেক্ষাকৃত কম। রোববার ভোরেও টোল প্লাজা ঘিরে যানবাহনের লম্বা লাইন ছিল। কিন্তু বেলা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তা কমতে থাকে।

টোল আদায়ে সংশ্লিষ্টরা জানান, রাত পোহালেই ঈদ, কর্মজীবী ও ব্যবসায়ী অনেকে পরিবার পরিজন নিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন। তাই রোববারও অস্থায়ী টোল বুথটি চালু রাখা হয়। এখন ৯টি লেনে টোল আদায় করা হচ্ছে। তবে অনেকেই গরম এবং যানজট এড়াতে সেহেরির পরপরই বেরিয়ে পড়েন। তাই সকালে কিছুটা চাপ থাকলেও বেলা গড়ানোর পর চাপ কমতে থাকে।

একই চিত্র দেখা গেছে জেলার অপর মহাসড়ক ঢাকা-চট্টগ্রামের পথেও। রোববার সকাল থেকে এ মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ১৩ কিলোমিটারে ছিল না কোনো যানজট।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পদ্মা সেতুতে সর্বমোট টোল আদায় ২ হাজার ২৭৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা 
  • তিস্তায় চীনকে আমন্ত্রণ