দীর্ঘদিনের প্রেমিকাকে বিয়ে করলেন অনুভ
Published: 19th, February 2025 GMT
দীর্ঘদিনের প্রেমিকা হৃদি নারাংয়ের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন ‘তুম মেরি হো’ খ্যাত ভারতীয় সংগীতশিল্পী অনুভ জৈন। ইনস্টাগ্রামে বিয়ের ছবি পোস্ট করে মঙ্গলবার অনুরাগীদের খবরটি দেন এই গায়ক।
ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য ওয়াল জানায়, হৃদি নারাং সিডনিতে পড়াশোনা শেষ করে ২০১৬ সালে শিক্ষিকা হিসেবে প্রথম কাজ শুরু করেন। এরপর এভিএ, অগিলভি, রেফিনিটিভসহ বেশ কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থায় কখনও অ্যাকাউন্ট এক্সিকিউটিভ, আবার কখনও বা ব্র্যাণ্ড ম্যানেজর হিসেবে কাজ করতে দেখা গিয়েছে তাকে। বর্তমানে তিনি আছেন নয়া দিল্লির কালেক্টিভ আর্টিস্ট নেটওয়ার্কের ক্যাম্পেন ম্যানেজার পদে।
বিয়ের ছবিতে ভারতের ঐতিহ্যবাহী পোশাকে দেখা গেছে বর ও কনেকে। অনুভের পোশাক ছিল বেজ শেরওয়ানি এবং হৃদির পোশাক ছিল লাল লেহেঙ্গা। অনুভ তার প্রি-ওয়েডিং উৎসবের কিছু মুহূর্তও শেয়ার করেছেন। অনুভ তার স্ত্রীর পরিচয় নিয়ে কোনো বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করেননি।
অনুভ-হৃদির বিয়ের ছবি শেয়ার করে ফটোগ্রাফার রাহুল সাহারান ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ অনুভ এবং হৃদিকে আমাদের পরিবারের মতো একসাথে বিয়ে উদযাপন করতে পেরেছি।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
'পরিস্থিতির কারণে' আদনানকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন পপি
বাস্তব জীবনের গল্প কখনও কখনও সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। আর সেই স্থানে যদি থাকে সিনেমারই মানুষ, তাহলে বিষয়টি আরও আগ্রহের জন্ম দেয়। সম্প্রতি চিত্রনায়িকা সাদিকা পারভীন পপির কথা যারা শুনেছেন তারা হয়তো কিছুটা আঁচ করতে পারবেন।
চার বছর আড়ালে থাকার পর মা ও বোনের থানায় জিডির খবর দিয়ে প্রকাশ্যে আসেন পপি। এবার রাখঢাক রাখেননি তিনি। বলা যায়, এতদিনের চাপা কষ্ট-যন্ত্রণা উগরে দিয়েছেন একটি ভিডিও বার্তা। এছাড়া বিয়ের সিদ্ধান্ত, মা-বোনদের সঙ্গে সম্পর্ক, সব কিছু নিয়ে সম্প্রতি গণমাধ্যমে কথা বলেছেন পপি।
পপি জানান, তার বিয়ের পরিকল্পনা ছিল না। কিন্তু ২০১৯ সালে বাসায় একটা ‘ভয়াবহ দুর্ঘটনা’ ঘটে। সেদিন অনেক বড় অঙ্কের টাকা চুরি হয়। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে থানায় জিডি করেন। পরে তাঁকে রমনা থানায় ডাকা হয়।
পপি বলেন, ‘সেদিন আদনানকেও ডাকি। থানায় গিয়ে দেখলাম, আমার ভাইবোনেরা। ঘটনা চক্রে জীবন নিয়ে আমি আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। মনে হলো, আমি কারও কাছে নিরাপদ নই। ফিল্মের কাজে সবার সঙ্গে মিশেছি ঠিকই, কিন্তু আপনজন কেউ ছিল না। বরাবরই আমি পরিবার অন্তঃপ্রাণ মানুষ। অথচ এই আমার কাছে পরিবারের সবাই অচেনা হয়ে গেলো। সম্পত্তি ও টাকাপয়সা নিয়ে জটিলতা শুরু হয়। জটিলতার এই পুরো সময়ে আদনান আমাকে ছায়ার মতো আগলে রেখেছে। কোনো জটিলতাই আমাকে স্পর্শ করতে দেয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওই সময়ে এমন একজন বন্ধুকে যদি না পেতাম, আমার জীবনটাই বিপন্ন হয়ে যেত। ২০২০ সালের দিকে আবার জটিলতা শুরু হয়। তখনো ভাবলাম, আমাকে মা-বোনেরা বাঁচতে দেবে না। বাসা থেকে বের হয়ে পড়ি। যোগাযোগ করি আদনানের সঙ্গে। এরপর আমার জায়গাজমির দলিল, ব্যাংকের কাগজপত্র ও প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্ট পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার করি। বলতে পারেন, রীতিমতো জীবন বাঁচাতে বাসা থেকে পালিয়ে গেলাম। তখন আমার সামনে দুটি পথ খোলা, হয় আত্মহত্যা করতে হতো, নয়তো ওদের হাতে খুন হয়ে যেতে হতো’
স্বামী আদনানই তাঁকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়েছিলেন বলে জানান পপি। তিনি এও জানান, এই পরিস্থিতিতে তিনি বিয়ে করতে বাধ্য হন।
পপির কথায়, ‘২০২০ সালের নভেম্বরে বিয়ে করি বাসায় কাজি ডেকে। আমার আত্মীয়স্বজন ছিলেন। এটা সত্য, বিয়েতে আমার মাকে ডাকিনি। হয়তো এটা বিশ্বাস করবে না কেউ, কিন্তু এটাই সত্য, আমার মা চাইতো না আমি বিয়ে করে সংসারী হই।’
উল্লেখ্য, ‘রানীকুঠির বাকী ইতিহাস’, ‘মেঘের কোলে রোদ’, ‘গঙ্গাযাত্রা’ সিনেমার মতো বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয়ের জন্য তিনি নায়িকা থেকে ‘অভিনেত্রীর’র খেতাব পান। এমনকি তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন পপি।