গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে বাস-কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক জন নিহত ও কমপক্ষে ১৪ জন আহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনার পর থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার পোনা বাসস্ট্যান্ডে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিক নিহতের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।

কাশিয়ানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.

শফিউদ্দি খান বলেন, ‘‘ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ফাল্গুনী পরিবহনের একটি বাস খুলনা যাচ্ছিল। পোনা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী বিপরীতমুখী একটি কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষ হয়। এতে বাস ও কাভার্ডভ্যানের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে ঘটনাস্থলেই এক জন নিহত ও ১৪ জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। দুর্ঘটনার পর থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।’’

আরো পড়ুন:

কুমিল্লায় ঘন কুয়াশায় ২টি সড়ক দুর্ঘটনা, আহত ১৫

কিশোরগঞ্জে ২ স্কুলছাত্রের মৃত্যু, সড়ক অবরোধ

ঢাকা/বাদল/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

জার্সি, জুতা পরে মানুষের সঙ্গে দৌড়াচ্ছে রোবট

চীনে অভিনব এক হাফ ম্যারাথনের আয়োজন হয়েছিল। ওই ম্যারাথনে কয়েক হাজার প্রতিযোগীর সঙ্গে ২১টি রোবট অংশ নিয়েছে।

চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে গত শনিবার ওই হাফ ম্যারাথনের আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগীদের প্রায় ২১ কিলোমিটার দৌড়াতে হয়েছে। রোবটগুলোও একই পথ দৌড়েছে।

দৌড়ে অংশ নেওয়া রোবটগুলোর কোনোটির উচ্চতা ছিল ৩ ফুট ৯ ইঞ্চি, আবার কোনোটি ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি। রোবটগুলো দেখতে মানুষের মতো ছিল এবং মানুষের মতো দুই পায়ে সেগুলোকে দৌড়াতে বা হাঁটতে হয়েছে। কারণ, ম্যারাথনে চাকাযুক্ত রোবটের অংশগ্রহণের অনুমতি ছিল না।

চীন দাবি করছে, বিশ্বে তারাই প্রথম এমন হাফ ম্যারাথনের আয়োজন করেছে, যেখানে মানুষের সঙ্গে রোবটও দৌড়ে অংশ নিয়েছে।

রোবটের মধ্যে দৌড়ে জিতে তিয়ানগং আলট্রা। এই রোবট ২ ঘণ্টা ৪০ মিনিটে দৌড় শেষ করেছে। মানুষের মধ্যে যিনি প্রথম হয়েছেন, তিনি ১ ঘণ্টা ২ মিনিটে দৌড় শেষ করেছেন।

বিজয়ী রোবটটি তৈরি করেছেন তাং জিয়ান ও তাঁর দল। তিনি বেইজিং ইনোভেশন সেন্টার ফর হিউম্যান রোবোটিকসে কাজ করেন। জিয়ান বলেন, রোবটটির লম্বা পা সেটিকে দ্রুত দৌড়াতে সহায়তা করেছে। রোবটটি অ্যালগরিদমের মাধ্যমে একটি ম্যারাথনে মানুষ কীভাবে দৌড়ায়, তা অনুকরণ করেছে। লম্বা এই দৌড়ের মধ্যে মাত্র তিনবার রোবটটির ব্যাটারি পরিবর্তন করতে হয়েছে বলেও জানান এই প্রযুক্তি কর্মকর্তা।

দৌড়ের সময় রোবটগুলোর নানা কাণ্ডকারখানা দর্শকদের দারুণ আনন্দ দিয়েছে। একটি রোবট দৌড় শুরুর আগমুহূর্তে মাটিতে পড়ে যায়। যদিও কয়েক মিনিটের মধ্যে সেটি উঠে দাঁড়ায় এবং দৌড় শুরু করে। আরেকটি রোবট দৌড়ের ট্র্যাক থেকে বেশ খানিকটা বেরিয়ে গিয়ে সোজা রেলিংয়ের বাড়ি খায়।

দৌড়ের সময় রোবটগুলোর সঙ্গে সেগুলোর তত্ত্বাবধানকারীরাও ছিলেন। তাঁদের কেউ কেউ দৌড়ের মধ্যে নিজেদের রোবটগুলোকে সহায়তা করেছেন। অধিকাংশ রোবট জুতা পরে দৌড়েছে। কোনোটির গায়ে ছিল বাহারি জার্সি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ