কলকাতার বড়তলা থানা এলাকায় সাত মাসের এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্ত রাজীব ঘোষালকে (৩৪) মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিল আদালত। সোমবার ধর্ষণকাণ্ডের ৪১ দিনের মধ্যে বিচার সম্পন্ন করে অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং মঙ্গলবার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেন বিচারক।

বিচারক এই ঘটনাকে ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ বলে উল্লেখ করে জানান, এমন নৃশংস অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি প্রয়োজন। আদালতের রায়ে সমাজের জন্য কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে যে শিশুদের বিরুদ্ধে এমন অপরাধ কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।

২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে বড়তলা থানা এলাকার ফুটপাতে কাঁদছিল সাত মাসের এক শিশু। তার গোপনাঙ্গে একাধিক ক্ষতচিহ্ন ছিল। স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। ওই দিনই শিশুটির বাবা-মা থানায় নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ জানিয়েছিলেন। মাত্র ১০০ মিটার দূরে শিশুটিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাওয়া যায়।
পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অভিযুক্ত রাজীব ঘোষালকে ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুর থেকে গ্রেপ্তার করে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৩৭(২), ৬৫(২) এবং শিশু সুরক্ষা আইনের (পকসো) ৬ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করা হয়। আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে তদন্ত করে মাত্র ২৬ দিনের মাথায় পুলিশ চার্জশিট জমা দেয়।

দ্রুত বিচার পর্ব শেষে ব্যাঙ্কশাল আদালত ৪১ দিনের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি করে এবং অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেয়। আদালতের এই রায় সমাজের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ফতুল্লায় ঈদের দিনে যুবককে গুলি করে হত্যা

ফতুল্লায় মাদকের টাকার লেনদেন নিয়ে বিরোধের জেরে মো. পাভেল নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদুল ফিতরের দিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে ওই যুবকের মৃত্যু হয়।

এরআগে রোববার  চাঁদরাতে পাভেল ও পাশের বাড়ির সকালে রায়হান বাবু ওরফে ‘কবুতর বাবুর’ মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।

এ ঘটনায় ঈদের দিন সকালে ‘কবুতর বাবু’ পিস্তল দিয়ে পাভেলের বুকে গুলি করে পালিয়ে যান। নিহত পাভেল (৩৭) ফতুল্লা থানার কাশিপুর মধ্যপাড়া এলাকার হাসমত উল্লাহর ছেলে।
 
নিহত পাভেলের বড় ভাই মাসুম জানান, ঈদের দিন সকালে ‘কবুতর বাবু’ পিস্তল দিয়ে পাভেলের বুকে গুলি করে পালিয়ে যান। পরে গুরুতর অবস্থায় পাভেলকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেয়া হয়।

সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফুল ইসলাম বলেন, ভোর ৪টার ঘটনা। তখন পাভেল নামে ওই যুবক রাস্তায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়েছিল।

পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে ৩টায় তিনি মারা যান।

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্ত ও স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরেছি অভিযুক্ত রায়হান বাবু এলাকায় মাদক সেবনসহ মাদক ব্যবসা করতেন। পাভেল তার পূর্ব পরিচিত। দুজনের মধ্যে সম্পর্ক এবং যাওয়া আসা ছিল। 

ধারণা করা হচ্ছে, মাদক কেনাবেচার টাকা লেনদেন নিয়ে বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড হয়ে থাকতে পারে। এ ঘটনায় মামলা হবে এবং আমরা তদন্তসহ অভিযুক্ত রায়হান বাবুকে আটকের চেষ্টা করছি।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ